|
|
|
|
সূচক বাড়ল ৪৭৩, ঊর্ধ্বমুখী সোনাও |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
দেবীপক্ষের সূচনাতেই ‘ঝলসে উঠল’ সোনা-রুপো। প্রাণ ফিরল শেয়ার বাজারে। ডলারের সাপেক্ষে কিছুটা বাড়ল টাকার দামও। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফের এক বার মন্দা ঘাড়ে এসে পড়ার আশঙ্কা গত কয়েক দিন ধস নামিয়েছিল এই তিন বাজারে। কিন্তু মঙ্গলবার তাদের চাঙ্গা করে দিয়ে গেল সেই বিশ্ব বাজারই। কারণ, ইউরোপের আর্থিক সঙ্কট মেটা নিয়ে আশার আলোই এ দিন অক্সিজেন জুগিয়েছে শেয়ার, মুদ্রা আর আগাম পণ্য লেনদেনের বাজারে। তবে আগামী দিনে এই ‘ঘুরে দাঁড়ানো’ কতটা স্থায়ী হবে, তা বলার সময় আসেনি বলেই বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত।
সোমবারই কলকাতায় ৫০০ টাকা কমেছিল ১০ গ্রাম পাকা সোনার দাম। গত বৃহস্পতিবার থেকে তা পড়েছিল দেড় হাজার টাকারও বেশি। ওই সময়ে প্রতি কেজি রুপোর দামও সস্তা হয়েছিল অন্তত ১০ হাজার টাকা। সেখানে মঙ্গলবার এক লাফে প্রতি ১০ গ্রাম পাকা সোনা বেড়ে গিয়েছে প্রায় ৬০০ টাকা। ৪ হাজার টাকা বেড়েছে প্রতি কেজি রুপোও। গত কয়েক দিন পড়ার পর এ দিন সোনার দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারেও।
এ দিন ঊর্ধ্বমুখী ছিল ভারতের শেয়ার বাজারও। প্রায় ৪৭৩ পয়েন্ট উত্থানের দৌলতে সেনসেক্স থিতু হয়েছে ১৬,৫২৪.০৩ অঙ্কে। ডলারের সাপেক্ষে ৩৮ পয়সা বেড়েছে টাকার দাম। বিনিময় হার ১ ডলার=৪৯.০৭/০৮ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সব কিছুর পিছনেও কাজ করছে অর্থনীতির প্রতি লগ্নিকারীদের আস্থার তত্ত্বই। |
সংশয় |
ফের এক বার মার্কিন অর্থনীতি ডুবতে বসার আশঙ্কা আর ইউরোপে ঘোরালো হতে থাকা আর্থিক সঙ্কটের জেরেই বিশ্ব অর্থনীতির হাল নিয়ে দ্রুত আস্থা হারাচ্ছিলেন লগ্নিকারীরা। এখনও সেই অবস্থা যে পাল্টেছে, এমনটা নয়। কিন্তু আবছা হলেও আলো দেখা গিয়েছে ইউরোপের আর্থিক সঙ্কট মেটার বিষয়ে। কারণ, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের শর্ত মেনে সম্পদ-কর বসানো সহ আর্থিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেনার দায়ে জর্জরিত গ্রিস। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, এর পর তাদের পক্ষে খানিকটা সহজ হবে ১,১০০ কোটি ডলারের ত্রাণ প্যাকেজ আদায়। দেউলিয়া ঘোষণা রুখতে যা অবিলম্বে তাদের কাছে জরুরি। শুধু তাই নয়। গ্রিস-সহ সমগ্র ইউরো জোনের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ৪৪ হাজার কোটি ইউরোর ‘মেগা’ ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই খবরও চাঙ্গা করেছে আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার শেয়ার বাজারকে। যার প্রভাব পড়েছে এ দেশের বাজারে। এই উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে টাকার দাম বৃদ্ধিও।
ডলারের পড়তি দাম চাঙ্গা করেছে সোনা-রুপোর বাজারকেও। ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ান মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহকারি সম্পাদক অনিল আঢ্যর মতে, “ডলারের দাম কমায় সোনার চাহিদা বেড়েছে দু’ভাবে। এক, লগ্নির গন্তব্য হিসেবে সোনার আকর্ষণ বেড়েছে। দুই, বিশ্ব বাজারে খরচ কমেছে তা কেনার।” তা ছাড়া তাঁর মতে, ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় এ দিন বাজারে সোনা-রুপোর জোগান ছিল কম। অথচ গত কয়েক দিনে দাম কমায় চাহিদা ছিল বেশি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই দাম বেড়েছে এই দুই ধাতুর। আবার অল ইন্ডিয়া জেমস অ্যান্ড জুয়েলার্স ট্রেড ফেডারেশনের চেয়ারম্যান বাছরাজ বামালুয়ার মতে, বাজার ওঠানামার মূল কারণ ফাটকাবাজি। একই সঙ্গে, মঙ্গলবারই দেশে শুরু হল উৎসবের মরসুম। তাই দাম কম থাকতে তার জন্য সোনা সংগ্রহও দর বৃদ্ধির কারণ বলে মত অনেকের। |
|
|
|
|
|