|
|
|
|
|
|
অফ ক্যামেরা সৌমিক হালদার-এর মুখোমুখি হলেন পথিক পণ্ডিত |
সিনেমাটোগ্রাফার হওয়ার গল্পটা বলবেন?
সৌমিক: ছোটবেলায় ভাবিনি আমি সিনেমাটোগ্রাফার হব। ক্যামেরাম্যান হওয়ার বাসনা আমার ছিল না। তখন সিনেমা দেখতে খুব যে একটা ভালবাসতাম তাও নয়। মাধ্যমিকের সময় ‘পারিন্দা’ আর ‘রাখ’ বলে দু’টি ছবি এসেছিল। এই দুটো ছবিই আমাকে হঠাৎ করে বদলে দিল। ওই সময় মায়ের কাছেই জানতে পারি পুণে ফিল্ম ইন্সটিটিউট বলে একটা জায়গা আছে, যেখানে অভিনয়, ক্যামেরা, সিনেমা-সম্বন্ধীয় যাবতীয় বিষয় শেখানো হয়। তখন ‘চিত্রবাণী’তে যাওয়া শুরু করলাম। ‘চিত্রবাণী’তে তখন লাইব্রেরিয়ান ছিলেন সুনেত্রা ঘটক। ওঁর সহযোগিতায় বই ঘাঁটতে আরম্ভ করলাম। তার পর সিনেমা সম্বন্ধে পরিচিত হতে থাকলাম। গ্রাজুয়েশনের সময় আলাপ হল অমিত সেনের সঙ্গে। উনিও পুণে ফিল্ম ইন্সটিটিউট থেকে পাশ করা। এখন উনি বিজ্ঞাপন করেন। আমার খুব ইচ্ছে পুণেতে ভর্তি হওয়ার। কিন্তু কিছুই তো জানি না, তখন ওঁর সঙ্গে আলাপ করে, ওঁর শুটিং-এ যাওয়ার পারমিশন পেলাম। আমার সিনসিয়ারিটি দেখে ওঁদের ভাল লাগল। তখন বললেন, ‘বি এসসি পড়ছ পড়ো, চাইলে আমাদের কাজও করতে পারো।’ অমিত সেন এবং অনীক দত্তের জয়েন্ট কোম্পানি ছিল। দু’জনেই আমাকে তৈরি হতে খুব সাহায্য করলেন। ওঁরা বললেন, ‘তুমি যদি ক্যামেরাম্যানই হতে চাও, তা হলে স্টিল ছবি তুলে কম্পোজিশন সেন্স তৈরি করো।’ আমার কাছে একটা স্টিল ক্যামেরা ছিল, সেটা দিয়ে বিভিন্ন রকমের ছবি তুলতাম। বিভিন্ন জায়গায়। পুণেতে ওই তিনটে বছর আমার কাছে স্বপ্ন ছিল। তার পর ২০০১ সালে থেকে নিজস্ব কাজকর্ম করতে শুরু করি। ২০০৩-এ প্রথম ব্রেক পেলাম ব্রাত্য বসুর ‘রাস্তা’ ছবি করে। যে কোনও ক্যামেরাম্যানের কাছে ফিচার ফিল্মটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি এর আগে প্রচুর টেলিফিল্মে, সিরিয়ালে কাজ করেছি, বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছি। ক্যামেরাম্যান হিসেবে স্বীকৃতি দেয় কিন্তু চলচ্চিত্র। কাজের প্রশংসা হল তার পর থেকে কাজ পেতে থাকি। এখন পর্যন্ত ২৫টা মতো ছবি করেছি।
শুটের ব্যাপারে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মতামত নেন?
সৌমিক: ভাল মতামত পেলে নিশ্চয়ই নিই। বুম্বাদা, মিঠুনদা, রূপাদি-র সঙ্গে কাজ করেছি। এঁদের অবদান আমার জীবনে অনেক। এঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। |
|
আচ্ছা, যখন আপনি বোল্ড সিন বা নায়ক-নায়িকার ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুট করেন, তখন ক্যামেরার পিছনে আপনার অস্বস্তি হয় না?
