হাসপাতালে ওয়ার্ডের মধ্যেই স্পিরিটের বোতলে রাখা ছিল কার্বোলিক অ্যাসিড। অভিযোগ, ইঞ্জেকশন দেওয়ার আগে স্পিরিটের বদলে সেই অ্যাসিডই রোগিণীর হাতে ঘষে দিয়েছেন নার্স। এক জন নয়, পরপর চার রোগিণীর ক্ষেত্রে ঘটেছে এই ঘটনা। চার জনেরই হাতের বেশ খানিকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। শুক্রবার ঘটনটি ঘটেছে এসএসকেএম হাসপাতালে। ওই ওয়ার্ডে এ দিন ডিউটিতে থাকা সব নার্সকেই শো-কজের চিঠি দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এক রোগীকে অন্য রোগীর জন্য বরাদ্দ ইঞ্জেকশন দেওয়া বা এক জনের ওষুধ অন্যকে খাওয়ানোর অভিযোগ সরকারি হাসপাতালে প্রায়ই ওঠে। তার জেরে রোগী মৃত্যুর নজিরও রয়েছে। এ বারের অভিযোগ আরও অভিনব। সুষমা কোলে নামে এক রোগিণীর পরিবারের অভিযোগ, ওই রোগিণী-সহ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি মোট চার জনের হাতে ইঞ্জেকশন দেওয়ার আগে স্পিরিট ভেবে অ্যাসিড তুলোয় নিয়ে ঘষেছেন নার্সরা। শরীরে স্পর্শ হওয়া মাত্রই এক রোগিণী চেঁচিয়ে ওঠেন। কিন্তু তাঁর কথায় সংশ্লিষ্ট নার্স কোনও গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ। বরং চেঁচানোর জন্য রোগিণীকে তিনি ধমক দেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওই রোগিণীর বাড়ির লোকেরা।
এসএসকেএম তথা ‘ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ’-এর অধ্যক্ষ প্রদীপ মিত্র বলেন, “কোনও ভাবে বোতলের গায়ে ভুল লেবেল করা হয়েছিল। কিন্তু এই ভুল অত্যন্ত মারাত্মক। সব নার্সকেই শো-কজ করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কিন্তু ওয়ার্ডের মধ্যে যেখানে ওষুধপত্র থাকে, সেখানে কার্বোলিক অ্যাসিডের বোতল এল কী ভাবে? সে বিষয়ে অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু জানাতে পারেননি। প্রদীপবাবু বলেন, “গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা যন্ত্র নয় মানুষ। ভুল করেছেন। ভুলটা মারাত্মক। ভবিষ্যতে সকলে যাতে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন হন, তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |