টুকরো খবর
কুড়ানকুলাম কেন্দ্র নিরাপদ, দাবি
নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই বিতর্কিত কুড়ানকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই মন্তব্য করেছেন পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান জি আর শ্রীনিবাসন। কুড়ানকুলামে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভূকম্পপ্রবণ এলাকায় গড়া হচ্ছে বলে দাবি ওই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার আশ্বাসে অনশন কর্মসূচি তুলে নেন তাঁরা। কিন্তু শ্রীনিবাসনের দাবি, জাপানে ভূকম্পের সময়ে ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের মতো দুর্ঘটনা কুড়ানকুলামে ঘটলেও বিশেষ বিপদ ঘটবে না। কারণ, ওই কেন্দ্রে আধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। শ্রীনিবাসনের দাবি, ভারতে আগামি কয়েক দশকে লক্ষ লক্ষ মেগাওয়াট পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।

যাত্রায় থাকবেন, জানালেন নীতীশ
বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথযাত্রার উদ্বোধন তিনিই করবেন বলে জানিয়ে দিলেন নীতীশ কুমার। আজ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এ কথা জানিয়ে বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে আগে থেকেই বিহারে লড়াই শুরু হয়েছে। এ নিয়ে আডবাণীজি রথযাত্রা বের করছেন। খুবই ভাল কথা। নিতিন গডকড়ীজি আমাকে ফোন করেছিলেন। উদ্বোধনের দিনে সিতাব দিয়ারায় উপস্থিত থেকে রথযাত্রার সূচনা করার অনুরোধ তিনি করেন। আমি তাঁর প্রস্তাবে রাজি।” বিজেপির পক্ষ থেকে কালই নীতীশের সম্মতির কথা ঘোষণা করা হয়।

বিস্ফোরকে বাজ, মৃত ৪
ডিনামাইটের উপর বাজ পড়ে বিস্ফোরণ। আর তার ফলে মৃত্যু হল চার শ্রমিকের। গত কাল রাতে, অসম-মেঘালয় সীমান্তের পিলাংকাটায় ঘটনাটি ঘটে। রি ভয় জেলার জেলাশাসক এম খারমুজাই জানান, পাহাড়ে পাথর ফাটানোর কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। মজুত রাখা ছিল ডিনামাইট। বিকেল থেকেই ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছিল ওই এলাকায়। শ্রমিকরা তাই কাজ বন্ধ করে ছাউনিতে বসেছিলেন। আচমকাই, বাজ পড়ে ছাউনির সামনে। সেখানেই ঢাকা দিয়ে রাখা ছিল ওই বিস্ফোরক। সঙ্গে সঙ্গে ঘটে বিস্ফোরণ। চার শ্রমিকের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। জখম হন ৭ জন। নিহতদের নাম আশরাফুল খান, ইজাজুর খান, লালমিঞাঁ ও কেরামত আলি।

দলিত বাবা-মেয়ে খুনে দোষী সাব্যস্ত ১৫ জাঠ
দলিত বাবা-মেয়েকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ১৫ জন জাঠকে আজ দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লির অতিরিক্ত দায়রা আদালত। গত বছর হরিয়ানার মির্চপুর গ্রামের দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত তারা চন্দের বাড়িতে জনা কয়েক দুষ্কৃতী আগুন লাগায়। এতে তারা চন্দ ও তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ক্ষমতাশালী জাঠ সম্প্রদায়ের ৯৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। আজ অতিরিক্ত দায়রা বিচারক কামিনী লাউ ওই ঘটনায় ১৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি খুনের অভিযোগ আনা হয়নি। কারণ, মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে তারা চন্দ দাহ্য পদার্থ দিয়ে তাঁদের আগুন লাগানোর অভিযোগ করেননি। পুলিশি রিপোর্ট থেকেও পেট্রোল, কেরোসিন বা অন্য কোনও তেল দিয়ে নিহতদের পোড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ১৫ জনের মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। বাকি ১২ জনের মধ্যে নিহতদের বাড়িতে আগুন লাগানোর জন্য ৬ জন এবং ভাঙচুর ও ষড়যন্ত্রের জন্য অন্য ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

