ভূমিকম্পে ছাদের বিভিন্ন জায়গা খসেছে। অনেক ঘরে ফেটেছে দেওয়ালে। চিড় ধরেছে হস্টেলের তিন তলার কংক্রিটের স্তম্ভে। বারান্দার মেঝেতেও ফাটল। ছাত্রছাত্রীরা থাকতে ভয় পাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই হস্টেলগুলিতে। রাত হলে এখন ছাত্ররা তাই আশ্রয় নিচ্ছেন আকাশের নিচে। অনেকে সাহস করে থাকছেন একতলায় সাইকেল রাখার ঘরে বা রিক্রিয়েশন রুমে। হস্টেলের রুম থেকে চৌকি বের করে শোওয়ার ব্যবস্থা করছেন নিচতলার করিডরে। যাতে ভূমিকম্প হলে দ্রুত খোলা আকাশের নিচে যেতে পারেন। ছাত্রীরা আতঙ্কে রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলিতেই। অনেকে চলে যাচ্ছেন। হস্টেল সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কে ভূমিকম্পের পর থেকেই। হস্টেল দায়িত্বে থাকা আধিকারিক বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানালেও তাঁরা বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যকে জানাতে চাইলেও তিনি বেশ কিছু দিন ধরেই না-থাকায় তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। এমনকী ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তাঁরা। উপাচার্যের দফতর থেকে জানানো হয়েছে তিনি বাইরে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত সওয়া দশটা নাগাদ মৃদু ভূমিকম্প হতেই ফের আতঙ্ক তাড়া করেছে তাঁদের। অধিকাংশ ছাত্ররা বৃহস্পতিবার রাতেও খোলা আকাশের নিছে কাটিয়েছেন। হস্টেল ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন ছাত্রীরাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান জ্যোতিষ বসাক বলেন, “ভূমিকম্পের পর কেউ হস্টেলে থাকতে চাননি। ঘটনার পর উপাচার্য ফোন করে ছাত্রছাত্রীদের খোঁজ নেন। সেই মতো ব্যবস্থা করা হয়। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ত দফতরের বাস্তুকাররাও হস্টেল ভবনগুলি পরীক্ষা করে দেখে গিয়েছেন। প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজও শুরু হয়েছে।”
|
পলিটেকনিক কলেজ ভবন তৈরির জন্য একটি ইঁট গাঁথা হয়নি। তৃণমূল বিধায়ক সত্যেন রায় খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, প্রকল্পটি সরকারি ভাবে অনুমোদন করা হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দের টাকা না পেয়েই রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাস গত ২২ জানুয়ারি কাদিঘাট এলাকায় কলেজের শিলান্যাস করেন। তার পরেই রাজ্যের তরফে কলেজের ভবন তৈরির জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। কাজ হয়নি। সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়কের তৎপরতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় সরকার ২০ কোটি টাকার ওই প্রকল্পের ১২ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করে। এর পরেই শুরু হয়েছে কলেজ ভবন তৈরির প্রস্তুতি। বিধায়ক সত্যেনবাবু বলেন, “ওই প্রকল্পে রাজ্য দেবে ৭ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। ১৮ নভেম্বর কলেজ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।” তৃণমূলের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের আগে সস্তা চমক দিতে বামফ্রন্টের নেতা ও মন্ত্রীরা তড়িঘড়ি পলিটেকনিক কলেজের শিলান্যাস করেন। প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, “শিলান্যাসের ৩ মাস পরে বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষিত হওয়ায় প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হয়। ঠিকাদার সংস্থাকে কলেজের বাড়ি তৈরির বাবদ প্রথম দফায় ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হলেও কাজ শুরু করেনি।” জেলা তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “বামফ্রন্ট নেতৃত্ব বলছেন কলেজ তৈরির অনুমোদন অনেক আগেই নাকি তাঁরা পেয়েছিলেন। সেটা হলে ভোটের আগে কেন চালু করলেন না!”
