|
|
|
|
মন্ত্রীর মানা, তবু সাজল হলং বাংলো |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে আপত্তি জানিয়েছেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। তাও জলদাপাড়া বনাঞ্চলের হলং বনবাংলোর ৮টি ঘরে বসানো হল বাতানুকূল যন্ত্র এবং এলসিডি টিভি। পর্যটন দফতর থেকে ওই বনবাংলো সাজাতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। ওই টাকায় যাতে অভয়ারণ্যের পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর বাতানুকূল যন্ত্র কিংবা এলসিডি-র মতো বিলাসবহুল কিছুর ব্যবস্থা না-করা হয় সেই ব্যাপারে বনকর্তাদের নির্দেশ দেন। তাও কী ভাবে তা বসানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বনমন্ত্রী বলেন, “পর্যটন দফতরের টাকায় বাংলো সাজানো হবে বলে জানতে পারি। প্রথমে আপত্তি করি। পরে টাকা ফেরত চলে যাবে দেখে এলসিডি-সহ নানা যন্ত্র না-বসিয়ে শুধু বাংলো সাজাতে নির্দেশ দিই। তার পরেও কেন এমন হল সেটা বনকর্তাদের খতিয়ে দেখতে বলছি। পাশাপাশি আমিও সেখানে যাব।” |
|
নতুন সাজে হলং বনবাংলো। ছবি: রাজকুমার মোদক। |
উত্তরবঙ্গের বনপাল বিপিন সুদ বলেন, “টাকা দিয়েছে পর্যটন দফতর। আমাদের তদারকিতে শুধু কাজ হয়েছে। তারাই এসি, এলসিডি বসানোর বিষয়টি ঠিক করেছে।” জলদাপাড়া জঙ্গলে হলং বাংলোয় প্রকৃতির বুকে রাত কাটাতে পর্যটকদের পছন্দের প্রথম তালিকায় রয়েছে এই বাংলোটি। রাজ্যের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর পুজাবসর কাটাবার অন্যতম পছন্দের ছিল এই বাংলো। পরিবেশপ্রেমী সুভাষ দত্ত বলেন, “জঙ্গলের ভেতর এই ধরনের এসি বসানো হলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে। তা ছাড়া বিশ্ব উষ্ণায়নের মূল কারণের মধ্যে অন্যতম বিদ্যুতের অত্যধিক ব্যবহার। জঙ্গলের ভেতর সোলার লাইট উপযোগী।” শিলিগুড়ির ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “প্রাণীর আবাসস্থলে এসি বসানো অপ্রয়োজনীয়, বেমানান ও অনৈতিক।” আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের কর্তা অমল দত্তের কথায়, “এত খরচ করার পেছনে বিশেষ কোনও কারণ রয়েছে। এতগুলি শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ও টেলিভিশন চললে বনের পরিবেশ যে কী ধরনের হবে তা সহজে অনুমেয়। বাংলোর কাছে পশুপাখিদের আনাগোনা কমে যাবে। এটা কিছুতেই মানা যায় না।” |
|
|
|
|
|