টুকরো খবর
অপরিস্রুত জল থেকে সমস্যা
স্কুলের অপরিস্রুত কুয়োর জলেই মিড-ডে মিলের রান্না ও বাসনপত্র ধোয়া হয়েছিল বলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসকের কাছে প্রাথমিক তদন্ত-রিপোর্ট দিয়েছেন আলিপুরের মহকুমাশাসক তনভির আফজল। গত বুধবার মহেশতলার জোত শিবরামপুর গার্লস হাইস্কুলের ৮৭ জন ছাত্রী মাংস-ভাত খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতাল ও মহেশতলা মাতৃসদনে তাদের চিকিৎসা হয়। মহকুমাশাসকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি কমিটি গড়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে জেলা প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, “তদন্ত রিপোর্ট শিক্ষা দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।” রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ওই দিন ৮৫ কিলো মুরগির মাংস রান্না করা হয়। স্কুলের হিসেবে ৭৫০ শিশু ওই মাংস-ভাত খেয়েছিল। তদন্ত-রিপোর্ট অনুযায়ী, মিড-ডে মিলের রান্না ও বাসনপত্র ধোয়ার জন্য জলের তিনটি উৎস রয়েছে স্কুলের কুয়ো, একটি নলকূপ এবং স্কুলের বাইরে পুরসভার কল। স্কুলের বক্তব্য, ওই দিন পুরসভার কলের জলেই রান্না হয়েছিল। তবে রান্নার বাসনপত্র ধোয়া হয় কুয়োর জল দিয়ে। তবে স্কুলের ছাত্রী ও পরিচালন কমিটির কয়েক জন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মাঝেমধ্যে কুয়োর জলেও রান্না হয়। রান্না করা হয় খোলা জায়গায়। মিড-ডে মিলের খরচের যথাযথ হিসেব স্কুল-কর্তৃপক্ষের কাছে নেই বলেও ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। স্কুল সূত্রের খবর, ২০১০ সালে জুলাইয়ে ওই স্কুলে মিড-মিল চালু হয়। পরিকাঠামো না থাকায় সেপ্টেম্বরে তা বন্ধ হয়ে যায়। তার পরে ২০১১-র ৬ সেপ্টেম্বর মিড-ডে মিল আবার চালু করা হয়। ১৪ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পরে ফের বন্ধ তা হয়ে গিয়েছে।

মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ
মিড-ডে মিল খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ল ৫০ জন পড়ুয়া। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ ব্লকের গোবরদা প্রাথমিক স্কুলে। অসুস্থদের মধ্যে ৩২ জনকে হিড়বাঁধ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে সকলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে ওই প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। এর পরেই কয়েক জন পড়ুয়া বমি করতে শুরু করে। পরে আরও কয়েক জন ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। হিড়বাঁধের বিডিও অনুপম চক্রবর্তী বলেন, “পড়ুয়ারা মিড-ডে মিলের খাবার খেয়েই অসুস্থ হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। কী ভাবে এটা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখার জন্য অবর স্কুল পরিদর্শককে বলা হয়েছে। অসুস্থ পড়ুয়ারা প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বাড়ি ফিরেছে।” ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌমেন্দু পাত্র বলেন, “প্রাথমিক ভাবে অনুমান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলেই পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে সকলেই প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছে।”

সচেতনতা শিবির
একটি বেসরকারি অ্যালুমিনিয়াম কারখানা এবং তিরাট পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় হাড়াভাঙা গ্রামের জহর পাড়ায় জন্ডিস নিয়ে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। যোগ দেন২৪ জন। ছিল প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতার আসর।

স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির
ইকড়া দেবদাস মঞ্চে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের জামুড়িয়া ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির উদ্যোগে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির হয়। ৩০ জনের রক্তের শ্রেণি নিণর্র্য় এবং স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.