|
|
|
|
শহর পুনর্গঠন |
সিটুর আন্দোলনে বন্ধ বাগান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাজগঞ্জ |
বাগানে নতুন ম্যানেজারকে কাজে যোগ দেওয়ার ঘটনায় গোলমালের জেরে একটি চা বাগানে সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হল। শুক্রবার জলপাগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদাড়ি অঞ্চলের সরস্বতী চা বাগানে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাচক্রে ওই বাগানের অন্যতম মালিক হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ির জেলার সভাপতি কিসান কল্যাণী। এ দিন সকালে মালিকপক্ষের তরফে বাগানের মূল গেটে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিশ টাঙানো হয়। এই ঘটনায় বাগানের কর্মী ও শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হলে আমবাড়ি ফাঁড়ির ওসি ভবেন রায়ের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী বাগানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিসানবাবু অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে বাগানের পরিচালন বোর্ডের এক সদস্য অভিযোগ করেন, সিটুর নেতাদের একাংশের প্রশ্রয়ে বাগানের অধিকাংশই শ্রমিক মর্জিমতো কাজে যোগ দিতেন। কোনও কিছু বলা যেত না। এতে বাগানের ক্ষতি হত। নতুন ম্যানেজার কড়াকড়ি করতেই তাঁকে বাগান থেকে হটানোর চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে ওই সদস্যের অভিযোগ। বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১০০ বছর ধরে ওই বাগান চলছে। বাগানের পরিমাণ প্রায় ৮০০ একর। সব মিলিয়ে ৭০০ শ্রমিক রয়েছে। গত মঙ্গলবার ওই বাগানে আলি হোসেন মজুমদার নামে একজন ম্যানেজারের পদে যোগ দেন। শ্রমিকরা ওই নতুন ম্যানেজারকে মেনে না নেওয়ায় গোলমালের সূত্রপাত। টানা তিন দিন ধরে এই নিয়ে বাগানে টানাপোড়ন শুরু হয়েছে। কাজ বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। এই নিয়ে তারা বুধবার বাগানের মূল গেটে জমায়েত হয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় বাগানের সহকারী কয়েকজন ম্যানেজার সহ-অফিস কর্মীরা বাগান ছেড়ে চলে যান। নতুন ম্যানেজার থেকেই যান। শুক্রবার সকালে বাগানের মূল গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক নোটিশ ঝুলতে দেখে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ওই নতুন ম্যানেজারকে বাগান থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে যায়। মালিক পক্ষের তরফে অবশ্য আরও দাবি করা হয়েছে, ওই বাগানে কর্মীদের কোনও রকমের দেনা-পাওনা বকেয়া রাখা হয়না। অন্যান্য আরও দশটি বাগানের তুলনায় শ্রমিকদের দেনা-পাওনা মেটানোয় যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। সিটুর তরফে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রাক্তন প্রধান সিপিএমের অনুপ ওঁরাওয়ের দাবি, “বাগানোর এই গোলমালে সিটুর কোনও ভূমিকা নেই। পুরো বিষয়টি শ্রমিকদের ব্যাপার। সিটুর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|