সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও ন্যূনতম মজুরিকে পাশ কাটিয়ে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে নিজেদের মধ্যে রফা করলেন বিড়ি মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
নয়া চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিকদের প্রতি হাজার বিড়ি বাঁধাইয়ের মজুরি ধার্য হয়েছে ৭৫ টাকা। বর্তমানে ওই মজুরি ৫৫ টাকা। পুজোর আগেই অর্থাৎ ১ অক্টোবর থেকে ওই নয়া মজুরি কার্যকর হবে বলেও জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সমশেরগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে ওই রফা চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ে হাজির ছিলেন সিটু, আইএনটিইউসি-সহ সমস্ত শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ছিলেন বিড়ি মালিক সংগঠনও। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শামসুল হক হাজির থাকলেও তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মহকারণে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর উপস্থিতিতে দু-পক্ষের মধ্যে আলোচনা ভেস্তে যায়। বিড়ি শ্রমিকদের সরকার নির্দিষ্ট ন্যূনতম ১৪২.৪৭ টাকা মজুরির কমে কোনও মজুরি চুক্তি স্বাক্ষর করার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের আপত্তির কথা জানান শ্রমমন্ত্রী এবং তিনি দু-পক্ষের কাছে বিড়ি শিল্প সম্পর্কীত তথ্যসমূহ এক বছরের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে জমা দিতেও বলেন। সিটুর জেলা সভাপতি আবুল হাসনাত খান বলেন, “এক বছরের মধ্যে তথ্যসমূহ হাতে পাওয়ার পরে শ্রমমন্ত্রী আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ৭৫ টাকা মজুরি চুক্তি করা হয়েছে। ৭১ টাকা মজুরি বাবদ পাবে শ্রমিকেরা এবং ৪ টাকা এক্সগ্রাসিয়া হিসেবে। গোটা জেলায় এই মজুরি ১লা অক্টোবর থেকে চালু হবে।” আইএনটিইউসি-র বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক বাদশার আলি বলেন, “সংগঠনগত ভাবে সকলেই চায় ন্যূনতম মজুরি। কিন্তু বাস্তব অবস্থা বুঝে ৭৫ টাকা মেনে নিতে হয়েছে। এর ফলে জেলার ১০ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক উপকৃত হবেন।” তৃণমূলের শ্রমিক সেলের নেতা সোমেন পাণ্ডে অবশ্য বলেন, “ন্যূনতম মজুরি না পেলেও বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যতটা আশা ছিল, তা পূরণ হচ্ছে না দেখে আমি বৈঠক ছেড়েই মাঝপথে চলে আসি।” |