|
|
|
|
 |
১০০ এসএমএস-এর
গণ্ডির বাইরে কিছু ক্ষেত্র
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
‘সিম’-পিছু দৈনিক ১০০টি এসএমএস-এর ঊর্ধ্বসীমা থেকে কিছু ক্ষেত্রকে ছাড় দিল টেলিকম পরিষেবা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাই।
‘অবাঞ্ছিত’ বিজ্ঞাপনী এসএমএস-এর হাত থেকে গ্রাহকদের রেহাই দিতে মঙ্গলবার থেকে ওই উর্ধ্বসীমা চালু করার কথা আগেই জানিয়েছিল ট্রাই। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ ছিল, শুধু বাণিজ্যিক বা বিজ্ঞাপনী প্রচার নয়, গ্রাহকদের স্বার্থেই অন্যান্য বেশ কিছু সাধারণ পরিষেবার ক্ষেত্রেও এসএমএস এখন অন্যতম ভরসা। যেমন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিকিট কাটা বা ডিটিএইচ পরিষেবার রিচার্জ করার মতো বিভিন্ন তথ্য গ্রাহকদের এসএমএস-এর মাধ্যমেই জানানো হয়। সে ক্ষেত্রে এই ধরনের ঊর্ধ্বসীমা জরুরি পরিষেবা দেওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মোবাইল পরিষেবা সংস্থগুলির সংগঠন সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (সিওএআই)-ও।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন নতুন ওই নির্দেশিকায় কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে ট্রাই। সংস্থার অন্যতম কর্তা এ রবার্ট জেরার্ড রবি জানিয়েছেন, মোবাইলের মাধ্যমে ‘রিচার্জ’-এর ক্ষেত্রে টেলিকম পরিষেবার ডিলার কিংবা ডিটিএইচ অপারেটরের ক্ষেত্রে সিম-পিছু দৈনিক ওই ১০০টি এসএমএস-এর সীমা থাকবে না। তেমনই আবার ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিকিট কাটলেও গ্রাহকদের সেই সংক্রান্ত তথ্য এসএমএস-এ জানানোর ক্ষেত্রে ছাড় পাবে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলি। ফেসবুক, টুইটার, অর্কুট, লিঙ্কডইন ও গুগল-প্লাস-এর মতো ‘সোশ্যাল সাইট’-গুলিও এই গণ্ডির বাইরেই থাকছে। একই ভাবে ১০০-র লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করতে পারবে ‘জাস্টডায়াল’, ‘গেটইট’, ‘আস্কমি’-র মতো তথ্যপ্রদানকারী সংস্থাও। এ ছাড়া, দৈনন্দিন কাজের স্বার্থে যে সব সংস্থা তার কর্মী বা এজেন্টকে এসএমএস পাঠায়, ছাড় পাবে তারাও। তবে বিশেষ ‘ভাউচার’ দিয়ে যে সব বাড়তি সুবিধাযুক্ত এসএমএস প্রকল্প চালু রয়েছে সেগুলির সময়সীমা শেষ হওয়ার পর আপাতত তা পুনরায় চালু করা যাবে না।
অবশ্য শুধুমাত্র মুখের কথাতেই ছাড় পাবে না সংস্থাগুলি। ট্রাই জানিয়েছে, তারা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এসএমএস পাঠাবে না বলে পরিষেবা সংস্থাকে নির্দিষ্ট মুচলেকা দিলে, তবেই ছাড়ের সুবিধা মিলবে। ট্রাই-এর দাবি, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আমজনতা প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০টি এসএমএস পাঠান। ফলে সাধারণ গ্রাহক এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়বেন না বলেই দাবি তাদের।
পাশাপাশি বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানের সময় এসএমএস-এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানোর চল বেড়ে চলেছে। সেই প্রসঙ্গেও এই ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে আপত্তি উঠেছিল। ট্রাই সূত্রের খবর, এই কারণে বছরের পাঁচটি দিনকে ওই সীমার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আঞ্চলিক উৎসবের পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলিই ওই দিনগুলি ঠিক করবে বলে জানিয়েছে ট্রাই। ট্রাইয়ের নির্দেশ পাওয়ার পর আগামী দিনে বিভিন্ন মোবাইল পরিষেবা সংস্থা এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলেই জানিয়েছেন সিওএআই-এর ডিজি রাজন এস ম্যাথুজ। তাঁর বক্তব্য, অবাঞ্ছিত এসএমএস রুখতে এটিই আপাতত সেরা ব্যবস্থা। তবে কোনও সমস্যা হলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় সংশোধন করার জন্য ট্রাই-কে আর্জি জানাবেন তাঁরা।
অবাঞ্ছিত বাণিজ্যিক এসএমএস রুখতে ভবিষ্যতে আরও কড়া পদক্ষেপ করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ট্রাই-এর চেয়ারম্যান জে এস শর্মা। সে ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক এসএমএস-এর খরচ আরও বাড়বে। ১৫ অক্টোবরের মধ্যেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শর্মা।
|
ছাড় যাদের |
টেলিকম পরিষেবার ডিলার,
ডিটিএইচ অপারেটর
ই-টিকিট এজেন্সি,
ফেসবুক-এ মতো সোশ্যাল ওয়েবসাইট
জাস্টডায়ালের মতো এজেন্সি |
|
|
 |
|
|