• শামুকতলার পুরনো পুজোর মধ্যে অন্যতম শামুকতলা দুর্গাবাড়ির দুর্গাপুজো। ১৯৪৭ সালে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন শিকারি কুমুদকান্তি মুখোপাধ্যায় সহ বিশিষ্টজনেরা। আর শামুকতলা দুর্গাবাড়ির পুজো মানে মঞ্চ বেঁধে যাত্রা গান। ঢাক আর সানাইয়ের সুর। চারদিনের মেলা। ৬৫ বছর ধরে সেই ট্রাডিশন থেকে একটুকুও সরে আসেনি দুর্গাবাড়ি। পুজো কমিটির অন্যতম দুই সদস্য সুভাষ ঘোষ ও প্রভাস পাল বলেন, “৬৫ বছর আগে যে ট্রাডিশন শুরু হয়েছিল, তার থেকে আমরা সরতে চাই না। চারদিনের মেলা বসছে। মুক্ত মঞ্চে দু’দিন থাকছে যাত্রাগান। মণ্ডপে গড়া হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। প্রতিবছর রথযাত্রার দিন কাঠামো পুজোর মধ্য দিয়ে প্রতিমা গড়া শুরু হয়। কোচবিহারের দিনহাটা থেকে ঢাক এবং সানাই শিল্পীরা আসছেন। পুজোর আয়োজনে চকম থাকে না। তবে নিষ্ঠা ভরে পুজো হয় এখানে।”
• ফি বছর মহালয়া থেকেই অষ্টদশভূজা দেবী দুর্গাপুজা শুরু হয়ে যায় নিউ কোচবিহার লাগোয়া বাইশগুড়ি মানবকল্যাণ সঙ্ঘাশ্রমে। এবার শুরু হচ্ছে মহালয়ার পরদিন আজ, বুধবার থেকে। সংঘাশ্রম কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার পুজোর ১৪তম বর্ষ। মহালয়ার দিন অমাবস্যা থাকায় পুজো করা যায়নি। বুধবার সকালে দেবী প্রতিমার সামনে ঘট বসিয়ে পুজো শুরু হবে। দশমী পর্যন্ত টানা পুজো চলবে। তার মধ্যে অষ্টমীর দিন কুমারী পুজোর রীতিও মানা হবে। ওই সংঘাশ্রমের তরফে স্বামী গণেশানন্দ বলেন, “স্বপ্নাদেশে শুরু হওয়া আঠারো হাতের দেবীর পুজো দশমী পর্যন্ত চলবে। এখানকার প্রতিমা বিসর্জন হবে না। দশমীতে শুধু ঘট বিসর্জন দেওয়া হবে।” এদিন দর্শনার্থীদের ভিড় সকাল থেকেই উপচে পড়ে।
• রজত জয়ন্তী বর্ষে বারবিশা ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাবে দেখা মিলবে জীবন্ত দুর্গা, অসুর, লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক-এর। মেদিনীপুরের শিল্পীরা তৈরি করবেন বিশাল স্বর্ণমন্দির। প্রতিমা কলকাতার কুমারটুলি থেকে। ষষ্ঠীর সকালে ২৫টি ঢাক বাজিয়ে ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে প্রভাতফেরি। শারদোৎসবের উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী রাজেন্দ্রনাথ দাস। বিহু নাচ, ভাওয়াইয়া গান সহ নানান লোকসংস্কৃতিকে তুলে ধরবার প্রয়াস নিয়েছে তারা। ক্লাব সম্পাজক বিষ্ণু সাহা বলেন, “শীতবস্ত্র বিতরণ, দরিদ্রনারায়ণ সেবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুজোর খরচ কমিয়ে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
• ১২৫তম দুর্গাপুজা উপলক্ষে তুফানগঞ্জ শহরে মহালয়ায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করল আদি বারোয়ারী পুজো কমিটি। মোট সাতটি ট্যাবলো সাজিয়ে দুর্গার বিভিন্ন রূপ তুলে ধরা হয়। এলাকার শিল্পীরাই দুর্গার বিভিন্ন রূপে সেজে শো করেন। কমিটির কর্তা জহর ধর বলেন, “শোভাযাত্রায় ১২৫টি ঢাক ও আগমনী গান ছিল।”
• মহালয়ায় ৩০০ দুঃস্থের হাতে নতুন পোশাক তুলে দিল তুফানগঞ্জ নিউটাউন বারোয়ারী (দক্ষিণ) পুজো কমিটি। মঙ্গলবার দুপুরে বীণাপাণি ক্লাব চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পোশাক বিলি হয়েছে। জেলা পরিষদ সভাধিপতি দিলীপ বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলাশাসক সুদীপ মিত্র উপস্থিত ছিলেন। পুজো কমিটির কর্তা প্রবীর সাহা বলেন, “গ্রামীণ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির সাহায্যে পোশাক বিলি হয়। |