৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় অগম্য অবস্থার জেরে দু’টো রুটের বাস চলাচলই বন্ধ হয়ে গেল মহালয়ার দিন থেকে।
মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর-কালনা ঘাট এবং কৃষ্ণনগর-রানাঘাট রুটে বাসকর্মীরা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, রাস্তা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত তারা জাতীয় সড়কে বাস চালাবেন না। ওই পথে শান্তিপুরের লাগোয়া গোবিন্দপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থা সব থেকে খারাপ। সেখানে রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হলেও তা যে বিশেষ কার্যকর হয়নি ক্রমান্বয়ে বাস-বিকল হয়ে পড়ে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এ নিয়ে বেশ কয়েকবার রাস্তা অবরোধও করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ দিন বাস মালিক সংগঠনের পক্ষে অসীম দত্ত বলেন, “ওই রুটে বাস চালাতে চাইছেন না কর্মীরাই। তাঁদের আশঙ্কা যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর তা হলে প্রাথমিক দায় যে বাস-কর্মীদের উপরেই বর্তাবে তা বলাই বাহুল্য।” জেলাশাসক অভিনব চন্দ্রা বলেন, “৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। গত পাঁচ মাসের হিসোবে বলছে, ওই সড়কে নদিয়া জেলা জুড়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৭৩ জন।”
এ নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার জেলা প্রশাসন কথা বললেও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। সড়ক কৃর্তপক্ষের দায়সারা মনোভাব দেখে জেলা প্রশাসন নিজেরাই শ্রমিক দিয়ে রাস্তা মেরামতির প্রাস্তাবও দিয়েছে।
তবে সে ব্যাপারে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের নদিয়া-মুর্শিদাবাদ ডিভিশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার গৌতম দত্তের বিশেষ হেলদোল দেখা যায়নি। তিনি বলেন, “বর্ষা না গেলে ওই রাস্তা সারানোর কোনও মানে হয়না।” তাঁর ব্যাখ্যা, গোবিন্দপুরের কাছে রাস্তায় জল জমে থাকে বলেই সেখানে দ্রুত রাস্তা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। |