রাজাবাজারের হাল ফিরুক, উঠছে দাবি
হরের জমজমাট বাজার। দিনে কয়েকশো বিক্রেতা নানা সব্জির পসরা সাজিয়ে বসেন। ভিড় জমান কয়েক হাজার ক্রেতা। এমন একটি বাজারও বেহাল মেদিনীপুরে।
বহু দিন আগে একটি একতলা শেড ও কয়েকটি ঘর তৈরি করা হয়েছিল রাজাবাজারে। অধিকাংশেরই দরজা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ছাদ ভেঙে জল পড়ার উপক্রম। বিক্রেতারা বাজারের পরিধি ছাড়িয়ে একেবারে রাস্তায় গিয়ে বসছেন। ফলে, যাতায়াতে ভোগান্তির অন্ত নেই। সমস্যা হচ্ছে বিক্রেতাদেরও। সব জেনেও পুরসভা উদাসীন বলেই অভিযোগ। উপ-পুরপ্রধান এরশাদ আলি বলেন, “রাজাবাজার নিয়ে নানা সমস্যার কথা উঠে আসছে। পুজোর পরেই এ নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। বাজারের সংস্কারের পাশাপাশি তা দোতলা করারও পরিকল্পনা রয়েছে।”
—নিজস্ব চিত্র।
পুরসভার তৈরি এই বাজারে প্রায় তিরিশটি ঘর রয়েছে। আর শেডের নীচে বসতে পারেন আরও ৫০ জন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘর পিছু ভাড়া মাসে ৩০০ টাকা। আর শেডের নীচে বসলে দিনে ৫ টাকা। এই টাকা পুরসভারই প্রাপ্য। এর বাইরেও অনেকে সব্জি বিক্রি করতে বাজারে আসেন। তাদের সংখ্যা প্রায় ৩০০। মূল বাজার এলাকা ছাড়িয়ে আশপাশে পসরা নিয়ে বসেন এঁরা। এঁদের কাছ থেকে দিনে ৩ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হয়। রাজাবাজার লিজ দিয়েছে পুরসভা। সেই মতো বছরে ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা পুরসভার কোষাগারে যায়। অর্থাৎ বাজার থেকে পুরসভার আয় নেহাত মন্দ নয়। তা সত্ত্বেও বাজার এলাকায় ন্যূনতম পরিষেবা দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। তাছাড়াও পুরসভায় যদি পুরো বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সেক্ষেত্রে পুরসভার আয় বাড়বে বলেও সকলের অভিমত। কিন্তু পুরসভার এ বিষয়ে কোনও চিন্তাভাবনা নেই বলে অভিযোগ। তবে এই বছরই বাজারের লিজের মেয়াদ শেষ হবে বলে পুর- কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে রাজাবাজারের নিয়ন্ত্রণ পুরসভার হাতেই ছিল। কিন্তু তা করতে গিয়ে পুরসভাকে ভর্তুকি দিতে হয়েছিল। কারণ, বাজার দেখভালের জন্য ৬ জন কর্মীকে নিয়োগ করতে হয়েছিল। বাজার পরিষ্কার, টাকা সংগ্রহ-সহ নানা কাজ করতেন ওই ৬ জন। কিন্তু তাতে বছরের শেষে কর্মীদের টাকা দিতেই বাজার কেন্দ্রিক আয়ের গোটা টাকাটা ব্যয় হয়ে যেত। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ২০-৩০ হাজার টাকা ভর্তুকিও দিতে হত। বেসরকারি সংস্থাকে লিজ দেওয়ার পরে সেই সমস্যা মিটলেও বাজার ক্রমশ বেহাল হয়েছে বলেই অভিযোগ। এ বার অবশ্য দাবি উঠছে, পুরসভা নিজেই দায়িত্ব নিক। বাজারের উন্নয়ন করুক। বিক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে পানীয় জল, প্রস্রাবাগার কিছুই নেই। রাস্তার অবস্থাও তথৈবচ। ছাদ দিয়ে জল পড়ে। গেট ভেঙে পড়ছে। উপপুরপ্রধান অবশ্য রাজাবাজারের উন্নয়নের আশ্বাস দিয়েছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.