|
|
|
|
শহর পুনর্গঠন |
২৯শে প্রথম বোর্ড মিটিং এসজেডিএ-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকার পুনর্গঠনের বিষয়টি মাথায় রেখে রেখে জরুরি ভিত্তিতে পুজোর আগেই প্রথম বোর্ড মিটিং ডাকল শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এসজেডিএ)। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়িতে এসজেডিএ-র প্রশাসনিক ভবনে ওই বৈঠক হবে। এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান তা শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেছেন, “খুব কম সময়ের মধ্যে প্রথম বোর্ড মিটিং ডাকতে হল। কারণ, ভূমিকম্পজনিত পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ করতে হবে। জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি দুটি এলাকার পুনর্গঠনই আপাতত আমাদের অগ্রাধিকার তালিকায় থাকবে।” পাশাপাশি, বোর্ড মিটিঙের আগে জলপাইগুড়ি ও মালবাজারে ভূমিকম্পে যে ক্ষতি হয়েছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন চেয়ারম্যান। দু’সপ্তাহ আগেই এসজেডিএ-এর বোর্ড গঠন হয়েছে। নবগঠিত বোর্ডে শিলিগুড়ির ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা ছাড়াও কংগ্রেসের কাউন্সিলর তথা পুর চেয়ারম্যান নান্টু পালও মনোনীত হয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে নবগঠিত বোর্ডের সদস্যদের নামের তালিকায় ভুলবশত নান্টুবাবুর পদবী পালের বদলে সাহা ছাপানো হয়েছিল। সম্প্রতি তা ঠিক করে নগরোন্নয়ন দফতর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বস্তুত, ভূমিকম্পের পর থেকে টানা পাঁচ দিন ধরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব ও এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান উদ্ধারকার্য, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ করছেন। রুদ্রনাথবাবু আহতদের চিকিৎসার তদারকির কাজের উপরেই প্রথমে জোর দেন। তারই মাঝে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির কয়েকটি স্কুল ভবনে ফাটল ধরার খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ রুদ্রনাথবাবু শিলিগুড়ি শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড়ায় হিন্দি হাই স্কুল ফর গার্লস-এ যান। ১৯৬৯ সালে তৈরি ওই স্কুলে প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে ২৭৩০ জন ছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক-অশিক্ষকের সংখ্যা ৪২ জন। একসময়ে একতলা থাকলেও চাপ সামাল দিতে তা তিনতলা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৭ ইঞ্চি পিলারের উপরে ছাদ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনতলা ভবনের নানা জায়গায় ফাটল ধরে গিয়েছে। এমনকী, বেশ কয়েকটি পিলারও ফেটে গিয়েছে। সেখানেই রুদ্রনাথবাবুর কাছে অভিযোগ করা হয়, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানানোর পরেও সেভাবে কেউ উদ্যোগী হননি। সব শুনে রুদ্রনাথবাবু সেখানে দাঁড়িয়েই শিলিগুড়ির এসডিও সৌরভ পাহাড়ির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। রুদ্রবাবু জানিয়ে দেন, স্কুলের ভবনের যা বিপজ্জনক অবস্থা তাতে যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়লে বড় মাপের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে পুরসভার দুজন ইঞ্জিনিয়রও যান। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যানের উদ্বেগ ও ক্ষোভ আঁচ করে দ্রুত স্কুলটি সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। অনেকেই জানান, ভূমিকম্পে ফাটল ধরার পর থেকে প্লাস্টার খসে পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। বিধায়ককে জানানো হলে তিনি গিয়ে স্কুল বন্ধ করে ফাটল সারিয়ে স্কুলকে বিপন্মুক্ত করার নির্দেশ দেওয়ায় ছাত্রী ও শিক্ষকরা স্বস্তিতে। শনিবার ওই স্কুলে এসজেডিএ-এর ইঞ্জিনিয়রদের এক প্রতিনিধি দল যাবে। চেয়ারম্যান জানান, ওই ইঞ্জিনিয়রদের রিপোর্ট পাওয়ার পরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে। |
|
|
|
|
|