নয়ানজুলিতে বাস উল্টে জখম হলেন প্রায় কুড়ি জন যাত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে দু’নম্বর জাতীয় সড়কে গলসির গলিগ্রামের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
বাসটি বনগাঁ থেকে চিত্তরঞ্জনে যাচ্ছিল। জখমদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জখমদের মধ্যে এক মহিলা-সহ তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রত্যক্ষদর্শী ও জখমেরা জানান, এক বাইকআরোহীকে বাঁচাতে গিয়েই নয়নাজুলিতে গিয়ে পড়ে বাসটি।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুয়ে উত্তর ২৪ পরগনার চাকদহের বাসিন্দা সত্য দত্ত জানান, তিনি চিত্তরঞ্জন যাচ্ছিলেন। প্রচণ্ড গতিতে যাওয়া বাসটি রাস্তার উপরে একটি মোটরবাইককে পাশ কাটিয়ে যেতে গিয়েছিল। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি রাস্তার পাশের একটি নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। বাসের ভিতরেও প্রচণ্ড ভিড় ছিল। অনেকেই জ্ঞান হারান। |
হাসপাতালে ভর্তি অপর এক আহত যাত্রী, বর্ধমানের নিয়ামতপুরের বাসিন্দা রাজু আহমেদ বলেন, “মোটরবাইকটিকে পাশ কাটাতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। প্রচণ্ড শব্দে ব্রেক কষেও চালক বাসটিকে থামাতে পারেননি। স্থানীয় মানুষজনই আমাদের উদ্ধার করেন। তার পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে আহতদের।” কয়েক জনকে পুরষা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হলেও পরে তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গুরুতর আহত হয়েছেন গলসির রামগোপালপুরের বাসিন্দা হবিবুর রহমান এবং আউশগ্রামের নেউলবাঁদির শরদিন্দু বাগ। দু’জনেই এ দিন তিনকোনিয়া থেকে বাসে উঠেছিলেন।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জখম বেশ কয়েক জন যাত্রী হাসপাতালের মেঝেতেই পড়ে রয়েছেন। ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়ছে। বুদবুদের বাসিন্দা পিঙ্কি খাতুনের অভিযোগ, “আমাদের এখানে নিয়ে এসে কার্যত ফেলে রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দেখাই মেলেনি। হাউস্টাফ ও জুনিয়র ডাক্তারেরাই যেটুকু চিকিৎসা করেছেন। কিন্তু অনেকেরই ভাল চোট রয়েছে। কখন উপযুক্ত চিকিৎসা হবে, জানা নেই।” এ ব্যাপারে হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, “এক সঙ্গে প্রায় কুড়ি জন আহত চলে আসায় আমাদের একটু সমস্যায় তো পড়তেই হয়। তবে সাধ্য মতো চিকিৎসা চলছে।” গলসি থানা সূত্রে জানানো হয়, দুর্ঘটনার পরেই অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে পৌঁছয় পুলিশ। বাসটিকে ক্রেন দিয়ে উদ্ধার করা হয়। আহতদের হাসপাতালে পাঠাতে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের সাহায্যও নেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পলাতক। |