টুকরো খবর
মহীশূরের বাঁশ-প্রাসাদ
মহীশূরের রাজপ্রাসাদ আর রঙিন ফোয়ারা এ বার চম্পাসারির উত্তর মাল্লাগুড়ি সর্বজনীনের হাতিয়ার। শহরের উত্তর প্রান্তের এই পুজো কমিটি গকয়েক বছর ধরেই শহরের দর্শনার্থীদের চমক দিচ্ছেন। ১৪ লক্ষ টাকার বাজেটে শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরের মাঠে তৈরি করা হচ্ছে ৭১ ফুট বাই ২২৫ ফুট বিশাল মহীশূরের প্রাসাদ। দেখে মনে হতেই পারে যে মহীশূর থেকে গোটা প্রাসাদটিকেই এখানে তুলে আনা হয়েছে। কেবল ৪ হাজার বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে কাঠামো তৈরি করার জন্য। কয়েকশো প্লাই বোর্ড। কাঠামোর ভার ধরে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে লোহার বড় বড় খুঁটি। হুবহু তৈরি করা হচ্ছে প্রাসাদের গম্বুজ। প্রাসাদের সামনে ফুলের বাগান। ১৩ হাজার স্কোয়ার ফুটের এই বাগানটি তৈরি করা হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার বাহারি গাছ দিয়ে। সেই বাহারি গাছের বেশ কিছু চারা বাইরে থেকে আনানো। চারপাশের ঝাড় তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে আরও ৫০ হাজার চারা। ওই বাগানের মাঝে থাকবে তিনটি বড় মাপের ফোয়ারা। মহীশূরের প্রাসাদের সামনের দু’পাশে বাগান। মাঝখান দিয়ে প্রাসাদে যাওয়ার রাস্তা। এখানে অবশ্য দর্শনার্থীদের ঢুকতে হবে বাগানের একপাশ দিয়ে। দর্শনার্থীদের অবাক করতে প্রাসাদের উপরেও আলোর খেলা দেখানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। চম্পাসারির জাতীয় শক্তি সঙ্ঘের সম্পাদক অভিজিৎ কর্মকার বলেন, “মোট ২০ মিনিটের একটা অনুষ্ঠান আমরা দর্শনার্থীদের পেশ করব। আলোর খেলায় মহীশূরের প্রাসাদটি কেমন দেখতে হয় মূলত সেটাই তুলে ধরা হবে। নেপথ্য ভাষণ থাকবে না, কেননা, সেটা অনেকেই জানেন। সব মিলিয়ে আমাদের পুজো দর্শনার্থীরা সেটা পছন্দ করবেন বলে বিশ্বাস করি।” গত জুলাই থেকেই জাতীয় শক্তি সঙ্ঘের মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

অনিয়মে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী
নানা অনিয়মে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের পরিচালন কমিটি ভেঙে দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে একটি ক্লাবের রোড রেস উদ্বোধন করতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি। আপাতত স্টেডিয়াম পরিচালনা করবেন দার্জিলিঙের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। পুজোর পর ৩ দিনের মধ্যে কমিটি পুনর্গঠন করতে সদস্যদের সম্ভাব্য নাম চেয়ে পাঠিয়েছেন মন্ত্রী। শহরের ক্রীড়া সংগঠক, খেলোয়াড়দের নিয়ে ওই কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মদনবাবু। পাশাপাশি অনিয়ম খতিয়ে দেখে দ্রুত রিপোর্ট প্রকাশের কথাও জানিয়েছেন। ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, “স্টেডিয়ামে জলসা বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। তাতে কাজ হয়নি। অডিট হচ্ছে না। স্টেডিয়াম কমিটির কাজকর্ম নিয়ে প্রচুর অভিযোগ এসেছে। সে কারণে স্টেডিয়াম কমিটি ভেঙে দিলাম। আপাতত কোনও কমিটি রইল না। জেলাশাসকের উপর দায়িত্ব থাকছে। ক্রীড়া সংগঠক, খেলোয়াড়দের নিয়ে কমিটি পুনর্গঠনের জন্য নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। গুরুত্ব-সহকারে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।”

