টুকরো খবর
ফ্ল্যাটবাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু যুবকের
একবালপুর থানা এলাকায় ইব্রাহিম রোডের একটি ফ্ল্যাটবাড়িতে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শেখ আনিসুল রহমান ওরফে বান্টি (২৭)। তিনি নিউ মার্কেটে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন। পুলিশ জানায়, ওই যুবকের গলায় ফাঁসের চিহ্ন ছিল। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ইব্রাহিম রোডের বহুতলের এক তলার ফ্ল্যাটে আনিসুল একাই থাকতেন। বাবা-মা বেশ ক’বছর আগে মারা গিয়েছেন। একা থাকলেও টুম্পা সরকার নামে আনিসুলের এক বান্ধবী প্রায়ই ওই ফ্ল্যাটে এসে থাকতেন। তাঁর বাড়ি মুকুন্দপুরে। আনজারুল ওরফে গুড্ডু (১৯) নামে আনিসুলের খুড়তুতো ভাইও ওই ফ্ল্যাটে শুতে আসতেন। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতেও টুম্পা ও আনজারুল আনিসুলের সঙ্গে ছিলেন। টুম্পা পুলিশকে জানান, নভেম্বরে আনিসুলের সঙ্গে তাঁর বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ আনিসুল তাঁকে বলেন, বিয়ের জন্য নভেম্বর পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করতে পারবেন না। তিনি এ দিনই টুম্পাকে বিয়ে করতে চান। এ নিয়ে টুম্পার সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। পুলিশের কাছে টুম্পা দাবি করেছেন, বচসার ফাঁকে আনিসুল রান্নাঘরের দিকে চলে যান। সেই সময় ঘরে ছিলেন টুম্পা এবং আনজারুল। বেশ কিছু ক্ষণ পরেও আনিসুল ঘরে ফিরে আসছেন না দেখে টুম্পার সন্দেহ হয়। তিনি আনজারুলকে সঙ্গে নিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে দেখেন, রান্নাঘরের পাশে সরু এক ফালি জায়গায় সিলিংয়ের হুক থেকে গলায় ক্যানভাসের তৈরি প্যান্টের বেল্টের ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে রয়েছেন আনিসুল। পুলিশ জানায়, টুম্পা এবং আনজারুলই আনিসুলকে নামান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকেরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ঢালাও উচ্ছেদ করা হবে না, জানালেন বক্সি
কারও জীবিকায় ঘা দিয়ে উচ্ছেদ করা সরকারের নীতি নয়। তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী সুুব্রত বক্সি শনিবার এই কথা জানান। তিনি বলেন, “এলোপাথাড়ি উচ্ছেদ করতে মমতা বন্দ্যোপাাধ্যায়ের সরকার চায় না বলেই আমরা বামফ্রন্টের ‘অপারেশন সানসাইন’-এর মতো হকার-উচ্ছেদের বিরোধিতা করে এসেছি।” পূর্তমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন, মা-মাটি-মানুষের সরকার জনগণের স্বার্থে কাজ করবে, কিন্তু ব্যক্তিস্বার্থে সিপিএমের চক্রান্তকে ফলপ্রসূ হতে দেবে না। বক্সি জানান, কলকাতা-সহ বিভিন্ন শহরাঞ্চলে হকার-নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা সর্বদা ‘বিবেচনাহীন উচ্ছেদ’-এর বদলে হকার বসার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের কথা বলেন। মহাকরণের বিভিন্ন করিডরে স্টোভ ইত্যাদি জ্বেলে খাবারের দোকান চালানোর ব্যাপারে ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। অগ্নি-বিধি মেনেই এই ব্যবস্থা। তবে মহাকরণের বিভিন্ন করিডরে ছোট-ছোট টেবিল পেতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কয়েক জন মহিলা কেক, বিস্কুট জাতীয় কিছু খাবার বিক্রি করেন। সুব্রতবাবু বলেন, “এঁদের উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে সিপিএমের নেতৃত্বে কোনও কোনও মহল অপপ্রচার শুরু করেছে। কিন্তু এই ধরনের সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি।”

বিধায়ক-সঙ্গীর ব্যাগ থেকে বোমাতঙ্ক
বিধায়কের সঙ্গীর ব্যাগ ঘিরে বোমাতঙ্ক বিমানবন্দরে। শনিবার দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরের ঠিক বাইরে কালো রঙের ট্রলি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। আশপাশে তার মালিকের খোঁজ নেই। দুপুর ৩টে ২০ মিনিট থেকে সেই ব্যাগকে ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি। আসে দমকল ও বোমা বিশেষজ্ঞরা। ২৫ মিনিট তল্লাশি চালিয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা নিশ্চিত হন যে ব্যাগে ডিভিডি প্লেয়ার, জামাকাপড় ও কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া আর কিছু নেই। পরে জানা যায়, ব্যাগটি প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক জ্ঞান সিংহ সোহনপালের সঙ্গীর। এ দিন স্পাইসজেটের উড়ানে হায়দরাবাদ থেকে কলকাতায় আসেন তাঁরা। বিধায়ক বলেন, “কোনও ভাবে বিমানবন্দরের বাইরে গাড়িতে ওই ব্যাগটি তুলতে ভুলে যান আমার সঙ্গী। পরে আমরা বিমানবন্দরে ফিরে গিয়ে ব্যাগটি নিয়ে আসি।”

নিখোঁজ চার শিশু উদ্ধার
মানিকতলা এলাকার একটি বস্তি থেকে চারটি শিশু শুক্রবার নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। ২৪ ঘণ্টা পর শনিবার সন্ধ্যায় এন্টালি এলাকায় তাদের খোঁজ মেলে। পুলিশ সূত্রের খবর, তাদের নাম সুদামা পাত্র, রমা সাঁতরা, ঝুমা সরদার, শান্ত পাত্র। বয়স চার থেকে নয় বছরের মধ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, মানিকতলার মুরারীপুকুর রোডে ধোপার মাঠ এলাকার একটি বস্তি থেকে ওই চার জন শিশু শুক্রবার দুপুরে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাদের আত্মীয়-পরিজনরা। শনিবার সন্ধ্যায় এন্টালি এলাকায় চারটি অজ্ঞাতপরিচয় শিশুকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.