সৌমিক: (হাসি) না, না, একদমই না। যেহেতু এই দৃশ্যগুলি অভিনয়েরই এক একটি অংশ, সেহেতু অন্য কোনও আকর্ষণ তো আসেই না এবং অস্বস্তি বোধও করি না। আসলে এটা আমার রুটি-রুজির জায়গা তো।
সিনেমা পাড়ার এখন ৮০ শতাংশ কাজ আপনার হাতে। সৌমিক হালদার নাম পাল্টে, আপনার ‘সৌমিক মনোপলি’ নাম রাখা উচিত নয় কি?
সৌমিক: (হা হা হাসি) এটা বলতে পারি না। আমি সিনসিয়ারলি, ডেডিকেটেডলি কাজগুলো করি বলেই বোধ হয় পরিচালকরা আমাকে দিয়ে কাজ করান। আমি যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছি, এর জন্য তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ দেব। প্রত্যেক পরিচালকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমি একটা মাইলেজ পেয়েছি।
প্রথম প্রেমে কবে পড়েছিলেন?
সৌমিক: ২০০০ সালে। আমি এক বারই প্রেমে পড়েছিলাম। এবং তাকেই বিয়ে করেছি। সুদীপা আর আমার ৭ বছরের প্রেম, তার মধ্যে আবার ২ বার ব্রেক-আপ। আর করে উঠতে পারিনি।
কেমন মহিলাদের পছন্দ করেন?
সৌমিক: আমি বোধ হয় খুব পুরনোপন্থী। আমার একটু লম্বা চুল, শ্যামলা রং মহিলাদের পছন্দ। এই কারণেই দক্ষিণ ভারতের নায়িকা শোভনা আমার প্রিয়। যদিও তাঁর সঙ্গে আমার আলাপ নেই।
আপনার ফেভারিট সিনেমাটোগ্রাফার?
সৌমিক: ক্রিস্টোফার ডয়েল, সুব্রত মিত্র। বাংলা ছবিতে সুব্রতবাবু যে কাজ করে গিয়েছেন, সেই কাজেরই কিন্তু আমরা আজকের ভার্সন দিতে চেষ্টা করি। এটা অনুকরণ বললে বলতে পারেন, অনুসরণ বললেও বলতে পারেন।
সিনেমাটোগ্রাফির বাইরে কী ভাল লাগে?
সৌমিক: রান্না করতে ভাল লাগে। অবসর খুব একটা পাই না। পেলে সিনেমা দেখে এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই।
নতুন কী কী কাজ করছেন?
সৌমিক: সৃজিতের ‘২২শে শ্রাবণ’ রিলিজের মুখে, অতনু ঘোষের ‘এক ফালি রোদ’, অরিন্দম শীলের একটা ছবি, ঋতুপর্ণ ঘোষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপর ডকু বানাচ্ছেন, ওটাও আমি করছি।
ভবিষ্যতে সিনেমা পরিচালনা করার ইচ্ছে নেই?
সৌমিক: খুবই ইচ্ছে আছে। আমার গল্পও এক রকম রেডি বলতে পারেন। তবে এখন বোধ হয় ঠিক সময় আসেনি। আর কিছু দিন যাক। কিন্তু নিজে ক্যামেরা করব না। (হাসি)
আপনার স্ত্রী সুদীপাও তো এই প্রফেশনে আছেন, এতে কি সুবিধে হয়?
সৌমিক: নিশ্চয়ই। সুদীপা আমার কাজে ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়, আরও পারফেকশনিস্ট হতে পারি। |
|
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
• ইংল্যান্ডে বারবার ভারতীয় ক্রিকেট-ঘুড়ি ‘ভোঁ-কাট্টা’ হওয়ার পর পরবর্তী প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে ‘প্যাঁচ’ কষার আগে প্রস্তুতির সুতোয় কড়া ‘মাঞ্জা’ দেওয়া দরকার বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন!
সোহিনী দত্ত। বাঘাযতীন
• এ সময়ের প্রতিবাদী গান: ডাকছে স্কুল, ডাকছে ক্লাস, ডাকছে স্বপ্ন উজ্জ্বল একরাশ; ও ‘দাদা’রা, সব কেড়ে, ওদের কেন মিটিং-মিছিলে নিতে চাস?
