রেল মন্ত্রকের যুগ্মসচিব পদমর্যাদার এক জন অফিসারকে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের অধীনে কাজ করার জন্য নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। শুক্রবার মহাকরণ সূত্রে এ কথা জানা গিয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, ওই যুগ্মসচিবকে রাজ্যের পরিবহণ দফতরে সচিব অথবা বিশেষ সচিবের পদ দেওয়া হবে। তবে তিনি আসবেন ‘ডেপুটেশন’-এর ভিত্তিতে।
কেন তাঁকে আনা হচ্ছে? রাজ্য প্রশাসনিক মহলে দু’রকম মত শোনা গিয়েছে। l রাজ্যে পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো রেল-সহ রেলের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটির কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি শুরু হওয়ার পথে। সরকার চায়, রেলের প্রকল্পগুলি যথাযথ ভাবে এবং দ্রুত রূপায়ণের জন্য সমন্বয় খুব জরুরি। রাজ্য সরকার ও রেল মন্ত্রকের মধ্যে সমন্বয়ের জন্যই রেলের এক জন উচ্চপদস্থ অফিসারকে ডেপুটেশনের ভিত্তিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। l শুধু পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো রেলের কাজ দেখার জন্যই রেল মন্ত্রকের অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে। এত দিন পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো প্রকল্পটি ছিল কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে। দিল্লিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এই প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের অধীনে আনা হবে। তাই রেল মন্ত্রকের এক অফিসারকে আনা হচ্ছে।
পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন। এটি কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ তত্ত্বাবধানে চলে। কর্পোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী সংস্থার চেয়ারম্যান হন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব। ম্যানেজিং ডিরেক্টর হন রাজ্যের এক আইএএস অফিসার। নগরোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে রেল মন্ত্রকের অধীনে আসার পরে কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদেও পরিবর্তন হবে। কিন্তু রেল প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রেল মন্ত্রকের সমন্বয়ের জন্য রেলের কোনও অফিসারকে দায়িত্ব দিলে কর্পোরেশনের কী ভূমিকা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানা যায়নি। |