নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে মহালয়ার দিন দলমোড় চা বাগান বন্ধ করে দিলেন বাগান কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কাজে গিয়ে বাগানের গেটে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিশ দেখতে পান। গত মঙ্গলবার বাগানে পুজোর বোনাস এবং সোমবার ১৫ দিনের রেশন দেওয়া হয়। তার পরে হঠাৎ করে এদিন সকালে বাগানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কার্যত হতভম্ব হয়ে পড়েছেন শ্রমিকেরা।
পুজোর মুখে বিষাদের ছায়া নেমেছে বাগানের শ্রমিক বস্তিতে। চা শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে দ্রুত বাগান চালু করার দাবি জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকি মহাপাত্র বলেন, “এই সময় কেন বাগানটি বন্ধ হল তা বুঝতে পারছি না। বাগানটি যাতে পুনরায় দ্রুত চালু করা যায় তা দেখার জন্য শ্রম আধিকারিকদের বলেছি।”
বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগানের বর্তমান শ্রমিক সংখ্যা ১২৩০ জন। গত জুলাই মাসে বাগানটি কিনে নেন নতুন মালিকপক্ষ। শ্রমিকদের সমস্ত পাওনা মেটানোর পাশাপাশি বাগান চালাতে যাতে শ্রমিকরা মালিক পক্ষের কথা মত কাজ করেন তা নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিক প্রতিনিধিদের একটি চুক্তি হয়। মালিক পক্ষের অভিযোগ, “শ্রমিকদের একটি বড় অংশ ঠিকমতা মত কাজ করছে না। এতে বাগানের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।” বাগানের ম্যানেজার রুপেন্দ্র সিংহ রানাওয়াত বলেন, “মূলত শ্রমিকেরা শৃঙ্খলা না মানায় আমরা বাগান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। শ্রমিকদের একটি অংশ সময় মত কাজ করছে না। আবার যে কাজ করতে বলা হচ্ছে তা ঠিকঠাক করছে না। বাগানের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। এরজন্য সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিশ টাঙিয়ে বাগান বন্ধ করা হয়েছে।” জলপাইগুড়ি জেলার আরএসপি’র শ্রমিক নেতা গোপাল প্রধান বলেন, “ কোনও রকম গোলমাল ছাড়াই যে ভাবে পুজোর মুখে মালিক পক্ষ বাগান ছাড়ল তা মেনে নেওয়া যায় না। পুজোর আগে বাগানটি যাতে খোলে সেই জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের বলা হয়েছে।” |