ইস্টবেঙ্গলের প্রাণভোমরা মেহতাব হোসেন মনে করছেন, ফেডারেশন কাপ ফাইনালে তাঁদের সবচেয়ে চিন্তার কারণ জাপানি তারকা সুয়োকা।
আগের রাতেই মেহতাব ভারত সেরা ফুটবলার হিসেবে দুটো পুরস্কার পেয়েছেন। সতীর্থ ফুটবলার ও ভক্তদের ভোটে। সতীর্থ ফুটবলারদের ভোটে সেরা হওয়ার কৃতিত্বকে ইউরোপের ফুটবলে বড় করে দেখা হয়। সারা দিন ধরে অভিনন্দনে ভাসতে ভাসতে মেহতাব শুরু করে দিয়েছেন ফাইনালের চিন্তা। বললেন, “যে করেই হোক, জিততে হবে। সালগাওকর ভাল দল। ম্যাচটা কঠিন। কিন্তু ও সব ভাবার সময় আর নেই।”
সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি। ফাইনালে কি খেলতে পারবেন? মেহতাব বললেন, “মনে হচ্ছে, খেলতে পারব। তবে দেখি শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়। সেমিফাইনালের দু’ঘণ্টা আগে মাঠে নেমে দেখেছিলাম, এমনি সব ঠিক আছে। কিন্তু লং শট নিতে পায়ে লাগছে। তাই ঝুঁকি নিতে চাইনি। এখন এমনিতে সমস্যা নেই। তবে সারা মরসুম পড়ে রয়েছে। বেশি তাড়াহুড়ো করব না।” সালগাওকরের কাছে গত বারে হেরেই আই লিগ জেতার স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের। বৃহস্পতিবার কি শোধ তোলার ম্যাচ? ইস্টবেঙ্গলের অনেক ফুটবলারের মুখেই ঘুরছে কথাটা। মেহতাব মানেন না। বললেন, “ওই ভাবে পুরনো কথা মনে রাখি না। এখন নতুন মরসুম। নতুন ম্যাচ। ওই ভাবে দেখা উচিত পুরো ব্যাপারটা।” জাপানি মিডফিল্ডার সুয়োকা এবং নাইজিরিয়ান চিডি এডের বোঝাপড়াকে গুরুত্ব দিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাণভোমরা। তাঁর কথায়, “চিডি আর সুয়োকার বোঝাপড়া খুব ভাল জায়গায়। সুয়োকা মাঝমাঠে ভাল দৌড়য়।” |
মেনে নিলেন, “প্রয়াগ ইউনাইটেড ভাল টিম সালগাওকরের তুলনায়। আমাদের ওরা সত্যি সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল।”
মঙ্গলবার প্র্যাক্টিসে ছুটি দিয়েছিলেন ট্রেভর মর্গ্যান। তিনি আশায়, মেহতাব ফিরলে দলটা ছন্দে ফিরবে। টিম ম্যানেজমেন্টের ধারণা, মেহতাব ফাইনালে দলে ফিরলেও রাজুর ফেরা কঠিন। তবে সবই জানা যাবে, বুধবারের প্র্যাক্টিসের পরে। মর্গ্যান এমনিতে দলে ব্যাপক পক্ষপাতী নন। করিম বেঞ্চারিফার দলের বিরুদ্ধে আরওই ঝুঁকি নেওয়ার প্রশ্ন নেই। ইস্টবেঙ্গলের বড় সুবিধে হল, রবিন সিংহ প্রথম দলে ফিরছেন। রবিনের দুটি গোল রয়েছে টুর্নামেন্টে। ফেড কাপ ফাইনালের আবহের মধ্যেই ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে, এএফসি কাপে খেলা নিয়ে। গত দু’বছরই এএফসি কাপে গিয়ে প্রথম দিকেই হেরেছে দল। এ বার তার পুনরাবৃত্তি হবে বলে মনে করছেন না ফুটবলাররা। তবে কোচেরা উদ্বিগ্ন, আই লিগের মাঝেমাঝে কলকাতা লিগের খেলা পড়ে যাওয়ায়। কলকাতার তিন বড় ক্লাবের কর্তাদের মনোভাবেই পরিষ্কার, এ বার কলকাতা লিগে তাঁদের পক্ষে পূর্ণ শক্তির দল নামানো কঠিন। আই লিগে ভাল খেলতে হলে কলকাতা লিগে পুরো শক্তির দল নামানো যাবে না। |