|
|
|
|
কেন্দ্রীয় নির্দেশ |
উন্নয়নের কাজ দেখতে এ বার স্বেচ্ছাসেবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘পিছিয়ে পড়া’ জেলায় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে, তা দেখভালের জন্য ‘স্বেচ্ছাসেবক’ নিয়োগ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই ‘ভারত নির্মাণ স্বেচ্ছাসেবক’রা ‘পিছিয়ে পড়া’ জেলাগুলিতে কেন্দ্রের বিশেষ প্রকল্প ‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান’ (আইএপি)-এর কাজকর্ম দেখভাল করবে। আইএপি-র কাজ চলছে পশ্চিম মেদিনীপুরেও। সেই মতো মাওবাদী উপদ্রুত এই জেলায় ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হচ্ছে। ঠিক কী করবে এই স্বেচ্ছাসেবকরা? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকেরা গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজকর্ম দেখভাল করবেন। আইএপি-র কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, গ্রাম পঞ্চায়েত কী ভাবে কাজ করছে, কোথায় ত্রুটি থাকছে, গণবন্টন ব্যবস্থা ঠিকমতো চলছে কি না সব খতিয়ে দেখে প্রশাসনকে রিপোর্ট দেবে তারা। সেই সঙ্গে গ্রামের মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনও করবে এই স্বেচ্ছাসেবকরা। তা সে স্বাস্থ্য হোক বা শিক্ষা। তবে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের মাপকাঠি কী হবে, সে ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে কোনও নির্দেশিকা পৌঁছয়নি। এই সব স্বেচ্ছাসেবকরা পারিশ্রমিক পাবেন কিনা, তাঁদের যোগ্যতা কী হবে, তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় কী ভাবে ঘুরে বেড়াবেন, কাকে রিপোর্ট দেবেন এই সব বিষয় নির্দিষ্ট ভাবে না জানানোয় দ্রুত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা যাবে না বলেই প্রশাসন জানিয়েছে। এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, “এ বিষয়ে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। রাজ্য সরকার কোন পদ্ধতিতে নিয়োগ করবে, তা জানানোর পরই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
প্রথমে শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুরেই আইএপি-র কাজ শুরু হয়েছিল। পরে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়াকেও এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। ফলে, এই দু’টি জেলাতেও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর পরেই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশিকা চাওয়া হবে। |
|
|
|
|
|