বিহারে মিথিলাঞ্চল এক্সপ্রেসে ডাকাতি
কলকাতাগামী মিথিলাঞ্চল এক্সপ্রেসে লুঠপাট চালাল সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাতে বিহারের জামুই স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটে। রাত পৌনে ১২টা নাগাদ আসানসোল স্টেশনে পৌঁছে আক্রান্ত যাত্রীরা রেলপুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ, জামুই স্টেশন ছাড়ার পরেই একটি জঙ্গল ঘেরা জায়গায় ট্রেনটি হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ে। ট্রেনের এস-১ ও এস-২ কামরায় উঠে পড়ে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। যাত্রীদের ভয় দেখিয়ে মিনিট ১৫ ধরে টাকা-পয়সা, সোনাদানা লুঠ করে কার্যত বিনা বাধায় তারা নেমে যায়। যাত্রী ছায়াদেবীর অভিযোগ, কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। আসানসোলে ঢোকার আগে আর কোনও স্টেশনে ট্রেনটি বেশিক্ষণ না দাঁড়ানোয় অভিযোগ দায়ের করা যায়নি।

দুষ্কৃতীদের কবলে এভারেস্ট-জয়ী
এভারেস্ট জয়ের পরে তাঁর সাফল্য রাজ্যের যুব সমাজকে উৎসর্গ করেছিলেন তাপি ম্রা। অরুণাচল তথা উত্তর-পূর্বের প্রথম এভারেস্ট-জয়ী পর্বতারোহী তাপি বরাবরই যুবশক্তিকে সৎপথে চলতে পরামর্শ দিয়ে এসেছেন। তাঁকেই কী না অরুণাচলি যুব-দুষ্কৃতীদের শিকার হতে হল! ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। তাপি জানান, সস্ত্রীক হলংগি থেকে চিম্পু আসছিলেন। পথে, ৫২এ জাতীয় সড়কে, পুলিশ সদর দফতরের কাছেই কিছু যুবক তাঁর গাড়ি থামায়। তার পর দা হাতে তাঁকে জাপটে ধরে তারা। কেড়ে নেওয়া হয় নগদ ১৫ হাজার টাকা, মোবাইল, এটিএম কার্ড। তাতেও রেহাই পাননি তাপি। এটিএম পিন না বলায়, তাঁর গলায় দা ঠেকিয়ে নিকটবর্তী এটিএম কাউন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কোনওমতে দুষ্কৃতীদের হাত ছাড়িয়ে পুলিশ সদর দফতরের দিকে ছুটে যান তাপি। দুষ্কৃতীরা তাপির স্ত্রীকে মারধর করে চলে যায়। ঘটনাটি নিয়ে ইটানগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

কলেজ শিক্ষকদের আন্দোলন মেঘালয়ে
দাবি পূরণ না হওয়ায় মেঘালয়ের কলেজ শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করলেন। গত কাল থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। আট দিন চলবে। মেঘালয় কলেজ শিক্ষক সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, চতুর্থ রাজ্য বেতন কমিশনের প্রস্তাব মতো বর্ধিতহারে তাঁদের বেতন দিতে হবে। সেইসঙ্গে বকেয়া বেতনের ২০ শতাংশ এখনই দিতে হবে। ইউজিসি নিয়ম মেনে পেনশনও দাবি করেছেন তাঁরা। সংগঠনের সভাপতি ইউরেকা লিংডো বলেন, “শিক্ষকদের কর্মবিরতির ফলে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে ভুগতে হবে জেনেও সরকারি অবহেলার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি নিতে আমরা বাধ্য হয়েছি।”

