টুকরো খবর |
৫ মাওবাদীকে রাজনৈতিক বন্দির স্বীকৃতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কলকাতার দক্ষিণ শহরতলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে গ্রেফতার হওয়া পাঁচ মাওবাদী নেতা রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা পেলেন। আলিপুর আদালতের দশম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট শুক্রবার এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে। ২০১০ সালের ২৯ জুন দক্ষিণ শহরতলির সোনারপুর ও বিষ্ণুপুর-আমতলা থেকে মধুসূদন মণ্ডল, সিদ্ধার্থ মণ্ডল, শচীন ঘোষাল ও সঞ্জয় মণ্ডল নামে চার মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। রাধেশ্যাম দাস নামে অন্য এক মাওবাদী নেতাকে ধরা হয় পশ্চিম মেদিনীপুরে। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ অ্যাক্ট) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনে রাষ্ট্রদ্রোহ-সহ নানা অভিযোগে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিআইডি। তাদের তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, মধুসূদনবাবু নন্দীগ্রাম এলাকায় এক তৃণমূল নেতার হত্যাকাণ্ডে যুক্ত। তিনি নন্দীগ্রাম মাওবাদী জোনাল কমিটির সম্পাদক। তাঁদের রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে ঘোষণা করার জন্য পাঁচ মাওবাদী নেতার তরফে দাবি জানানো হয়েছিল। ওই পাঁচ জনকে রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে অভিযুক্ত ও সরকার পক্ষের তরফে দীর্ঘদিন ধরে সওয়াল হয়েছে বিচারক শুভ্রশঙ্কর ভট্টের এজলাসে। এ দিন আদালত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
|
নানা মতের মেলবন্ধনই শান্তির পথ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
আলোচনায় স্বামী শিবময়ানন্দ (বাঁ দিকে), স্বামী প্রভানন্দ (ডান দিকে)। ছবি: সুমন বল্লভ |
মানুষের মধ্যে অন্যের ভাবধারা গ্রহণ এবং উপলব্ধি করার ধৈর্য ক্রমশ হারাচ্ছে বলেই বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাস ও হানাহানি বাড়ছে। শ্রীরামকৃষ্ণের ১৭৫তম জন্মোৎসব উপলক্ষে শুক্রবার ‘রামকৃষ্ণ মিশন-স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ আয়োজিত পারস্পরিক ভাব বিনিময়-সংক্রান্ত আলোচনাসভায় উঠে এল এই প্রসঙ্গ। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী প্রভানন্দ বলেন, “মতের মেলবন্ধন অপরিহার্য। আমাদের সুপ্রাচীন সনাতন ধর্ম বিভেদের শিক্ষা দেয় না। সনাতন সংস্কৃতি মনের জানলা উন্মুক্ত করতে বলে, উদার হতে বলে।” তিনি আরও বলেন, “আধ্যাত্মিক ভাব সঠিক ভাবে জাগ্রত হচ্ছে না বলেই ভারত এখন বিশ্বের অন্যতম দুর্নীতিপরায়ণ রাষ্ট্র।” ‘রামকৃষ্ণ মিশন-স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাসভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’-এর সম্পাদক স্বামী শিবময়ানন্দ বলেন, “অনেকে মিলে থাকলে তেঁতুল পাতাতেও ন’জন ধরে। মারামারি করলে সারা বিশ্বেও কুলোয় না।” বম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায় ও ইলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামলকুমার সেন বক্তব্য রাখেনএ ই অনুষ্ঠানে।
|
রাজ্যপালের অধিকার নিয়েই প্রশ্ন সুদর্শনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আপাতত রুটিনমাফিক কাজকর্ম ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলে আচার্য-রাজ্যপাল গত জুনে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারির অধিকার রাজ্যপালের নেই বলে দাবি করলেন প্রাক্তন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী সুদর্শন রায়চৌধুরী। রাজ্যপালের ওই নির্দেশের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ থমকে গিয়েছে। শুক্রবার কলেজ স্কোয়ারে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সংগঠনগুলির এক সমাবেশে আচার্য-রাজ্যপালের এই ধরনের নির্দেশ জারির অধিকার নিয়েই প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন সিপিএম মন্ত্রী। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলের সদস্যদের সরিয়ে দিয়ে মেন্টর গ্রুপের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেন সুদর্শনবাবু। সমাবেশে তিনি বলেন, “শুনেছিলাম, মেন্টরেরা পরামর্শ দেবেন। এখন দেখছি, এক দফা পরামর্শ দিয়েই তাঁরা কাউন্সিলের সদস্যদের সরিয়ে নিজেরাই ঢুকে পড়লেন কাউন্সিলে!” বিভিন্ন দাবিদাওয়া জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ওয়েবকুটা)।