রতন দত্ত। বাঘাযতীন
• প্রথমে সাংসদ-ঘুষ কাণ্ডে জেলে গিয়ে খবরে এলেন অমর সিংহ। সম্প্রতি হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী নরেন্দ্র মোদীর অনশন মঞ্চে শোনা গেল সমর্থকদের ‘আল্লাহ আকবর’ ধ্বনি। মাঝে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘রথযাত্রা’র ইচ্ছা প্রকাশ করে সাড়া ফেললেন আডবাণী। খবরের বক্স অফিসে হিট সিনেমার নাম তাই এ মাসে হতে পারে অমর-‘আকবর’-অ্যান্টনি, থুড়ি আডবাণী!
প্রশান্ত বিশ্বাস।
• খামারগাছি সারা দেশে যে ভাবে নেতারা জেলে যাচ্ছে, তাতে তো মনে হচ্ছে সরকার বোধ হয় জেল টুরিজমকে উৎসাহ দিচ্ছে!
দুর্গাপতি বৈষ্ণব। বোড়াল
• তৃণমূলী প্লেট চৌত্রিশ বছরের জগদ্দল সিপিএমের প্লেটে ধাক্কা মারায় যে ভূমিকম্প (পড়ুন বঙ্গকম্প) ঘটেছিল, তাও কিন্তু এক নজিরবিহীন ঘটনা!
হীরালাল। কলেজ স্ট্রিট
• কোনও শাসক অত্যাচারী শাসন চালিয়ে যাবে, আর ‘বামপন্থীরা আঙুল চুষবে’, তা হয় না। ‘এই শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে’ বিমানবাবুর এই মন্তব্য থেকে আমরা শিখলাম, বামপন্থীরা কখনও ‘আঙুল চুষবে না’, কারণ এটাও এক ধরনের ‘শোষণ’! বিমানবাবুদের লড়াই তো যে কোনও ধরনের শোষণের বিরুদ্ধে, তাই না!
সুশান্ত ঘোষাল। কালনা
• সে-দিন মেট্রো রেলে দুই বন্ধুর মধ্যে অনেক দিন পরে দেখা। এক বন্ধু অপর বন্ধুকে জিজ্ঞেস করছে: ‘কী রে, তোর চেহারাটা এমন কঙ্কালের মতন হয়ে গেল কেন?’ অপর বন্ধু: তুই আমাকে কঙ্কাল বলবি না, প্লিজ! কারণ, কোনও নিখোঁজ তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী আমাকে নিজের স্বামী বলে দাবি করতে পারে!
প্রত্যুষ বসু। বারাকপুর
• হাই ভোল্টেজ কারেন্ট বক্সে কঙ্কালের মুখ আর হাড়ের ক্রস দেখে কেউ আর ভয় পাচ্ছে না! ‘সাবধান’ করতে গেলে নাকি সুশান্ত ঘোষের মুখের ছবি লাগতে হবে!
অভীক সেন। শিয়ালদা
• সিকিমে প্রশ্ন অতঃকিম!
