|
|
|
|
ভাঙন জাতীয় সমস্যা দুই জেলাতে: মানস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি |
মালদহ ও মুর্শিদাবাদের ভাঙনকে জাতীয় সমস্যা ঘোষণার দাবি জানাবে রাজ্য সরকার। শুক্রবার শিলিগুড়িতে রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের মন্ত্রী পবন বনশলকে মানসবাবু নিজেও এই ব্যাপারে চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী বলেন, “মালদহ ও মুর্শিদাবাদের ভাঙন বিপজ্জনক চেহারা নিয়েছে। গঙ্গা, ফুলহার ও মহানন্দার জন্যই ওই এলাকায় ভাঙন এতটা গুরুতর চেহারা নিয়েছে। ওই দুই জেলার ভাঙনকে জাতীয় সমস্যা ঘোষণা না-করলে সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রীকে আমি নিজেই এই ব্যাপারে চিঠি দেব। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি, তিনিই যেন এই ব্যাপারে আমাদের নেতৃত্ব দেন।” ব্রহ্মপুত্র বোর্ডে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সদস্য মনোনয়নের দাবিও জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের সমস্ত নদী ব্রহ্মপুত্রের শাখা। এই এলাকার বন্যা থেকে ভাঙন সমস্যা রোধে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মেলে ব্রহ্মপুত্র বোর্ড থেকেই। কিন্তু সেখানে রাজ্যের কোনও সদস্য নেই।” মানসবাবুর দাবি, ওই বোর্ডে রাজ্যের কোনও সদস্য না-থাকায় উত্তরবঙ্গের বন্যা ও ভাঙন সমস্যা ঠিকঠাক ভাবে তুলে ধরা যাচ্ছে না। পুরোটাই কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের মর্জির ওপরে নির্ভর করে। রাজ্য থেকে কোনও সদস্য মনোনয়ন করা হলে সেই সমস্যা কিছুটা হলেও দূর হবে। এদিন সকালে সেচমন্ত্রী দার্জিলিং মেলে শিলিগুড়িতে আসেন। সকালে তিনি শিলিগুড়ি লাগোয়া পশ্চিম ধনতলায় মহানন্দা নদী বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিদর্শন করেন। তিনবাতি এলাকায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের দফতর এবং কর্মী আবাসন পরিদর্শন করেন। |
|
ভূমিকম্পে মৃতের মা গীতারানি দেবীকে সান্ত্বনা মন্ত্রীর। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক। |
জলপাইগুড়ির রঙধামালি ও জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিদর্শন করেন। সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ওই সমস্ত এলাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভূমিকম্পে সিকিমে মৃত শিবু হালদার এবং শিলিগুড়ির খালপাড়ায় মৃত বিনোদ অগ্রবালের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকেদের সমবেদনা জানান। সেচমন্ত্রীর সঙ্গে মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার, শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত, কংগ্রেস নেতা সুবীন ভৌমিক, বিকাশ সরকার-সহ অন্যান্যরা ছিলেন। শিবু হালদারের পরিবার যাতে সরকারি ক্ষতিপূরণ পায় এই ব্যাপারে তিনি শিলিগুড়ি মেয়রকে নির্দেশ দেন। তিনবাতিতে তিস্তা সেচ প্রকল্পের দফতরে গিয়ে আধিকারিকদের নানা ত্রুটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মহানন্দা ব্যারাজ সার্কেলের করিডোরে আলো না-জ্বলায় ইলেকট্রিক্যাল ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র সৌম্যব্রত মান্নাকে বলেন, “৬টা টিউব লাগানোর মতো অবস্থা কী আপনাদের ডিভিশনের নেই।” ভূমিকম্পে দফতরের কোথায় চিড় ধরেছে তা দেখতে গিয়ে উই দেখতে পেয়ে এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রকে বলেন, “এসব কী? ঘরগুলো কী একটু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যায় না?” অগস্টে মেকানিক্যাল ডিভিশনের কাজ নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এদিন ওই ডিভিশনটি ঘরে দেখার পরে বলেন, “এই ডিভিশনের প্রচুর যন্ত্রপাতি পড়ে রয়েছে। কোনটা সচল আর কোনটা বিকল, আধিকারিকদের তার তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। সচল যন্ত্রগুলি দিয়ে দফতরের কাজকর্মের বাইরে ভাড়া দিয়ে আয় করা যায় কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।” |
|
|
|
|
|