উচ্চ বেতনহার চালু করা এবং সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রাপ্য ছুটি মঞ্জুরের দাবিতে শুক্রবার দিনভর অনশন করলেন এক শিক্ষক। ময়ূরেশ্বরের টেকেড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮০ সালে সংগঠক শিক্ষক হিসাবে ওই স্কুলে যোগ দেন তপন মুখোপাধ্যায়। ওই সময় তিনি ছিলেন বিজ্ঞানের সাধারণ স্নাতক। দু’বছর পরে স্কুলটি জুনিয়র হাইস্কুলে উন্নীত হয়। ২০০০ সালে হাইস্কুলে স্বীকৃতি মেলে। ১৯৯৪ সালে তপনবাবু বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এ দিন বেলা ১১টা থেকে স্কুলের একটি ঘরে অনশনে বসেন তপনবাবু। বিকেল ৪টে নাগাদ সংশ্লিষ্ট ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের বিডিও-র আশ্বাসে তিনি অনশন তোলেন। ওই শিক্ষকের অভিযোগ, “আমি বারবার উচ্চ বেতনহার ও প্রাপ্য ছুটি মঞ্জুরের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছি। কোনও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে অনশনের সিদ্ধান্ত নিই।” স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি কেশব দাস বলেন, “তপনবাবুর দাবি ন্যায্য। আমি দাবিপূরণের ব্যাপারে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির কিছু সদস্য তাতে সহমত হননি বলে কিছু করা যায়নি। ” প্রধান শিক্ষক তথা সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক নিশাবতি পাল বলেন, “আমি এই স্কুলে যোগ দেওয়ার আগে ওই ঘটনা ঘটেছে। তাই ছুটির বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। কিন্তু তপনবাবু উচ্চশিক্ষার জন্য পরিচালন সমিতির কোনও অনুমতি নেননি। তাই তাঁর বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব পরিচালন সমিতি অনুমোদন করেনি।” বিডিও মনমোহন ভট্টাচার্য বলেন, “পুজোর পরে উভয়পক্ষকে নিয়ে সমাধান সূত্র খোঁজা হবে।”
|
অবসরপ্রাপ্তদের গণ-বিদায় সংবর্ধনা দিল স্কুল। শুক্রবার লাভপুরের জামনা-ধ্রুববাটি নীলরতন উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী এবং দু’জনকে মরণোত্তর বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৪৪ সালে স্থাপিত ওই স্কুলে এ যাবত কোনও শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই এ দিন সংবর্ধিত হয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিশ্বনাথ মণ্ডল, শিক্ষাকর্মী শিশির বাগদিরা বলেন, “স্কুল যে এত দিন পরেও আমাদের কথা মনে রেখেছে, ভেবে ভাল লাগছে। আরও ভাল লাগত, যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের জীবদ্দশায় এই অনুষ্ঠান হলে।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু লায়েক মহিউদ্দিনের কথায়, “কেন এতদিন অবসরপ্রাপ্তদের বিদায় সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়নি জানি না। তবে কাজটা করতে পেরে মনে হচ্ছে, একটা দায়িত্ব পালন করা হল।”
|
এলাকায় এক যুবক দলবল নিয়ে লাগাতার মস্তানি করছে- এই অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করলেন বাসিন্দারা। শুক্রবার সকালে ঘণ্টা খানেক সাঁইথিয়ার বিএলএলআরও অফিসের কাছে, সিউড়ি যাওয়ার রাস্তার উপর অবরোধ করেন তাঁরা। পরে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে ওই যুবক এলাকার এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে সে তাঁদেরও মারধর করে বলে বাসিন্দাদের দাবি। |