|
|
|
|
গুয়াহাটির কটন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
গুয়াহাটির বিখ্যাত কটন কলেজকে রাজ্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিল। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। হিমন্ত জানান, ১৯০১ সালে কটন কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে উন্নীত করার জন্য বিধানসভায় যে বিল পেশ করা হয়, সেটি সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়েছিল। এ বার তাতে রাজ্যপালের অনুমোদনও মিলেছে। আজ, শিক্ষামন্ত্রী, কটন কলেজকে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করেন।
এরই পাশাপাশি রাজ্যের উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য সরকার বিশেষ পজক্ষেপ করছে বলেও শিক্ষামন্ত্রী জানান। কলেজগুলিতে যাতে নিয়মিত ক্লাস হয় তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। সেটা করতে গিয়েই দেখা গিয়েছে কলেজ শিক্ষকদের একাংশ নিয়মিত কলেজে আসেন না। ক্লাস করেন না। কলেজে তাঁদের গরহাজিরা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর।
রাজ্যে উচ্চশিক্ষায় বিশেষ অভিযান শুরু হলেও, কলেজ শিক্ষকরা কলেজে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন না বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগের সত্যতা মেনে নিয়ে বলেন, “যে সব শিক্ষক কলেজে নিয়মিত হাজির হন না, বা ক্লাস নেন না, তাঁদের মাসে মাসে বেতন নেওয়ার কোনও অধিকারই নেই।” মন্ত্রী জানিয়েছেন, যে সব কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, সবকটি তদন্ত করে দেখা হবে। পাশাপাশি, প্রতি জেলায়, কলেজ শিক্ষকরা নিয়ম মাফিক ক্লাস নিচ্ছেন কী না তা যাচাই করতে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। নজর রাখা হবে, তাদের ব্যক্তিগত কোচিং ও আয়ের উপরেও। হিমন্ত বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রের মতো মহান পেশার ভিতরেও কতবড় কেলেঙ্কারি লুকিয়ে রয়েছে, এই তদন্তের ফলে তা বের হয়ে আসতে পারে।”
এ দিকে, দীর্ঘদিন ধরে অসমে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে ওঠা স্কুলের শিক্ষকরা যে আন্দোলন ও অনশন চালাচ্ছিলেন, তার ফল মিলল। শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০০৬ সাল অবধি নথিভুক্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি স্কুলগুলিকে সরকার অধিগ্রহণ করবে। নভেম্বর মাস থেকে ধাপে ধাপে এই প্রক্রিয়া চালু হতে চলেছে। আন্দোলনকারী ‘অপ্রাদেশিকৃত শিক্ষক সংগঠন’-এর মতে, অসমে প্রায় ১৭০০০ এমন স্কুল রয়েছে। শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ। তবে সরকারি হিসেবে এমন স্কুলের সংখ্যা ৮ হাজার। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। স্কুল অধিগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পরে ‘অসম ভেঞ্চার এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন (প্রভিনসিয়ালাইজেশন অফ সার্ভিস) বিল, ২০১১’ পাশ করে অসম সরকার।
স্কুলগুলি অধিগ্রহণের পরে, শিক্ষকদের বেতনও আসবে সরকারি কোষাগার থেকে। পাশাপাশি, হিমন্ত জানান, রাজ্যের চুক্তিবদ্ধ শিক্ষকদের বেতন ধার্য্য করা হয়েছে ৮ হাজার টাকা। চুক্তিবদ্ধ শিক্ষকের সংখ্যা ৬৭৩৬ জন। তাঁরাও বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। মার্চ অবধি বকেয়া বেতন বাবদ রাজ্য সরকার ৩৮ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। |
|
|
|
|
|