রামবাবুর কনভয়ে হামলায় ধৃত শ্রীনু
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একদা খড়্গপুরের ‘ত্রাস’, স্ক্র্যাপ-মাফিয়া বাসব রামবাবুর কনভয়ে গুলি চালনার ঘটনায় গ্রেফতার হল আর এক মাফিয়া শ্রীনু নায়ডু। শুক্রবার রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের আনকাপল্লি থেকে খড়্গপুরের পুলিশই তাকে ধরে। অন্ধ্রের আদালতে ‘ট্রানজিট রিমান্ড’ চেয়ে অভিযুক্তকে খড়্গপুরে নিয়ে আসা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর একটি মামলার সূত্রে সদলবলে মেদিনীপুর আদালতে এসেছিল রামবাবু। দু’টি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও বছরখানেক আগে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে শর্তাধীন মুক্তি পেয়েছে সে। আদালত থেকে ফেরার পথে খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকার মোহনপুরে তার কনভয়ে গুলি চলে। এক পথচারী এবং রামবাবুর এক সঙ্গী গুলিবিদ্ধ হন। রামবাবু শ্রীনু-সহ ৫ জনের নামে পুলিশে অভিযোগ করে। রাতেই বংশীকৃষ্ণ রাও নামে এক জন ধরা পড়ে। তদন্তে নেমে পুলিশ নিশ্চিত হয়, মাফিয়া গোষ্ঠীগুলির দ্বন্দ্বের জেরেই এই হামলা। পুলিশের কাছে নালিশে নাম না-করলেও পরে আবার সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই হামলায় যুব তৃণমূলের এক নেতারও হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে রামবাবু। পুলিশ হন্যে হয়ে শ্রীনুকে খুঁজছিল। অন্ধ্রের ডেরায় সে লুকিয়ে আছে খবর পেয়ে দিন চারেক আগেই খড়্গপুর থেকে পুলিশের একটি দল রওনা হয়। অন্ধ্র পুলিশের সাহায্যে তল্লাশি চালিয়ে শেষে আনকাপল্লিতে তার খোঁজ মেলে বলে দাবি পুলিশের। এসডিপিও (খড়্গপুর) দীপক সরকারের আশা, তাকে জেরা করে অন্য দুষ্কৃতীদের সন্ধান পাওয়া সহজ হবে। ইদানীং খড়্গপুরে একের পর এক দুষ্কর্মে শ্রীনু ও তার দলবলের নাম জড়াচ্ছিল। ফলে, সে ধরা পড়ায় রেলশহর খড়্গপুরেও কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। |
তৃণমূলের ‘হামলা’, বন্ধ স্কুল
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে জঙ্গলমহলের নয়াগ্রামে তাদের পরিচালিত নার্সারি স্কুল বন্ধ করে দিল এক মহিলা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। নয়াগ্রামের ঝরিয়ার এই অবৈতনিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মানসী ঘোষ গত জুনেই থানায় অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগে বলা হয়েছিল, স্কুলের ‘নিয়ন্ত্রণ’ পেতে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা শিক্ষিকা ও তাঁদের পরিজনদের শারীরিক নিগ্রহ করেছেন। লাগাতার হুমকিও দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও অভিযোগপত্র পাঠান স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতেও পুলিশ-প্রশাসন সক্রিয় হয়নি বলেই অভিযোগ। মানসীদেবীরা পরে ঝাড়গ্রাম আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। গত ১১ সেপ্টেম্বর আবার ব্লক অফিসে প্রশাসনিক বৈঠকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরই সভাপতি ও সম্পাদক করে ‘একতরফা ভাবে’ পরিচালন কমিটি গড়া হয় বলে অভিযোগ মানসীদেবীদের। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত একটি স্কুলে এ ভাবে প্রশাসনিক বৈঠক ডেকে পরিচালন কমিটি গড়া যায় কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল বন্ধ রেখে ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার তোড়জোড় করছেন কর্তৃপক্ষ। ঝাড়গ্রাম মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, ব্লক অফিসের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। আর, নয়াগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্ব আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছেন। |
টিএমসিপি-র দ্বন্দ্বে ঘেরাও কলেজ অধ্যক্ষ
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
ছাত্র-সংসদের কমিটি গঠনের দিন পিছিয়ে যাওয়ায় হলদিয়ার চৈতন্যপুর বিবেকানন্দ মিশন কলেজের অধ্যক্ষকে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) কর্মী-সমর্থকরা। ছাত্র সংসদের ৩০ আসনেই এ বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে টিএমসিপি। শনিবার ছিল ছাত্র সংসদের কমিটি গঠনের দিন। কিন্তু নির্বাচিত টিএমসিপি সদস্যদের একাংশ এ দিন অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে অধ্যক্ষ মণিশঙ্কর মাইতি কমিটি গঠন স্থগিত করে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ফের দিন ধার্য করেন। তা মানতে না চেয়ে দুপুর থেকে অধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে টিএমসিপির অন্য অংশ। বিকেলের দিকে পুলিশি হস্তক্ষেপে অধ্যক্ষ ঘেরাও-মুক্ত হন। কলেজ সূত্রের খবর, টিএমসিপি-র গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের জেরেই এ দিন একাংশ সদস্য গরহাজির ছিলেন। টিএমসিপি-র এই ‘দ্বন্দ্ব’ কলেজের পরিবেশ অশান্ত করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। |
জল ছাড়ার হার কমল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ঝাড়খণ্ডের চান্ডিল জলাধার থেকে আপাতত জল ছাড়ার হার কমায় বন্যার আশঙ্কা এড়াল পশ্চিম মেদিনীপুর। শুক্রবার দুপুরে চান্ডিল থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু হতেই বন্যার আশঙ্কা দেখা দেয় জেলার গোপীবল্লভপুর ১ ও ২, সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম, দাঁতন ও কেশিয়াড়ি ব্লকে। এই সব ব্লকের বেশ কিছু এলাকায় শুক্রবার রাতের দিকে জল ঢুকতে শুরু করে। শনিবার সকাল থেকে চান্ডিল কর্তৃপক্ষ জল ছাড়ার হার কমিয়ে ৮৩ হাজার কিউসেক করেন। প্লাবিত এলাকা থেকে জল সরতে শুরু করে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) শুভাঞ্জন দাস বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।” |
কারখানায় অনশন
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
পুজোর মুখে বেতন-বৃদ্ধির দাবিতে হলদিয়ার একটি ভোজ্য-তেল কারখানায় অনশনে বসলেন শ্রমিকরা। তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের দাবি, কারখানা চালু হওয়ার পর থেকে শ্রমিকদের বেতন বাড়েনি। তৃণমূল নেতা পিন্টু ভট্টাচার্য বলেন, “দীর্ঘদিন আগে বেতন বৃদ্ধির খসড়া প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শ্রম-দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বেতন বাড়াননি। বাধ্য হয়েই অনশন করতে হয়েছে।” কারখানার এক কর্তা বৈদ্যনাথ পাণ্ডের অবশ্য দাবি, “বেতন বৃদ্ধির দাবি মানতে গেলে কারখানা চালানোই সম্ভব নয়।” |