কিউবা পাল। গড়িয়া |
|
|
উদয়শঙ্কর মুখোপাধ্যায় |
আমতার মতো অজপাড়াগাঁয়ের একটি ছেলের ভাগ্যে হঠাৎই শিকে ছিঁড়ল আকাশবাণীর নাটকে অভিনয় করার, অবশ্যই অডিশনে পাশ করে। সুসাহিত্যিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘নতুন তুলির টান’-এর বেতার নাট্যরূপের রিহার্সালে স্টুডিয়োতেই প্রথম দেখেছিলাম তাঁকে। পরনে ধুতি-পাঞ্জাবি, ভাঁজ করা উত্তরীয়টি পিঠের দিকে ফেলা, সৌম্য-সুদর্শন এক ব্যক্তিত্ব। বিশ্ববিখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য একটি ‘সুপারিশ পত্র’-র আশায় এক দিন সকালে হাজির হলাম তাঁর উত্তর কলকাতার রামধনু মিত্র লেনের বাড়ির দোতলায়। লুঙ্গি-গেঞ্জি পরা আটপৌরে তিনি হাসি মুখে দরজা খুলে আমাকে বসতে বলে ভেতরে চলে গেলেন। প্রায় |
|
আধ ঘণ্টা পর উনি ফিরে এলেন দু’হাতে দু’কাপ চা নিয়ে। কুণ্ঠিত ভাবে জিজ্ঞাসা করলাম, মাস্টারমশাই, আপনি কেন? উনি ওঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বললেন, ‘কেন, বাবা-মা কি সন্তানদের চান দেন না? তা ছাড়া আজ আমাদের সাহায্যকারিনী মহিলাটি কাজে আসেননি। তুমি হয়তো জানো না উদয়, আমার মেয়ের যাবতীয় কাজ আমি নিজে হাতে করি। ও-ও তো ঈশ্বরেরই দান। তিনি ক্ষতই দিন, আর অক্ষতই দিন!’ সে-দিন ওঁর চোখে জল দেখেছিলাম। পরে জেনেছিলাম ওঁর মেয়েটি জড়বুদ্ধিসম্পন্ন। আজ আর তিনি আমাদের মাঝে নেই। তাঁর অভিনয়, পরিচালনা, ‘বিরূপাক্ষের আসর’ রসবোধ এবং সর্বোপরি তাঁর ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ সঙ্গীতালেখ্য চিরকাল অমর হয়ে থাকবে বাঙালির অন্তরে। আর আমার মতো হাজার হাজার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটকের ছাত্রের মনের মণিকোঠায়, যিনি তাদের কাছে ছিলেন স্নেহময় পিতৃসম পরমশ্রদ্ধেয় শ্রী বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র।
|
|
|
এ নাকি এমন এক স্পেস,
দুনিয়ার দোস্তির নয়া সারফেস!
আসলে শুধুই সেটা মোটে নয় কেস,
একে ওকে খিস্তির নিয়মিত রেস!
কেঁদে কেঁদে ফুলে ওঠে ‘রিয়ালিটি’ ফেস!
সাইবার নেটে করা ঘোর অপমান, কেড়ে নেয় প্রাণ।
এই বার ঘুঁটে মালা ঢাকে তব বুক, ফেসবুক |
|
|
|
দিদির শাসনের ৩৪ দিনেই অস্থির বিমান
ওঁর কি এক দিনে বছর?
অমিত মুন্সি, জোড়া বটতলা |
|
|
|
ক্ষমা চাইছি |
|
সে দিন সকাল থেকে একটানা বর্ষা। শিয়ালদা থেকে ডালহৌসিগামী বাসে উঠেছি। পুরো বউবাজার জুড়ে ট্র্যাফিক জ্যাম। পাশের লম্বা সিটে বসে আছি। আমার কোলে কয়েক বছর আগের কেনা কে সি পালের থ্রি ফোল্ড ছাতা। বৃষ্টি হয়েই চলেছে। ভেজা ছাতা কোনও রকমে মুড়ে এক বৃদ্ধলোক বাসে উঠলেন। ভিড়ে ঠাসা বাস। বৃদ্ধ ভদ্রলোক ছাতা ধরে বললেন, ‘প্লিজ’। ছাতাখানা নিয়ে কোলে রাখতে গিয়ে দেখলুম, ঝকঝকে সদ্য কেনা। কে সি পালের স্টিকার জ্বলজ্বল করছে। বাস মৃদু ছন্দে চলেছে। ভদ্রলোক কী মনে হতেই ঝটপট আমার কোল থেকে ছাতা নিয়ে নেমে পড়লেন। এবং নিলেন আমার পুরনো বিধ্বস্ত ছাতাখানা। সেই মুহূর্তে আমাদের বাস চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ পেরিয়ে লালবাজারের দিকে ছুটছে। আমি যথারীতি নতুন ছাতা মাথায় দিয়ে হৃষ্ট মনে অফিসে ঢুকে গেলাম। আজ এত বছর পরেও সেই বৃদ্ধ ভদ্রলোকের কথা মনে করে বড় কষ্ট পাই।
অরবিন্দ দাস,
কলকাতা-৫৪ |
|
ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|