সৌমিত্র কুণ্ডু • শিলিগুড়ি |
অ্যালুমিনিয়ামের সিট কেটে তৈরি নানা অলঙ্কার দিয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে মন্দিরের চূড়া! সোনা রঙের ওই সমস্ত অলঙ্করণ থেকে ঠিকরে পড়বে সোনালি আলো। এক ঝলক দেখেই তাজ্জব হতে হবে। ঠিক যেন সোনার পাতের নকশা দিয়ে মন্দিরের গোটা চূড়াটি সাজিয়ে তোলা। শুধু চূড়া কেন স্তম্ভ, দেওয়াল-সহ গোটা মন্দির জুড়েই অ্যালুমিনিয়ামের পাত কেটে চোখ ধাঁধানো ওই অলঙ্করণের কাজ থাকছে। এ বার পুজোয় দাদাভাই ক্লাবের মন্ডপসজ্জায় এমনই জমক দেখবেন দর্শনার্থীরা। মাস দুয়েক ধরে হায়দরপাড়ায় শিল্পীর কারখানায় অ্যালুমিনিয়ামের সিট কেটে নকশা তৈরির কাজ চলছে। উদ্যোক্তারা জানান, মন্দিরটি তৈরি করা হচ্ছে ওড়িশার ধবলগিরির একটি মন্দিরের ধাঁচে। ৫০ ফুট লম্বা এবং প্রায় ৩৫ ফুট উচ্চতার মণ্ডপটি। মন্দিরের সামনের চাতালটি ৬ ফুট উঁচু। তার গায়ে চার ফুটের প্যানেলে হরিণ এবং হাতির মডেল। সেগুলিও তৈরি হয়েছে অ্যালুমিনিয়ামের সিট দিয়ে। একটি হরিণ, একটি হাতির মডেল পরপর করে সাজানো। পোড়া মাটির ঘোড়া, হাতির রূপ যেমন হয় সেই আদলে তৈরি হবে মডেলগুলি। মন্দিরের সামনে সিঁড়ি। চাতালের উপর সামনের দিকে ৪ টি বড় স্তম্ভ। সেগুলির পিছনেও আরও ৪ টি স্তম্ভ। অ্যালুমিনিয়ামের সিট কেটে করা অলঙ্করণ দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে স্তম্ভগুলি। সেগুলির গায়ে থাকছে নৃত্যরত নর্তকীরা। নাচে তাদের বিভিন্ন মুদ্রা সবই ফুটে উঠছে অ্যালুমিনিয়ামের পাত দিয়ে। সোনালি রঙের ওই মূর্তিগুলিও নজর কাড়বে। নৃত্যরত নর্তকীদের মতো মেয়েরা ঢোল-সহ বিভিন্ন বাজনা বাজাচ্ছেন এমন মূর্তিগুলিও সেখানে স্থান পাবে। চূড়ার মাথায় অর্ধ চন্দ্রাকার গম্বুজ। তাতে অ্যালুমিনিয়ামের সিট কেটে শিবের মূর্তি, অলঙ্করণ থাকছে। অ্যালুমিনিয়ামের পাত কেটে করা নকশা, কলকা, বিভিন্ন অলঙ্করণগুলির উপর সোনালি রঙ করা হচ্ছে। মন্দির প্লাইবোর্ড দিয়ে তৈরি হচ্ছে। কালচে সবুজ রঙের। তার উপর সোনালি অলঙ্করণ, মডেলগুলি বসানো হচ্ছে মন্দিরের চুড়া থেকে দেওয়াল, স্তম্ভ সর্বত্রই। গাঢ় রঙের উপর সোনালি অলঙ্করণে আলো পড়তেই সেগুলি সোনার মত জ্বলজ্বল করে উঠবে। বাইরের শিল্পীদের দিয়ে নয় স্থানীয় শিল্পী সত্য শিব সেনগুপ্ত এবং তাঁর সহকারী বিমল সাহা এই মণ্ডপসজ্জার দায়িত্বে। মন্দিরের সঙ্গে মিল রেখে দেবী মূর্তিটিও আগুনের রঙে উজ্জ্বল। দশভূজা, লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী একটি চালার মধ্যেই। সিঁড়ির মুখে, বড় স্তম্ভগুলির মাঝে জায়গা করে বসানো হবে দেবী মূর্তি। পুজো কমিটির অন্যতম বাবুল পাল চৌধুরী বলেন, “পূজো ৩০ বছরে পড়ল। ওড়িশার ধবলগরি পাহাড়ের মন্দিরের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি মণ্ডপসজ্জা আশা করি দর্শনার্থীদের ভাল লাগবে। পুজোর দিনগুলিতে মণ্ডপের সামনে ক্লাবের মাঠে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানস থাকছে। পুজোর দিনগুলিতে দরিদ্রনারায়ণ সেবা, বস্ত্র বিলির অনুষ্ঠান। সবের মাঝেই নজর কাড়বে সোনা রঙের কারুকাজে মোড়া মন্দিরটি।”
ট্রেনে মহালয়া। ট্রেনে অভিনব মহালয়া পালন করল আলিপুরদুয়ার সাংস্কৃতিক সংস্থা। মঙ্গলবার জংশন থেকে বামনহাট প্যাসেঞ্জার ট্রেনে রেল দফতরের বিশেষ অনুমতি নিয়ে মহালয়া উপলক্ষে গানবাজনার অনুষ্ঠান হয়। |