বৃষ্টির জমা জল দ্রুত সরানোর দাবিতে রবিবার থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন হাবরা পুরসভার ৫ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরা মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। এ দিন হাবরা শহরে এক নম্বর রেলগেটে শতাধিক মানুষ যশোহর রোড এবং রেল অবরোধ শুরু করেন। গাইঘাটার ঠাকুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মন্ত্রীর গাড়ি আটকে পড়ে অবরোধে। অবরোধকারীরা তাঁর কাছে অবিলম্বে জল সরানোর দাবি জানাতে থাকেন। মন্ত্রী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। কিন্তু তাতেও অবরোধকারীরা সন্তুষ্ট হননি। পুলিশ গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও তাঁদের তাড়া করেন। সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে ওই ড়অবরোধের জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় হাবরা শহরে। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “সিপিএমের মদতে অবরো করা হয়েছিল। গত ৩৪ বছরে ওরা নিকাশী ব্যবস্থার উন্নতিতে কিছুই করেনি। আমরা করব। কিন্তু সময়ট দিতে হবে। কোনও অবরোধ করতে দেওয়া হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তৃণমূলের অভিযোগ, এ দিন পুরসভার কর্মীরা জলমগ্ন এলাকায় কাজ করতে গেলে সিপিএমের লোকেরা তাঁদের তাড়িয়ে দেয়। হাবরা পুরসভার বিরোধী দলনেতা, সিপিএমের ঋজিনন্দন বিশ্বাস বলেন, “তৃণমূল আগে বলত ম্যানমেড বৃষ্টি বা বন্যা। এখন মানুষের সমস্যার কথা অনুধাবন না করে সিপিএমের উপর দোষ চাপাচ্ছে। আমরা পরিকল্পিত নিকাশি ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন শুরু করব।”
পুরপ্রধান, তৃণমূলের তপতী দত্ত বলেন, “পদ্মনালার উপরেই বাড়িঘর করা হয়েছে। ফলে, নালা বলে কিছু নেই। আমরা জল বের করার চেষ্টা করছি। জলা বুজিয়ে দোকান, বাড়ি তৈরি হওয়া নতুন কোনও ঘটনা নয়। এখানকার নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল পদ্মনালার উপর নির্ভর করে। কিন্তু ওই নালার আজ আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। সর্বত্রই বেদখল হতে বসেছে।”
|