টুকরো খবর
আর্সেনিকমুক্ত জল জোগাতে জাপানি ঋণ
গ্রামাঞ্চলের ঘরে ঘরে পাইপলাইনের মাধ্যমে আর্সেনিক ও ফ্লোরাইড-মুক্ত জল সরবরাহের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য জাপানের কাছ থেকে ২৪০০ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ওই ঋণের জন্য রাজ্যের তৈরি প্রকল্পটিকে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়েছে বলে বুধবার নব মহাকরণে জানান জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মন্ত্রী জানান, ২০২০ সালের মধ্যেই রাজ্যের গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি ঘরে মাথাপিছু দৈনিক ৭০ লিটার বিশুদ্ধ জল সরবরাহের জন্য বেশ কিছু স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘ভিশন প্ল্যান-২০২০’। ইতিমধ্যেই নাকাশিপাড়া ও কালিয়াগঞ্জে নদীর জল তুলে তা শোধন করে সরবরাহের জন্য ১২০০ কিলোমিটার পাইপ বসানো হয়েছে। জল চুরি রুখতে এবং প্রকল্পগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগে প্রকল্প রূপায়ণের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান সুব্রতবাবু। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালি এলাকায় ডোঙারিয়া-২ প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। ওই প্রকল্প থেকে দক্ষিণ কলকাতার লাগোয়া এলাকা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পরিস্রুত পানীয় জল সররবরাহ করা সম্ভব হবে।

পাক শিশুর অস্ত্রোপচার করতে আগ্রহ দেখাল দিল্লির হাসপাতাল
আহমদের বয়স মাত্র দু’বছর। হৃৎপিণ্ডে জটিল রোগের শিকার। সীমান্ত-সন্ত্রাস দু’দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পর্কে ছায়া ফেলতে পারে। কিন্তু মানবিক সহানুভূতির কোনও নিয়ন্ত্রণরেখা নেই। তাই অনেক জায়গায় ঘুরে শেষ পর্যন্ত ভারতের একটি হাসপাতালই আশা জাগিয়েছে দরিদ্র শিশুটির বাবা-মার বুকে। পাক সংবাদপত্রে আহমদের অসুখের কথা পড়ে ভারতের একটি প্রতিষ্ঠানের তরফে অশোক শেঠ শিশুর অস্ত্রোপচারের জন্য উৎসাহ দেখান। সেই আশায় ভর করেই এখন দ্রুত দিল্লি আসতে চাইছেন শিশুটির বাবা-মা। ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে যত শীঘ্র সম্ভব ভিসা চেয়ে আবেদন করেছেন তাঁরা। হাইকমিশন তাঁদের কাছে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এবং জরুরি শংসাপত্র চেয়েছে। নথির জটিলতা কমিয়ে কী ভাবে দ্রুত সন্তানের চিকিৎসা করাবেন, তার জন্যই যথাসম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছেন বাবা-মা।

ফুসফুসে ব্লেড
চিকিৎসকদের বছর কুড়ির তরুণীটি বলেছিল, “আমি একটা ব্লেড চার টুকরো করে খেয়ে ফেলেছি। আমার কষ্ট হচ্ছে না। শুধু বাড়ির লোক জোর করায় হাসপাতালে এসেছি।” দু’বার অস্ত্রোপচার করে তাঁর ফুসফুসে আটকে থাকা চার টুকরো ব্লেড বার করেছেন মেডিক্যালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নবদ্বীপের বাসিন্দা আরতি দাস নামে ওই তরুণী এখন সুস্থ। কিছু দিন আগে কেন ও কী ভাবে ব্লেড গিলে ফেলেছিলেন সে সম্পর্কে তিনি স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাতে চাননি। ইএনটি বিভাগের প্রধান শঙ্করপ্রসাদ বেরার কথায়, “প্রথমে খাদ্যনালীতে স্ক্যান ও এক্স রে-তে কিছু মেলেনি। পরে দেখা গেল শ্বাসযন্ত্র দিয়ে চার টুকরো ব্লেডই ফুসফুসে গিয়ে ব্রঙ্কাসে আটকে রয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, “অদ্ভুত ভাবে তরুণীর শ্বাসনালী বা ফুসফুসের কোথাও কাটেনি বা রক্তপাত হয়নি। শুধু ব্রঙ্কাস ফুলে ছিল। কিন্তু তাতে তাঁর ব্যথা বা অসুবিধা হয়নি।” গত মঙ্গলবার চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করে ব্লেডের দু’টি টুকরো বার করেছিলেন। বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচারে বেরোয় আরও দু’টি টুকরো।

প্রতিবাদে মন্ত্রী
হাওড়া জেলা হাসপাতালের আবর্জনা রাস্তার ভ্যাটে ফেলতে দিচ্ছে না হাওড়া পুরসভা। এই অভিযোগ তুলে ঝাঁটা হাতে হাসপাতাল সাফাইয়ে নামলেন রাজ্যের কৃষি ও বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়। তাঁর অভিযোগ, এত বছর হাসপাতালের আবর্জনা পুরসভা গাড়ি করে নিয়ে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ফেলত। হঠাৎ তা বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তার ভ্যাটেও আবর্জনা ফেলতে বাধা দিচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, “আমি হাওড়া জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যান। হাসপাতালের সার্বিক স্বাস্থ্যহানি রুখতে তাই ঝাঁটা দিয়ে এই প্রতীকী বিক্ষোভ দেখালাম।” মন্ত্রীর সঙ্গে এ দিন রাজ্য সরকারি কর্মচারী সমিতি (ইউনিফায়েড)-এর নেতা ও কর্মীরা আবর্জনা পরিষ্কার করেন। ভ্যাটে আবর্জনা ফেলতে না দেওয়া নিয়ে হাওড়া পুরসভার মেয়র মমতা জয়সোয়াল বলেন, “ওঁরা কর্মীর অভাবে আবজর্না পরিষ্কার করতে পারছেন না। পুরসভা কী করবে? আর হাসপাতালের আবর্জনা পুরসভার ভ্যাটেই বা পড়বে কেন। ওই আবর্জনা ভাগাড়ে ফেলা ওঁদের দায়িত্ব, আমাদের নয়।”

অসুস্থ আত্মস্থানন্দ
চোখের চিকিৎসার জন্য রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট স্বামী আত্মস্থানন্দ। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর ডান চোখের রেটিনায় সমস্যা রয়েছে। সেই কারণেই বুধবার তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.