|
পলিটেকনিক, উদ্যোগী মন্ত্রী |
আমরা-ওঁরা নেই। মাথাভাঙায় পলিটেকনিক কলেজ তৈরির জন্য সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধানকে ডেকে নিয়ে জমি খুঁজতে নেমেছেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাথাভাঙা শহর লাগোয়া পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরে হাজির হন বনমন্ত্রী। পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান কাজল রায়কে ডেকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সম্ভাব্য জমির খোঁজে। পচাগড় পঞ্চায়েতের বেলতলা ও লাগোয়া এলাকায় কয়েকটি প্লট একসঙ্গে তারা ঘুরেও দেখেন। শুক্রবার বনমন্ত্রী না থাকলেও তার দলের স্থানীয় নেতা মাথাভাঙা-পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য উদয় সরকার, সিপিএম প্রধান সহ ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মীদের একটি দল একই ভাবে সম্ভাব্য জমি ও ভূমিসংস্কার দফতরের কর্মীদের একটি দল একইভাবে সম্ভাব্য জমি চূড়ান্ত করতে রাস্তায় নেমে খোঁজখবর নেন। রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতি জড়ানো আমাদের সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নয়। মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী বহু আগেই ওই অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মাথাভাঙার পলিটেকনিক কলেজ তৈরির ক্ষেত্রেও সেই পথ অনুসরণ করে সবাইকে নিয়ে এগোতে চাইছি।” মাথাভাঙা মহকুমায় পলিটেকনিক কলেজ তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে বাসিন্দাদের ওই দাবি পূরণের বিষয়টি ওঠে। তার জেরেই মাথাভাঙায় পলিটেকনিক কলেজ তৈরির জন্য ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমোদন করে পর্ষদ। পুজোর আগে কলেজের জন্য ৫ একর জমি চিহ্নিত করার তোড়জোড়ও চলছে। জমি অধিগ্রহণে সরকারি জমির বন্দোবস্ত করার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
|
লাইব্রেরিতে বই নেই। কলেজে কম্পিউটার নেই। প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস ঠিকমত হয় না। এমনই বহু সমস্যার সমাধানের জন্য আবেদন করে কাজ না হওয়ায় ক্লাস শুরুর ৫০ দিনের মাথায় শুক্রবার থেকে ক্লাস বয়কট শুরু করলেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। সমস্যার সমাধান না হওয়া অবধি ক্লাস বয়কট চলবে বলে তাঁরা কলেজের অধ্যক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন। জেলাশাসক শ্রীমতি অচর্না বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা মেটানোর জন্য দ্রুত কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসা হবে।” আন্দোলনেছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি হবে বলে মনে করেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “৭৫ শতাংশ ক্লাস না করলে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। বই কেনার জন্য ৭ লক্ষের মধ্যে ৫ লক্ষ মিলেছে। জার্নাল কেনার জন্য ৯ লক্ষ টাকা চাওয়া কিছু পাওয়া যায়নি। কম্পিউটার পুজোর পরেই এসে যাবে। ১ অগস্ট মালদহ মেডিক্যালে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে।
|
আমরা-ওরা নেই। মাথাভাঙায় পলিটেকনিক কলেজ তৈরির জন্য সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধানকে ডেকে নিয়ে জমি খুঁজতে নেমেছেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাথাভাঙা শহর লাগোয়া পচাগড় পঞ্চায়েতে হাজির হন তিনি। সিপিএম প্রধান কাজল রায়কে ডেকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন জমির খোঁজে। পচাগড় পঞ্চায়েতের বেলতলা ও লাগোয়া এলাকায় কয়েকটি প্লট তাঁরা ঘুরে দেখেন। শুক্রবার মন্ত্রী না থাকলেও তৃণমূলের স্থানীয় নেতা উদয় সরকার, সিপিএম প্রধান সহ ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মীদের একটি দল সম্ভাব্য জমি চূড়ান্ত করতে খোঁজখবর নেন। হিতেনবাবু বলেন, “উন্নয়নে রাজনীতি জড়ানো আমাদের সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নয়। মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী বহু আগেই ওই অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মাথাভাঙার পলিটেকনিক কলেজ তৈরির ক্ষেত্রেও সেই পথ অনুসরণ করে সবাইকে নিয়ে এগোতে চাইছি।”
|
গুলি করে পাট ব্যবসায়ীর লক্ষাধিক টাকা লুঠের ঘটনার দুই দিন পরেও পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি। শুক্রবার সকালে কলকাতার পিজি হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ পাট ব্যবসায়ী হরিদাস বালোর বুকে অস্ত্রোপচারের পর গুলি বার করেন চিকিৎসকেরা। গাজলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “তদন্ত চলছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
|
জড়ো হওয়া ৩ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল জয়গাঁর পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি বন্দুক, এক রাউন্ড গুলি, তরোয়াল ও ভোজালি আটক করা হয়েছে। ধৃতদের নাম অলক রাই, কুমার লিম্বু এবং সুমন সোনার। বৃহস্পতিবার রাতে গোপীমোহন ময়দান সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়।
|
পুজোর মুখে দৃষ্টিহীন পড়ুয়াদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার কোচবিহারের সরকারি দৃষ্টিহীন বিদ্যালয়ের আবাসিক ৩০ জন পড়ুয়াকে একটি করে রঙিন পোশাকের পাশাপাশি স্কুলের নির্দিষ্ট পোশাকও দেওয়া হয়। স্কুলের অধ্যক্ষ ফণীভূষণ দাস জানান, স্কুল তহবিলের টাকা থেকেই পোশাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। |