অসমে পাহাড়ি ধসে মৃত চার
ধস চাপা পড়ে চার জনের মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে গুয়াহাটি-মেঘালয় সীমান্তে। পুলিশ জানায়, গত কাল প্রায় দুই ঘণ্টা তুমুল বৃষ্টি হয় গুয়াহাটিতে। বৃষ্টিতে মাহিগুলি এলাকার পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে যায়। কামরূপ (মেট্রোপলিটান)-এর এসএসপি দীপক চৌধুরী জানান, এলাকাটি মেঘালয়ের মধ্যে পড়ছে। মাহিগুলি পাহাড়ে বেশ কিছু হিন্দীভাষী পরিবার অবৈধভাবে বসবাস করছিল। বৃষ্টির ফলে আজ সন্ধ্যায়, পাহাড়ের উপর থেকে একটি বড় ধস নেমে বাড়িগুলির উপরে এসে পড়ে। তিনটি বাড়ি পুরোপুরি চাপা পড়ে যায়। ধ্বংসস্তূপ উদ্ধারে হাত লাগায় অসম ও মেঘালয় পুলিশ। ধসের তলা থেকে ৪ টি মৃতদেহ বের করা হয়েছে। জখম অবস্থায় ১০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

গুরুতর অসুস্থ মামণি
সাহিত্যিক ইন্দিরা রয়সম গোস্বামী, মামণির অবস্থা ফের আশঙ্কাজনক মোড় নিয়েছে। মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রে সমস্যা বাড়ায় মঙ্গলবারই তাঁকে আবার গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। আপাতত চিকিৎসকদের একটি দল তাঁর চিকিৎসা চালাচ্ছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর অবস্থা সংকটজনক।

দেওয়াল ভেঙে মৃত
দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে তিন জনের। প্রবল বৃষ্টিতে ওড়িশার সুন্দরগড়ে ১৫০টিরও বেশি মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রৌরকেলার গোপাবন্ধুপল্লি ও পাহাড়তোলা বস্তি অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সব চেয়ে বেশি। দেওয়াল চাপা পড়ে একই পরিবারের ৩ জন জখম হয়েছেন।

জগজিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক
জগজিৎ সিংহের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় গত কাল তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।শুক্রবার তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। শনিবার হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, তাঁর অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’। লীলাবতী হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি নিকেত ভি মেটা এ কথা জানিয়ে বলেন, “এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।” ৭০ বছর বয়সী এই গায়ক ১৯৯৮ সালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। দীর্ঘদিন থেকেই উচ্চরক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। রক্ত সঞ্চালনে সমস্যার জন্য ২০০৭-এ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।

সরে দাঁড়ালেন পামোলিন মামলার বিচারক
পামোলিন কেলেঙ্কারি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন ভিজিল্যান্স আদালতের বিচারক পি কে হানিফা। ৮ অগস্ট এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী উমেন চান্ডির ভূমিকা নিয়ে তদন্তের আদেশ দেন হানিফা। তিনি শনিবার বলেছেন, যথাযথ পদ্ধতি মেনেই চান্ডির বিরুদ্ধে তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’ করা হয়েছে। তাই পামোলিন মামলা অন্য আদালতে সরানোর ব্যবস্থা করতে কেরল হাইকোর্টকে অনুরোধ করেছেন তিনি। চান্ডির বিরুদ্ধে তদন্তের আদেশের পরে রাষ্ট্রপতি ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেরলের শাসক জোটের নেতা পি সি জর্জ। বিচারক হিসেবে হানিফার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। অবশ্য উমেন চান্ডির দাবি, বিচারকের বিরুদ্ধে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।

অল্পের জন্য রক্ষা পেল দু’টি বিমান
বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল দু’টি বিমান। চেন্নাই বিমানবন্দরের ঘটনা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দিল্লিগামী জেট এয়ারওয়েজের একটি বিমান ওড়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে সেটি রানওয়েতে দাঁড়িয়ে যায়। তখনই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান অবতরণ করার কথা ছিল। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) থেকে সেটিকে অবতরণের অনুমতিও দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎই এটিসি-র নজরে আসে জেট এয়ারওয়েজের বিমানটি রানওয়েতে দাঁড়িয়ে। সঙ্গে সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটকে সতর্ক করা হয়। সেটি না নেমে বেশ কিছু ক্ষণ আকাশে চক্কর কাটে। অবশেষে জেট এয়ারওয়েজের বিমানটি উড়ে যাওয়ার পরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান অবতরণ করে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.