|
নয়া কমিশনারেটে ‘সিভিক পুলিশ’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কলকাতার মতোই নতুন কমিশনারেট এলাকায় ‘সিভিক পুলিশ’ ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব দিল রাজ্য পুলিশ। শুক্রবার প্রস্তাবটি মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। হাওড়া, আসানসোল-দুর্গাপুরে কমিশনারেট গড়া হয়েছে। কমিশনারেট হবে বিধাননগর, ব্যারাকপুরেও। আপাতত এই চার এলাকার জন্য এক হাজার করে অস্থায়ী পুলিশকর্মী নেওয়ার প্রস্তাব দেন ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়। মূলত ট্রাফিক সামলানো, বেআইনি পার্কিং নিয়ন্ত্রণের মতো কাজে পুলিশকে সাহায্য করার জন্য এই অস্থায়ী কর্মী দরকার।
|
জেলাশাসকের সব পদে ফের আইএএস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বেশ কয়েক বছর পরে, নতুন সরকারের জমানায় পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাশাসকের পদেই ফের বসলেন আইএএস অফিসারেরা। কলকাতা বাদে এখন জেলাশাসক নিয়োগ করা হয় রাজ্যের ১৮টি জেলায়। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে তার মধ্যে তিনটিতে ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের জন্য জেলাশাসকের পদ বরাদ্দ হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে পুরুলিয়া, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে কোনও না-কোনও সময়ে বিসিএস অফিসার জেলাশাসকের পদে ছিলেন।
|
ট্রেন-সূচি বদল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দু’টি সেতুর জরুরি মেরামতির জন্য ২৫ সেপ্টেম্বর, রবিবার আসানসোল ডিভিশনে ট্রেন চলাচলে কিছু বদল করা হয়েছে। পূর্ব রেল সূত্রের খবর, বেলা ১১টা ১৫ মিনিট থেকে সন্ধ্যা সওয়া ৭টা পর্যন্ত দু’টি সেতু এবং ১টি উড়ালপুলের মেরামতির জন্য ওই লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হবে। বাতিল হয়েছে ৩টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। তুফান এক্সপ্রেস, দ্বারভাঙা-হায়দরাবাদ, হাওড়া-মোকামা প্যাসেঞ্জার ও কিউল-জসিডি মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনেরও সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। ডাউন অমৃতসর, জম্মু-তাওয়াই, পূর্বা, অজমের-শিয়ালদহ এবং তুফান এক্সপ্রেসকে সুবিধামতো স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হবে।
|
সব পদই গেল এড্স নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কর্তার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্য এড্স নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (স্যাক্স)-র অধিকর্তার পদ থেকে রাকেশকুমার বৎসকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এই নির্দেশ জারি করা হয়। শুধু স্যাক্সের অধিকর্তা নয়, স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক পদে ছিলেন বৎস। সব পদ থেকেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আপাতত ‘কম্পালসারি ওয়েটিং’-এ আছেন এই আইএএস অফিসার। এ দিন স্যাক্সের অস্থায়ী অধিকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন আইএএস অফিসার রূপেন চৌধুরী। সপ্তাহখানেক আগেই স্যাক্সে লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয়ের কথা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। অভিযোগ ওঠে, বৎস অধিকর্তা থাকাকালীন এইচআইভি প্রতিরোধ প্রকল্পের টাকা হোটেলে খাওয়াদাওয়া করে, ডিভিডি-ভিসিডি কিনে এবং ফোনে অশ্লীল কথা বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় এড্স নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কর্তারা এসে অভিযোগ খতিয়ে দেখেন। শিক্ষা (স্বাস্থ্য) অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দফতরের চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও তদন্ত শুরু করেছে। এ দিন স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে বৎসকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হলেও তিনি নিজে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |
|