ফেডারেশন কাপের ফাইনালে খেলতে নামার আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে হঠাৎই সরগরম ইস্টবেঙ্গল-সালগাওকর বাগযুদ্ধ।
মঙ্গলবার অনুশীলনের পর ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে এডে চিডির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, “কলকাতায় খেলছি বলে ইস্টবেঙ্গলকে ইচ্ছে করে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে রেফারি।” নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকারের যাবতীয় অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিল লাল-হলুদ শিবির। উল্টে চিডিকে পাল্টা আক্রমণ করে মেহতাব হোসেন বললেন, “বোকা বোকা কথা বলছে চিডি। ও নিজেই তো লাজং ম্যাচে ইচ্ছা করে গোলকিপারকে ধাক্কা মেরে গোল করেছে। রেফারি ভুল না করলে গোলটাই পেত না।” মেহতাবের সঙ্গে গলা মেলালেন পেন ওরজিও। বলছিলেন, “ফুটবল ছেড়ে অজুহাতের খেলা শুরু করেছে। আমার ধারণা, ফাইনালের আগের চাপটা নিতে পারছে না। তাই উল্টোপাল্টা বকছে।”
চিডি গলা ফাটালেও করিম অবশ্য কোনও বিতর্কের ফাঁদে পা দিচ্ছেন না। যুবভারতীতে দাঁড়িয়ে কলকাতা ময়দানে কোচিং করে যাওয়া কোচ শুধু বললেন, “ফাইনাল খেলা সব সময় আলাদা হয়। ম্যাচ পঞ্চাশ-পঞ্চাশ।” আগের দিন ভারতের সেরা কোচ হয়েছেন করিম, ফুটবলারদের ভোটে। তাঁর গলায় আত্মবিশ্বাস। মজার ব্যাপার হল, রেফারি-বিতর্কে যখন ইস্টবেঙ্গলের দিকে আঙুল তুলছে সালগাওকর, তখন সেমিফাইনালে লাজং কোচ প্রদ্যুম রেড্ডি আবার চিডির গোলের পর সেই রেফারিকেই দায়ী করেছিলেন। প্রদ্যুম অভিযোগ করেছিলেন, সালগাওকরের হয়ে গোলটা করে গেলেন রেফারি। চিডি নয়। চিডিকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আমার গোলটা ন্যায্য ছিল।” ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “যে রাজ্যে খেলা হচ্ছে সেখানকার ক্লাব সুবিধে পায় কি না সেটা ফেডারেশন বলতে পারবে। অ্যালান গাও, ভাসুমের বেলায় আমাদের ভুগতে হয়েছে। ন্যায্য পেনাল্টি পাইনি।” ইস্টবেঙ্গলের কাকে সবচেয়ে ভয় পাচ্ছেন? মিডফিল্ডার সুয়োকা নাম করলেন উগা ওপারার। বললেন, “আমি কাউকে ভয় পাচ্ছি বলব না। তবে ওপারার বড় শরীর একটা সুবিধা ইস্টবেঙ্গলের।” ট্রেভর মর্গ্যানের পক্ষে স্বস্তির খবর, তাদের পুরোনো ফুটবলার মেহরাজউদ্দিন ফাইনালে কার্ডের জন্য নেই। এক নম্বর স্টপার লুসিয়ানোর বাঁ পায়ের গোড়ালিতে চোট। ব্রাজিলিয়ানের অবশ্য বিশ্বাস, ফাইনালের আগে সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। যুবভারতীতে টিম যখন অনুশীলনে মগ্ন, তিনি তখন মাঠের এক ধারে ব্যস্ত শুশ্রূষায়। তারই ফাঁকে বলছিলেন, “ফাইনালটা খেলতে চাই।” |