স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি করবেন গ্রামবাসীরা
শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের দেওয়াল ভেঙে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধছে খড়িবাড়িতে। সোমবার রাতে খড়িবাড়ি থানার বুড়াগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। রাতেই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের দুই শিক্ষিকা পুলিশ কর্মীদের খবর দেন। সকালে খড়িবাড়ি থানায় গিয়ে অভিযোগও জানান তাঁরা। খবর পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ-প্রশাসন। ওই ঘটনার পরে স্কুল লাগোয়া মাঠের পুজো কমিটির সম্পাদক প্রেম ছেত্রী সহ কয়েকজনের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন ব্লক প্রশাসনের অফিসাররা। প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা প্রাথমিক তদন্তে দুটি কারণে স্কুলঘর ভাঙা হয়ে থাকতে পারে বলে জানতে পেরেছেন। প্রথম কারণ, ওই ঘরে সন্ধ্যার পরে মদ-জুয়ার আড্ডা বসায় তিতিবিরক্ত বাসিন্দারা সেটি ভেঙেছেন। দ্বিতীয়ত, স্কুলের পিছনের মাঠে পুজো কমিটির মণ্ডপ যাতে দেখা যায়, সে জন্য ঘরটি ভাঙা হয়ে থাকতে পারে বলেও অভিযোগ। কিন্তু, পুজো কমিটির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, মণ্ডপ দেখার সঙ্গে ভাঙার সম্পর্ক নেই। বরং রাতে নেশার আসর বসার জন্যই বিরক্ত বাসিন্দারা ওই ঘর ভেঙে দিয়েছেন বলে তাঁদের সন্দেহ। তবে পুজো কমিটি জানিয়েছে, আজ, বুধবার থেকে গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে ওই ঘরটি নতুন করে বানিয়ে দেবেন। খড়িবাড়ির বিডিও শুভাশিস ঘোষ বলেন, “বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসী ও পুজো কমিটির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। সকলে মিলে স্কুলঘরটি বানিয়ে দেবেন।” শিলিগুড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “তদন্ত চলছে।”

এ বার থিম দূষণ-দানব
শহরের বুক বরাবর চলে গিয়েছে মহানন্দা নদী। দু’পাশে একের পর এক গজিয়েছে বসতি, খাটাল, আবর্জনা। শিলিগুড়ি দূষণে ভারাক্রান্ত। সচেতনতা বাড়াতে বিস্তর আলোচনা, নির্দেশ থাকলেও তা অনেকটাই থমকে রয়েছে। দার্জিলিং, গ্যাংটকের মতো প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বর্জন করেছে শিলিগুড়িও। এ বার দেবীবন্দনার ‘থিমে’ উঠে এসেছে দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাজে আরও সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়। শক্তিগড় সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির দেবী এ বার দূষণ-নাশিনী। চারটি থিমে ভাগ করা হয়েছে ক্লাবের মণ্ডপকে। পুরোভাগে দেবী, ‘দূষণনাশিনী’। মূল অংশ জুড়ে মহানন্দা নদী এবং দূষণ। এর থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন পরিচ্ছন্নতা। তাও স্লোগান, মডেলের মাধ্যমে গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে অসম বাংলার মেলবন্ধন করা হচ্ছে নদীর মাধ্যমে। নদীর পাশে মঞ্চে থাকবেন অসমের ২৫ জনের বিহুর দল এবং বাংলার লোকগীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীরা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানও হবে। রয়েছে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নিয়ে প্রচার, প্ল্যাকার্ড। রিসাইক্লিং করা যায় এমন প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার করাই যেতে পারে। কিন্তু ক্যারিবাগ অবশ্যই বর্জনীয়। মডেল, প্ল্যাকার্ড, অডিও-ভিস্যুয়ালের মাধ্যমে তাই তুলে ধরা হচ্ছে ক্লাবের মণ্ডপে। পুরসভার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের প্রচার বাড়াতে মডেল থাকছে মণ্ডপের আরেকটি প্রান্তে। ক্লাব সদস্যদের পরিবেশ বান্ধব এই ভাবনাকে বাস্তবরূপ দিচ্ছেন নবদ্বীপের শিল্পী পঞ্চানন্দ দেবনাথ এবং তাঁর সঙ্গীরা। পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ধীরাজ দেবনাথ, বিশ্বজিৎ বসু’দের আশা, “সরকারি বেসরকারিভাবে দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার কাজ হয়। আমাদের এই সার্বিক প্রচেষ্টা শহরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।”

