 আজ, রবিবার রাজ্যের দুই কেন্দ্র ভবানীপুর এবং বসিরহাট উত্তরে বিধানসভা উপনির্বাচন। ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভবানীপুরে তৃণমূল প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের নন্দিনী মুখোপাধ্যায়। বসিরহাট উত্তরে তৃণমূল প্রার্থী এটিএম আবদুল্লা (রনি)। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের সুবিদ আলি গাজি। ফল আগামী বুধবার। মমতা ভবানীপুরে লড়বেন বলে ওই কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূলের সুব্রত বক্সী। গত বিধানসভা ভোটে বসিরহাট উত্তরে জিতেছিলেন সিপিএম প্রার্থী মোস্তাফা বিন কাশেম। তাঁর মৃত্যুর পর সেখানে উপনির্বাচন হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্ত শনিবার জানান, উপনির্বাচনে দুই কেন্দ্রের প্রতিটি বুথেই ৪-৫ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ থাকবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ কোম্পানি ভবানীপুরে এবং ১১ কোম্পানি বসিরহাট উত্তরে থাকবে। নির্বাচন কমিশনের দু’জন করে পর্যবেক্ষক প্রতি কেন্দ্রেই থাকছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন সাধারণ পর্যবেক্ষক, এক জন হিসাব পরীক্ষক। বেশির ভাগ বুথে থাকছেন মাইক্রো অবজারভার। স্পর্শকাতর বুথে থাকছে ক্যামেরা। সুনীলবাবু জানান, ভবানীপুরে ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ১২ হাজারের কিছু বেশি। বুথ ২৬৪টি। বসিরহাট উত্তরে ভোটার ১ লক্ষ ৯৩ হাজারের কিছু বেশি। বুথ ২৩৯টি। বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরে ৮৬.৪৪% ও বসিরহাট উত্তরে ৬৩.৭১% ভোট পড়েছিল।
|
লালকৃষ্ণ আডবাণীর ‘দুর্নীতি-বিরোধী’ রথ আগামী ১৫ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে। পর দিন ১৬ অক্টোবর তা পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওড়িশা চলে যাবে। বিজেপি-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ শনিবার এ কথা জানান। প্রসঙ্গত, জয়প্রকাশ নারায়ণের জন্মস্থান বিহারের সারণ জেলার সিতাবদিয়ারা থেকে ১১ অক্টোবর রথযাত্রা শুরু হবে। রাহুল জানান, আগামী ১৫ অক্টোবর আডবাণীর রথ আসানসোল হয়ে বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে। তার পর বর্ধমান, হুগলি হয়ে ওই দিনই তা কলকাতা পৌঁছবে। পরের দিন হাওড়া, কোলাঘাট, খড়্গপুর হয়ে রথ যাবে ওড়িশার বালেশ্বরে। তবে রথযাত্রার খুঁটিনাটি, ১৫ তারিখ রাতে রথ কোথায় থাকবেতা ঠিক হয়নি। আজ, রবিবার বিজেপি-র রাজ্য পদাধিকারী বৈঠকে ওই বিষয়ে আলোচনার পরে কাল, সোমবার দিল্লি যাবেন রাহুল। সেখানে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। এ দিকে বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথযাত্রার উদ্বোধন তিনিই করবেন বলে জানালেন নীতীশ কুমার। শনিবার তিনি বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিহারে আগেই লড়াই শুরু হয়েছে। এ নিয়ে আডবাণীজি রথযাত্রা করছেন। নিতিন গডকড়ীজি ফোন করেছিলেন। উদ্বোধনের দিনে সিতাবদিয়ারায় যাত্রার সূচনা করার অনুরোধ করেন তিনি।”
|
উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক স্তরে এ রাজ্যে এখনও বিজ্ঞান পড়ার ঝোঁক অনেক কম। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। শনিবার সমীক্ষা রিপোর্টটি প্রকাশ করে এডুকেশনাল টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাডেমির প্রধান মর্মর মুখোপাধ্যায় জানান, গোটা দেশে এখন ১১.৪৪ শতাংশ পড়ুয়া স্নাতক স্তরে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ছেন। আর পশ্চিমবঙ্গে এর হার ১.৩০ শতাংশ। সমীক্ষক দলের মতে, বিজ্ঞানের বিষয়গুলির জন্য যথেষ্ট শিক্ষক না থাকায় এ রাজ্যের পড়ুয়ারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে আগ্রহী হয় না। তবে এ রাজ্যে শিক্ষার প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত কর্তাদের মতে, চরিত্রগত ভাবে এমনিতেই বাঙালি পড়ুয়াদের মধ্যে জ্ঞান
নিয়ে পড়ার প্রবণতা কম। তার সঙ্গে এই রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞানচর্চায় উৎসাহী করার মতো সরকারি উদ্যোগেরও যথেষ্ট খামতি রয়েছে। |