এনিবডি থেকে সামবডি
শাড়ি, সালোয়ার সুট, লহেঙ্গা বা ওয়েস্টার্ন যা-ই পরুন না কেন, শরীরটাকে আগে একটু টোনড্ করে নিন। নতুন নতুন অফ শোল্ডার, হল্টার নেক, স্প্যাগেটি বা টিউব-টপের ওপর সুবিচার করতে হলে আপনাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। পশ্চিমী পোশাকগুলির জন্য আপনার পিঠ, কাঁধ, ঘাড়, কোমর, হাত, পা এবং বাস্টলাইনকে টোনে ফেরানো ছাড়া উপায় নেই। লো-রেজ পরবেন, অথচ পেটটা সামনে ঝুলে থাকবে, তা কী করে হয়! থাই, হিপের টোন ছাড়া স্লিম ফিট, ন্যারো ফিট কি মানায়? ‘কাফ’টাও তো মেদহীন চাই। না হলে তো ফ্রক, স্কার্ট বা কেপ্রির আশা ছেড়ে দিতে হবে। বিপাশা, মালাইকা’দের মতো না-ই বা হল, নিজের যা আছে, তা ঠিকঠাক করে নেওয়াটাই বা কম কী! হাল ছেড়ে দিয়ে ঢিলেঢালা কিছু একটা দিয়ে নিজের সঙ্গে আপোস করে নেওয়ার কোনও মানে হয় না। তা ছাড়া ফ্যাশন ডিজাইনারদের নিত্যনতুন পোশাকের কাট আর রঙের ব্যবহারে আপনার বডি শেপ-এর ঘাটতি লুকিয়ে ফোটোফিনিশের সুযোগ তো আছে, আর থাকবেও। সঙ্গে আপনি নিজেও একটু চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, ভাল বডি শেপ প্রতিটা ফ্যাশনের ক্ষেত্রেই একটা প্লাস পয়েন্ট, সরাসরি আপনার ব্যক্তিত্বকেও বাড়িয়ে দিতে পারে কয়েকগুণ। তাঁত, সুতি, তসর তবুও চলবে। কিন্তু শিফন, জর্জেট, ক্রেপ বা সিল্কের বেলায় ভাল গড়ন এবং টানটান শরীরের চোখ ধাঁধানো উপস্থিতি অস্বীকার করা যায় না।
পুজোর আগে এই অল্প সময়ের মধ্যে জমজমাট বডি টোনিং-এর সঙ্গে অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে দেওয়া এই দু’টো কাজই এক সঙ্গে করতে পারে পাওয়ার টোনিং ওয়ার্কআউট। পুজোর দিনগুলিতে আপনার ক্যালরির ধকল সামলাতেও পাওয়ার টোনিং আদর্শ ব্যায়াম হিসেবে কাজে আসবে। যাঁরা সারা বছর কোনও শরীরচর্চা করেননি, তাঁরাও নির্দ্বিধায় শুরু করতে পারেন। নিয়মিতদের মতো রেজাল্ট না হলেও, একটা স্পষ্ট পরিবর্তন অল্প কয়েকদিনেই বুঝতে পারবেন। জিমে গিয়ে ট্রেনারের উপস্থিতিতে অনুশীলন করতে পারলে ভাল, না যেতে পারলেও অসুবিধা নেই। শুধু শরীরের ভারসাম্য, ক্লান্তি এবং মাংসপেশিতে টান যাতে না ধরে, সে ব্যাপারে একটু সতর্কতা নিয়ে বাড়িতেই শুরু করুন।
নিজের শরীরের ওজনের সঙ্গে সঙ্গে হাল্কা ওজনের ডাম্বেল, ওয়েটকাফ, কেটেল ডাম্বেল বা রেজিস্টেড ইলাস্টিক ব্যান্ডকে এক যোগে ব্যবহার করে পাওয়ার টোনিং করতে হবে। আলাদা আলাদা ভাবে করলে তা কিন্তু ক্যালিসথেনিক্স, বা শুধু ওয়েট ট্রেনিং পর্যায়ে থেকে যাবে। পাওয়ার টোনিং শুরুর সময় প্রত্যেক দিন হাল্কা ওয়ার্ম-আপ এবং নিয়ম করে শরীরের জয়েন্টগুলি নাড়িয়েচাড়িয়ে নিতে ভুলবেন না, পুরুষ ও মহিলা প্রত্যেকেই পাওয়ার টোনিং করে শরীরের টোন ও শেপ ভাল করতে পারেন।
প্রথমে দশ বার করে মোট তিনটে সেট দিয়ে শুরু করুন। কয়েকদিন পর পনেরো থেকে কুড়ি বার করে মোট চারটে সেটে অভ্যাস করুন। পাওয়ার টোনিং যে হেতু কোনও স্ট্যাটিক ওয়ার্কআউট নয়, তাই শ্বাস নেওয়া ছাড়ায় স্বাচ্ছন্দ্য চাই। ছাড়ার সময়টা অবশ্যই একটু বেশি দিতে হবে।

ফোন: ৯৮৩৬০১৬২১৫
ছবি: দেবাশিষ মিত্র



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.