নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের অভিযোগে স্মারকলিপি দেওয়ার পরে এ বার বোর্ড সভা বয়কট করলেন আসানসোল পুরসভার ১২ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর। এ নিয়ে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে পুরসভা। বামফ্রন্টের কাউন্সিলররা মেয়রের কাছে এ ব্যাপারে জবাবদিহি দাবি করেন। মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। পুরসভার কংগ্রেস মেয়র পারিষদ রবিউল ইসলাম বলেন, “চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারির আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েই আমরা আজ বোর্ড সভা বয়কট করেছি।”
এ দিন বিকেল ৪টা নাগাদ বোর্ড সভা ডাকা হয়। সময় মতো বামফ্রন্টের ২০ জন কাউন্সিলর আসেন। তৃণমূলের ১৮ জনের মধ্যে ১৪ জন উপস্থিত হন। কিন্তু কংগ্রেসের ১২ জন কাউন্সিলারের এক জনও আসেননি। দলের মহকুমা কমিটির সভাপতি তথা মেয়র পারিষদ রবিউল ইসলাম জানান, এ দিনের বোর্ড সভা পরিচালনার জন্য বাম কাউন্সিলর আরএসপি-র বীরেন করকে দায়িত্ব দিয়েছেন চেয়ারম্যান জিতেন্দ্রবাবু। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস কাউন্সিলররা। কারণ, জোট পরিচালিত পুরসভায় বাম কাউন্সিলার সভা পরিচালনা করবেন, তা তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না। রবিউলবাবুর অভিযোগ, “কোনও আলোচনা ছাড়াই জিতেন্দ্রবাবু এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’ তাঁর দাবি, ভবিষ্যতে ফের এমন ঘটলে বোর্ড সভা বয়কট করবেন তাঁরা।
এ দিকে, আরএসপি-র বীরেন করকে কেন এ দিন সভা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে চেয়ারম্যান জিতেন্দ্রবাবু বলেন, “বিরোধী কাউন্সিলাররা আমার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তুলে বোর্ড সভায় আলোচনার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাই আমি মনে করেছি, এ দিন আমার এক জন সাধারণ কাউন্সিলার হিসেবে আলোচনায় অংশ নেওয়া উচিত। তাই বীরেনবাবুকে ওই দায়িত্ব দিয়েছি।” এ ব্যাপারে অবশ্য মেয়র তাপসবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
শুক্রবার বোর্ড সভা শুরু হতেই বিরোধীরা কংগ্রেসের সভা বয়কট নিয়ে মেয়রের কাছে জানতে চান। পাশাপাশি, তাঁরা দাবি করেন, কিছু দিন আগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের অভিযোগ তুলে কংগ্রেস যে স্মারকলিপি দিয়েছে, তা সবিস্তারে বোর্ড সভায় মেয়রকে জানাতে হবে। কিন্তু মেয়র তা জানাতে অস্বীকার করায় শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে অবশ্য চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে তা মেটে। মেয়র বলেন, “আমি এ বিষয়ে বোর্ড সভায় জানাতে বাধ্য নই। তাই বলিনি।” বিরোধী নেতা সিপিএমের তাপস রায়ের ক্ষোভ, “মেয়র বোর্ডকে সব কিছু না জানিয়ে আমাদের অপমান করেছেন।” |