থানায় ঢুকে ‘হামলা’, ধৃত ৫ কংগ্রেস কর্মী
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
থানায় ঢুকে হামলা, রাইফেল ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে এক পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ৫ কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে মালদহের ইংরেজবাজার থানার ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, দু’দিন আগে বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁরা জামিনে ছাড়া পান। ঘটনাচক্রে তাঁরা সকলেই কংগ্রেস কর্মী। সেই ‘রাগে’ সোমবার রাত ১২টা নাগাদ শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য জাইমুদ্দিনের নেতৃত্বে ৩৫-৪০ জন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক ইংরেজবাজার থানায় ঢুকে হামলা করেন বলে অভিযোগ। রাইফেল ছিনতাইয়ের চেষ্টার পাশাপাশি, তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ইংরেজবাজার থানার আইসি জহরজ্যোতি রায়ের দাবি, তিনি সে সময় বাইরে তল্লাশিতে ছিলেন। থানায় ঢুকে হামলাকারীরা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছে খবর পেয়ে ফিরে আসেন। ততক্ষণে থানায় ‘তাণ্ডব’ চালানো হয়। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করে। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “হামলাকারীরা যে দলেরই হোক না কেন, কাউকে ছাড়া হবে না। ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।” প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা ইংরেজবাজারের কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। দল কখনই এ ধরনের কাজকে প্রশ্রয় দেবে না।” ইংরেজবাজার থানায় ‘হামলা’ অবশ্য নতুন নয়। গত এপ্রিল মাসে যদুপুর এলাকার শতাধিক বাসিন্দা ওই থানায় ‘চড়াও’ হয়েছিলেন। তার পরে থানায় ঢোকার মুখে বিশাল লোহার দরজা তৈরি করা হয়। তাতে যে লাভ হয়নি, তার প্রমাণ মিলল সোমবার।
|
ফের ফুঁসছে ফুলহার নদী
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
মালদহে ফের ফুঁসতে শুরু করল ফুলহার নদীর জল। সোমবার সন্ধ্যা থেকে ফুলহারের জল বাড়তে শুরু করায় রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ১২ ঘন্টায় নদীর জলস্তর ৯০ সেন্টিমিটার বেড়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। সাম্প্রতিক বন্যার পর গত সপ্তাহে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছিল ফুলহারের জলস্তর। নতুন করে প্লাবিত হয় বেশ কয়েকটি এলাকা। দু’দিন বাদেই জল কমে যায়। তারপর মঙ্গলবার সকাল থেকে হলুদ সঙ্কেত জারি হয়। সেচ দফতর জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় নদীর জলস্তর ২৬.২০ মিটারে নেমে আসে। মঙ্গলবার জলস্তর ২৭.২০ মিটার উচ্চতায় দাঁড়িয়েছে। যা হলুদ সঙ্কেতের চেয়ে ২৮ সেন্টিমিটার বেশি ও বিপদসীমার চেয়ে ৩২ সেন্টিমিটার কম। পুজোর মুখে জল বাড়তে শুরু করায় উদ্বেগে সেচ দফতর ও প্রশাসন। সেচ দফতরের মালদহ নর্থ সেন্ট্রাল সার্কেলের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়র সন্দীপ দে বলেন, “ফুলহারের জল বেড়েছে।
|
তৈরি হল নয়া সংগঠন
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
স্টেট গভর্নমেন্ট তৃণমূল ফেডারেশন, স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন, নবপর্যায় এবং ইউফায়েড মিলে সরকারি কর্মচারীদের নয়া সংগঠন তৈরি হল দক্ষিণ দিনাজপুরে। নয়া সংগঠনের নাম হল ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন। মঙ্গলবার বালুরঘাটের জেলা পরিষদের হলে ওই চারটি সংগঠনের যৌথ সভা হয়। সেখানেই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একছাতার তলায় আন্দোলনের পরিকল্পনা নেন।
|
আগামী বছর আন্তর্জাতিক মানের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা করতে বাঘা যতীন অ্যাথলেটিক ক্লাবের কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি নিতে বলবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। মঙ্গলবার ক্লাবের উদ্যোগে ১৫ কিলোমিটার রোড রেস প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি একথা জানান। তাঁর দফতর থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তাতে খুশি ক্লাবের সদস্য সমর্থকেরা। শিলিগুড়ির এই দৌড় প্রতিযোগিতাকে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে তুলে ধরাই উদ্দেশ্য। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে মহালয়ার সকালে রোড রেস প্রতিযোগিতা সাফল্যের সঙ্গে করার সুবাদে উদ্যোক্তাদের ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ক্রীড়া মন্ত্রী মদন মিত্র। গৌতমবাবু বলেন, “আন্তর্জাতিক মানের দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করুন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পুরসভা সকলের তরফেই আপনাদের সাহায্য করা হবে। শিলিগুড়ির এই প্রতিযোগিতাকে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে তুলে ধরা যাবে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্তর্জাতিক মানের দৌড় প্রতিযোগিতা যাঁরা করেছেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আগামী মহালয়ায় যাতে এই প্রতিযোগিতা করা সম্ভব হয়।” ১৫ কিলোমিটার রোড রেসে প্রতিযোগিতায় এ দিন সেরা হয়েছেন, কিসানগঞ্জের বাসিন্দা সুভাষ চন্দ। ৫৪ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে তিনি দৌড় শেষ করেছেন। দ্বিতীয় সন্দীপ কুমার এবং তৃতীয় প্রবাল ছেত্রী। ভূমিকম্পে সিকিমের দুর্গতদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এ দিন ক্লাবের তরফে ৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়।
|
পুজোয় নিজের কেন্দ্রের দুঃস্থদের নতুন বস্ত্র দিয়ে সাহায্য করলেন চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহবুব। মঙ্গলবার মহালয়ার দিন বিধানসভা এলাকায় ঘুরে ১২টি পঞ্চায়েতের ৩৫০০ দুঃস্থের হাতে নতুন ওই পোশাক তুলে দেন বিধায়ক। দুঃস্থ ওই মহিলা, পুরুষ ও শিশুদের হাতে শাড়ি, ধুতি, লুঙ্গি ও শিশুদের জামা দেওয়া হয়। বিধায়ক বলেন, “পুজোয় সবাই নতুন পোশাক পরেন। অনেকেরই তা কেনার সামর্থ্য নেই। তাই সামান্য কিছু মানুষকে সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করেছি।” |