সদ্যোজাত ঠাঁই পেল কালনা হাসপাতালে |
কুড়িয়ে পাওয়া সদ্যোজাতকে কালনা মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিলেন এক ভ্যান চালক। কালনার শাসপুর গ্রামে সপ্তাহখানেক আগে এক রাতে ওই সদ্যোজাতকে বাড়ির বাইরে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন রবি মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী লতা মণ্ডল। রবিবাবু জানান, রাতে শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল তাঁদের। বাইরে বেরিয়ে দেখেন কাছে একটি বাড়ির দরজার সামনে এক সদ্যোজাত চিৎকার করছে। তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন রবিবাবু ও লতাদেবী। রবিবাবু জানান, এর পরেই শুরু হয় বিপত্তি। এলাকার অনেকে শিশুটিকে পাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। রবিবাবুর দাবি, অনেকে হুমকিও দেন। সদ্যোজাতকে নিজেদের কাছে রাখার ইচ্ছা থাকলেও নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য তাঁরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানান। রবিবাবুদের আবেদন পেয়ে মহকুমা প্রশাসনের তরফে কালনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুক্রবার ওই শিশু কন্যাকে তাঁদের হেফাজতে রাখার বিষয়টি জানিয়ে দেন। এ দিন হাসপাতালের সুপার অভিরূপ মণ্ডল বলেন, “আপাতত শিশুটিকে আমরা নিজেদের হেফাজতে রেখে শুশ্রুষা করব। পুজোর পরে তাকে জেলা ওয়েলফেয়ার আধিকারিকের হাতে তুলে দেব আমরা।”
|
সরকারি হোমে পড়ার ব্যবস্থা শুভঙ্কর-রাজুর |
পূর্ব সাতগাছিয়ায় হিন্দু মিশন বয়েজ ওয়েলফেয়ার হোম থেকে পড়াশোনা করবে শুভঙ্কর বিশ্বাস। তার ভাই রাজুও পরে কালনা ২ ব্লকের এই সরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা ও থাকা-খাওয়ার সুযোগ পাবে বলে মহকুমা প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে। সম্প্রতি কালনার নসিপুর গ্রামের এই দুই ভাইয়ের তৎপরতায় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচে একটি লোকাল ট্রেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা প্রশাসনকে গরিব পরিবারের ওই দুই শিশুর পড়াশোনার খরচ সরকারি ভাবে বহন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরেই জেলাশাসকের নির্দেশে মহকুমা প্রশাসনের তরফে এই ব্যবস্থা করা হয়। শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ কালনার মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি দুই ভাই ও তাদের বাবা-মাকে নিয়ে ওই হোমে যান। সেখানে শুভঙ্করকে ভর্তি করানো হয়। তবে বয়স কম হওয়ায় রাজুকে এখনই ভর্তি করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। হোম কর্তৃপক্ষ জানান, ছ’বছর বয়স হলে রাজুর পড়াশোনা ও থাকা-খাওয়ার দায়িত্ব নেওয়া হবে। এ দিন হোম কর্তৃপক্ষের তরফে দুই ভাইয়ের হাতে পড়াশোনা ও খেলার বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয়। রাজু-শুভঙ্করের বাবা সুধাময়বাবু বলেন, “বড় ছেলে পূর্ব সাতগাছিয়া কল্যাণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। মাসখানেক পরে ওই স্কুলে ছেলের পরীক্ষা। তার পরেই তাকে হোমে পাঠানো হবে।”
|
লিফট থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকের। কাঁকসা থানার রাজবাঁধ চটিতে একটি ফেরো অ্যালয় কারখানায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম আনন্দ কোঁড়া (৫২)। বাড়ি আউশগ্রামের চাঁদিপুরে। বুধবার মাথায় গুরুতর চোট পেয়ে আনন্দবাবুকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর দেহের ময়না-তদন্ত হয় শুক্রবার। কারখানার সুপারভাইজার বাপি হাজরা জানান, মালিকের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইবেন শ্রমিকেরা। |