পুজোয় ঘাটে পুর পরিষেবা
তর্পণ বা বিসর্জনের সময় মহানন্দা ঘাটে পরিষেবা দিতে উদ্যোগী হল এসজেডিএ এবং পুরসভা। ঘাটে আসা বাসিন্দাদের জন্য শৌচাগারের ব্যবস্থাও থাকবে। এ দিন ঘাটে তর্পণের জন্য পুরোহিতের ব্যবস্থা ও শিবির করা হয় এসজেডিএ’র তরফে। বিসর্জনের দিনও শিবির করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরসভার তরফেও ঘাট সাজিয়ে তোলা হবে বলে জানানো হয়েছে। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “বিসর্জনের ঘাটে পরিষেবা দিতে পুরসভার তরফে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘাট আলো দিয়ে সাজানো হবে। ফুল, বেল পাতা যাতে কেউ নদীতে না ফেলেন তার জন্য ব্যবস্থা থাকবে। বিসর্জনের পরেই কাঠামো নদী থেকে সরাতে কর্মীরা থাকবেন। পুরসভার তরফে মেডিক্যাল টিমও রাখা হবে।” এসজেডিএ’র তরফেও বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকছে। এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “প্রবীণ যাঁরা ঘাটে যাবেন তাঁদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে। এসজেডিএ’র তরফে হেল্প ডেস্ক করা হবে।”

নজরদারিতে স্মারকলিপি
পুজোর মুখে পুলিশি নজরদারি জোরদার করার দাবিতে শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিল সিপিএমের শিলিগুড়ি ২ নম্বর লোকাল কমিটি। মঙ্গলবার খালপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সম্প্রতি শিলিগুড়ি থানার এনটিএস মোড়ে একটি সোনার দোকানের নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করে ডাকাতি করে ৫ দুষ্কৃতী। পুলিশ দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করলেও গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ছাড়াও শহরে মোটর বাইকে দুষ্কৃতীদের একটি দল ছিনতাই করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাই পুজোয় নজরদারি জোরদার করার দাবি করেছে সিপিএম। তাদের দাবি, পুরসভার ৬, ৭, ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ড ব্যবসায়িক কেন্দ্র। সেখানে বিভিন্ন দোকানে অনেক টাকার লেনদেন হয়। সিপিএমের ২ নম্বর লোকাল কমিটির পক্ষে সঞ্জয় টিবরেওয়াল বলেন, “পুজোয় শহরে যাতে দুষ্কৃতীরা হানা দিতে না পারে সেদিকে লক্ষ রেখেই নজরদারি জোরদারের দাবি করা হয়েছে।”

ফাঁকা অটোয় ধাক্কা ট্রেনের
ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ল একটি অটো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে রাজগঞ্জ থানার রানিনগরে। ওই ঘটনায় অবশ্য কেউ জখম হয়নি। এদিন সন্ধ্যায় এনজেপি থেকে বামনাহাটের দিকে যাচ্ছিল বামনহাট-এনজেপি প্যাসেঞ্জার। সেই সময় রানিনগরের কাছে লাইন পেরোতে গিয়ে অটোটি আটকে যায়। গাড়ি ফেলে পালায় চালক।

কামরায় মহালয়া
ট্রেনে অভিনব কায়দায় মহালয়া পালন করল আলিপুরদুয়ার সাংস্কৃতিক সংস্থা। মঙ্গলবার জংশন থেকে বামনহাট প্যাসেঞ্জার ট্রেনে রেল দফতরের বিশেষ অনুমতি নিয়ে মহালয়া উপলক্ষে গানবাজনার অনুষ্ঠান হয়। সংস্থার সম্পাদক ভাস্কর চৌধুরি জানান, ভোর সাড়ে ৬টায় আলিপুরদুবার জংশন স্টেশনে ঢাক ও ধুনুচি নাচ হয়। তার পর ট্রেনের কামরায় ঢাক সহকারে তাঁরা গান বাজনা করতে করতে বামনহাট যান। সাধারণ মানুষ, বামনহাটের শিল্পীরা ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.