স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় ঠাঁই মা-মেয়ের |
চার বছরের নির্যাতিত শিশুকন্যাকে নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কার্যালয়ে আশ্রয় পেলেন মা। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও দিব্যজ্যোতি দাস বড়জোড়া থানার পুড়াকুন্ডা গ্রামে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন ছোট্ট নিবেদিতা ও তার মা মণি সাঁতরাকে। স্বামী-বিচ্ছিন্না মণিদেবী লোকের বাড়িতে কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালান। তাঁর মেয়ের ‘দায়িত্ব’ নেবেন দাবি করে দিন কুড়ি আগে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান বিষ্ণুপুরের শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা মধু খান। মণিদেবীর অভিযোগ, ওই বাড়িতে তাঁর শিশুকন্যার উপরে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে। সেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড হয়েছেন বিষ্ণুপুর থানার এক এএসআই। এসডিপিও-র হস্তক্ষেপে পুলিশ অভিযোগ নেয় এবং মধু খানকে গ্রেফতার করে। তখনই এসডিপিও মা-মেয়ের একটা ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার মেয়েকে বিষ্ণুপুর হাসপাতাল থেকে নিয়ে শহরের কাটানধার এলাকায় যে বাড়িতে তিনি পরিচারিকার কাজ করেন, সেখানে আশ্রয় নেন মণিদেবী। এ দিন সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে গাড়ি পাঠিয়ে পুলিশি নিরাপত্তায় মা-মেয়েকে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এসডিপিও। মণিদেবীর কথায়, “মেয়েকে নিয়ে একই জায়গায় থাকার ব্যবস্থা হওয়ায় আমি খুব খুশি।” ওই সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, এখানে মণিদেবীকে হাতের কাজ শিখিয়ে স্বাবলম্বী করে তোলার চেষ্টা হবে। নিবেদিতা লেখাপড়া করবে।
|
খেতমজুর সংগঠনের একটি কর্মিসভা থেকে ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন সিপিএম নেতা তথা তালড্যাংরা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রঞ্জিত দে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে তালড্যাংরা থানার পাঁচমুড়া গ্রামের কুমোরপাড়ায়। রঞ্জিতবাবুকে গুরুতর জখম অবস্থায় তালড্যাংরা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। মাথায় ফেটে যাওয়ায় সেলাই পড়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। হামলাকারীরা ‘তৃণমূল আশ্রিত’ দাবি করে থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন রঞ্জিতবাবু। সিপিএমের তালড্যাংরা জোনাল কমিটির সম্পাদক সুনীল হাঁসদার অভিযোগ, “বাস থেকে নেমে সাইকেল বাড়ি ফিরছিলেন রঞ্জিতবাবু। তখনই তৃণমূলের ১০-১২ জন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে সাইকেল থেকে টেনে নামিয়ে মারধর শুরু করে। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।” এই অভিযোগ অস্বীকার বলে ব্লক তৃণমূল সভাপতি মনসারাম লায়েকের দাবি, “সিপিএমের অন্য একটি গোষ্ঠীই এই হামলার সঙ্গে জড়িত। আমাদের দলের কেউ যুক্ত নন। সিপিএম মিথ্যা অভিযোগ করছে।” পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
|
এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম ফুলমনি গঁরাই (১৯)। তাঁর বাড়ি বলরামপুরের বেড়াডি গ্রামে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঁশগড়া গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। মৃতার বাবা রামলাল গঁরাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ফুলমনির স্বামী মহেশ্বর ও ভাসুর বাঁকু গঁরাইকে গ্রেফতার করেছে। এ দিন ধৃতদের পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হাজত হয়। মাস তিনেক আগে ঝাড়খণ্ডের সরাইকিলা-খঁরসওয়া জেলার চাাণ্ডিলের দড়দা গ্রামের বাসিন্দা রামলালের মেয়ে ফুলমনির সঙ্গে বেড়াডি গ্রামের বাসিন্দা মহেশ্বরের বিয়ে হয়। রামলালবাবুর অভিযোগ, “শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত। আমার দৃঢ় ধারণা, ওকে মেরে ফেলা হয়েছে। মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে খবর পেয়ে সেখানে যাই।” শুক্রবার পুরুলিয়া হাসপাতালে ওই বধূর দেহের ময়নাতদন্ত হয়।
|
অভিযুক্ত সিনিয়র পড়ুয়াদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার মানবাজারের মানভূম কলেজে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল ছাত্রপরিষদ সমর্থিত পুড়ুয়ারা। সংগঠনের ব্লক সভাপতি অপূর্ব সিংহের দাবি, “হোস্টেলের সিনিয়ররা প্রথম বর্ষের আবাসিক পড়ুয়াদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে টাকা আদায় করছিল। কলেজের তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে। তাই অযিুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছি।” কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালন সমিতি। তাই তাদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসব।”
|
পুরুলিয়া-বাঁকুড়া৬০-এ জাতীয় সড়কের উপরে পাতলই সেতুতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া চার সশস্ত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দু’জন পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকা এবং বাকি দু’জন রাঁচি জেলার নামকুম থানা এলাকার লোয়াডির বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, ধৃতদের কাছে দেশি রিভলভার, কার্তুজ ও ভোজালি একটি মিলেছে। তাদের ১৪ দিন জেল হয়। |