নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
রাস্তা সংস্কারের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। মেরামতির কাজে ব্যবহৃত পাথরের ধুলোয় বাসিন্দাদের জীবন জেরবার। অবিলম্বে ঠিকমতো সংস্কার কাজ চালানোর দাবিতে ময়ূরেশ্বরের মল্লারপুরের রায়পাড়া এলাকায় পানাগড়-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের সহকারী বাস্তুকারকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসীর একাংশের বিরুদ্ধে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, জাতীয় সড়কের মহম্মদবাজার থেকে মোড়গ্রাম পর্যন্ত অংশের দেখভালের দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অনলজ্যোতি রায় ও সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মইনুল হক চৌধুরী মঙ্গলবার রায়পাড়ায় ৮০০ মিটার রাস্তার অংশের সংস্কারকাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। অনলজ্যোতিবাবু বলেন, “দুপুর ১২টা নাগাদ মল্লারপুর ব্লক অফিস ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় মেরামতির কাজ দেখার সময় স্থানীয় কিছু বাসিন্দা আমাদের কাছে এসে কেন ধুলো উড়ছে জানতে চান। আমরা তাঁদের বুঝিয়ে বলি, এই সমস্যাটা সাময়িক। তাঁরা এখনই ধুলো বন্ধ করার দাবি তোলেন।” তাঁর অভিযোগ, এই নিয়ে কথাবার্তা চলার সময় ওই বাসিন্দারা তাঁকে গালিগালাজ করে চড়-থাপ্পড় মারেন। তাঁকে ও মইনুল হককে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। অনলজ্যোতিবাবুর কথায়, “আমরা রামপুরহাটের মহকুমাশাসককে সব জানিয়েছি। পুলিশের কাছেও অভিযোগ করব।”
পানাগড়-মোরগ্রাম জাতীয় সড়কের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বঙ্কিম সরকার বলেন, “এক মাস আগে এলাকাবাসীর সঙ্গে ব্লক অফিসে বৈঠক হয়েছিল। সেখানে কাজের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রথমে রাস্তার খানাখন্দ পাথর দিয়ে বোঝানোর পরে তার উপরে রোলার চলবে। ধাপে ধাপে পাথর বিছানোর কাজের শেষে বিটুমিন দেওয়া হবে। এলাকাবাসীকে সব কথা বিশদে বোঝানোর পরেও আমাদের দুই ইঞ্জিনিয়ারকে মারধর ও হেনস্থা করা হল।” তাঁর ক্ষোভ, “ধারাবাহিক বৃষ্টিতে এমনিতেই ঠিকমতো কাজ করা যাচ্ছে না। এর পরে এলাকাবাসীরাও সংযত না হলে কর্মীরা নিরাপত্তার অভাবে কাজ করার মানসিকতা হারাবেন।”
অন্য দিকে, রায়পাড়া এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরো রাস্তার পাথর তুলে নতুন করে রাস্তা মেরামতির কথা ঠিক হয়েছিল। তা হচ্ছে না। যে ভাবে কাজ হচ্ছে, তাতে এলাকাবাসীর পক্ষে ঘরের দরজা-জানলা খুলে রাখাই সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে থাকলেও সংস্কারের কাজে তৎপরতা নেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের, এই অভিযোগও উঠেছে এলাকায়। এ দিনের ঘটনা সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ বলে এলাকাবাসীর দাবি।
|