|
|
|
|
ছয় ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত মাসে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ছয় ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের শশী দত্ত ও মণীশ কুমার এবং আইন বিভাগের সহিদ বড়ভুইয়াঁ ও তানভির সাত্তারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের মৃণালকান্তি মণ্ডল ও পিনাকরঞ্জন দাসকে দুই সেমেস্টার অর্থাৎ এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অলক সেন ছয়জন ছাত্রকেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই নির্দেশে ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। তারা দল বেঁধে উপাচার্যের অফিসঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। এই ছাত্রদের বক্তব্য, সংঘর্ষে জড়িত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন আপস মীমাংসার ব্যবস্থা করে। সব
ছাত্রছাত্রী যখন হাত মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছে, তখন এই ধরনের শাস্তি দেওয়ার যুক্তি নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অলক সেন এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি না হলেও তাঁর স্বাক্ষরিত নোটিসে জানানো হয়েছে, ১৭ ও ১৮ অগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসাত্মক কাণ্ড ঘটে। তার জেরে রত্নদীপ মালাকর
নামে একজনের মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় উপাচার্যের নির্দেশে চারজনকে বহিষ্কার এবং দুইজনকে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।
অল কাছাড়-করিমগঞ্জ-হাইলাকান্দি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকে ‘নির্দোষ’ ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ ব্যক্ত করা হয়েছে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় এর আগে দুই ছাত্র ও এক ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়। রত্নদীপ মারা গেলে অমিত মিশ্র নামে এক ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরে তাকেও বহিষ্কার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ত্রিকোণ প্রেমের এক ঘটনাকে ঘিরে গত মাসে সংঘর্ষ বেধেছিল বলে প্রশাসনিক তদন্তে তাঁরা জানতে পেরেছেন। |
|
|
|
|
|