বেহুঁশ অবস্থায় কামরায় পড়ে থাকা দুই বাংলাদেশি মহিলাকে উদ্ধার করলেন সহ-যাত্রীরা। হাওড়া থেকে মালদহ যাওয়ার পথে তাঁদের মাদক খাইয়ে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুঠ করে নেওয়া হয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ওই প্যাসেঞ্জার ট্রেনেই নিমতিতা যাচ্ছিলেন সামশুল ইসলাম এবং রেজিনা বিবি। সহ-যাত্রীদের মধ্যে তাঁদেরই প্রথমে নজরে পড়ে অঘোরে ঘুমোচ্ছেন ওই দুই মহিলা। রেজিনা জানান, সংরক্ষিত কামরায় তাঁরা পাশাপাশি বসেই যাচ্ছিলেন। আলাপ হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ গল্পও করেন তাঁরা। আজিমগঞ্জ পর্যন্ত তাঁরা জেগে ছিলেন। তারপরে ঘুমিয়ে পড়েন। রেজিনা বলেন, “ভোরে ঘুম ভেঙে দেখি ওঁরা বেঘোরে ঘুমোচ্ছেন। ধাক্কা দিয়েও ওঁদের সাড়া না মেলায় সন্দেহ হয়। তারপরেই বুঝতে পারি ওঁরা বেহুঁশ হয়ে পড়েছেন।” মূলত ওই দম্পত্তির উদ্যোগেই এরপর ওই দুই যাত্রীকে নামিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁরা। সেই সময়েই তাঁদের ভিসা ও পাসপোর্ট দেখে বোঝা যায়, দু’দনেই বাংলাদেশের নাগরিক। পরে জানা গিয়েছে পুজোয় ওই দুই মহিলা তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে মালদহ যাচ্ছিলেন। জ্ঞান ফিরলে তাঁরা জানান, সোনার গয়না-সহ বেশ কয়েক হাজার নগদ টাকা খোয়া গিয়েছে তাঁদের।
|
ট্রাকবোঝাই ইউরিয়া সার পাচার আটকালেন গ্রামবাসী ও সার বিক্রেতারা। মঙ্গলবার সকালে নবদ্বীপ-কৃষ্ণনগর রাস্তার নবদ্বীপ রেল স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটে। গাড়িটি থেকে প্রায় ২০০ বস্তা ইউরিয়া সার আটক করেছে কৃষি দফতর। তবে গাড়ির চালক পলাতক। ট্রাকটি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। স্থানীয় কৃষক ধনঞ্জয় দাস ও ভানুপ্রতাপ চৌধুরী অভিযোগ, “দাম বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বিক্রেতারা সার বিক্রি করতে পারছেন না। নদিয়ার জন্য নির্ধারিত সার অন্য জায়গায় পাচার করা হবে তা হতে দেওয়া যায় না।” জেলা কৃষি দফতরের উপ অধিকর্তা (প্রশাসন) হরেন্দ্রকুমার ঘোষ বলেন, “আমরা ট্রাক সমেত ২০০ বস্তা সারই বাজেয়াপ্ত করেছি। রাজ্য জুড়েই সারের সঙ্কট চলছে। পাচারের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের খুঁজে বের করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
বিতর্কিত একটি জমির দখল নিয়ে সোমাবার রাত থেকে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে দুই গোষ্ঠী। স্থানীয় মাজদিয়া মৃগীমারি গ্রামের ওই মাঠটির দখলদারি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই গণ্ডগোল চলছিল। তারই জেরে সোমবার গভীর রাতে ফের শুরু হয় দু-পক্ষের হাতাহাতি। ক্রমে তা লাঠালাঠিতে গড়ায়। ওই ঘটনায় অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ গ্রামে যায়। তবে ধরা পড়েনি কেউই। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গ্রামের ওই জমিটি এক অনাবাসীর। দীর্ঘদিন ধরেই তা গ্রামেরই লোকজন নানা ভাবে ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তার দখল নিতে কিছু বহিরাগতের আনাগোনা শুরু হয়েছে। অভিযোগ, ওই দিন রাতেও তারাই জমির দখল নিতে এসেছিল। ওই বহিরগতদের দাবি, জমিটি তারা কিনে নিয়েছে। বিবাদের সূত্রপাত তা থেকেই।
|
ছানা ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট উঠে গেল। গত ৬ দিন ধরে তাঁদের ওই ধর্মঘটের ফলে পুজোর মুখে মিষ্টির বাজার নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল। মিষ্টি ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে শম্ভুনাথ সরকার বলেন, “১৯৯ টাকা কেজি দরে ছানা কেনা-বেচার শর্তে এক মাসের জন্য চুক্তি হয়েছে ছানা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। পুজোর সময়ে ছানায় টান পড়লে বাইরে থেকেও ছানা কেনা যাবে বলে ওঁরা রাজি হয়েছেন।”
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। নাম বিনয় দাস (৪৫)। বাড়ি কান্দির বড়ঞার গ্রামে। পুলিশ জানায় কীটনাশক খেয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কারণ অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।
|
বড়ঞার সরোয়া গ্রামের নিজের বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হল সনৎ ঘোষ (৫৭) নামে এক ব্যক্তির। পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যার ঘটনা।
|
সর্বাঙ্গপুর এবং দুধসর, মুর্শিদাবাদের দুই গ্রামের বাসিন্দারা ঈদ কিংবা দুর্গোপুজো সীমানা ডিঙিয়ে দুই সম্প্রদায়কে মিশিয়ে দেন এ ভাবেই, শারদীয় উৎসবের বাইচ প্রতিযোগীতায়। কোদালকাটি খালে রবিবার থেকে তিন দিন ধরে চলল বাইচের দৌড়। |