|
|
|
|
জঙ্গলমহলের ৩ কলেজে ছাত্রসংসদ টিএমসিপি-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
শুক্রবার ঝাড়গ্রাম মহকুমার ৩টি কলেজের ছাত্র সংসদ দখল করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) জোট। অশান্তির কারণে জঙ্গলমহলের কলেজগুলিতে গত দু’-তিন বছর ছাত্র সংসদে নির্বাচন হয়নি। ফলে কলেজগুলির ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় এতদিন কোনও ছাত্র সংগঠনই ছিল না। টিএমসিপি’র জেলা সভাপতি লোকেশ কর বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততা ও নিষ্ঠার প্রতি আস্থা রেখেই ছাত্রছাত্রীরা আমাদের প্রতিনিধিদের বেছে নিয়েছেন। সিপিএমের মতো এসএফআইকেও আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন পড়ুয়ারা।”
এ দিন জামবনির সেবাভারতী কলেজ, বিনপুরের শিলদা চন্দ্রশেখর কলেজ ও গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরেখা কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন ছিল। প্রতিটি কলেজ প্রাঙ্গণেই ছিল অভূতপূর্ব পুলিশি নিরাপত্তার আয়োজন। সেবাভারতী কলেজের ছাত্র সংসদের ২১টি আসনেই জয়ী হয় টিএমসিপি এবং ঝাড়খণ্ডি জোট। ২১টি আসনের ১৪টিতে এসএফআই প্রার্থী দিলেও একটিতেও তারা জিততে পারেনি। ৭টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় টিএমসিপি। দু’বছর আগে সেবাভারতী কলেজের ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় ছিল এসএফআই।
শিলদা চন্দ্রশেখর কলেজের ১৬টি আসনের ১৫টিতে টিএমসিপি এবং ১টিতে এসএফআই জয়ী হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি আসনে টিএমসিপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। দু’বছর আগে এই কলেজের ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় ছিল জেএসএফ (ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস্ ফেডারেশন)। গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরেখা কলেজের ২০টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে টিএমসিপি-ডিএসও জোট। এর মধ্যে ১৮টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী টিমসিপিই। ২০০৭ সাল পর্যন্ত এই কলেজের ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় ছিল বাম-বিরোধী ছাত্র ঐক্য। ওই বছরেই ছাত্র সংসদের নির্বাচনে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এক তরফা ভাবে এসএফআইকে জেতানোর অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ছাত্র-ঐক্য। নির্বাচনের ফলের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। পরে আদালত নতুন করে নির্বাচনের অনুমোদন দেয়। কিন্তু অশান্ত পরিস্থিতির জন্য বিগত তিন বছরে আর ভোট হয়নি। আবার হাইকোর্টের এক নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া বিবেকানন্দ শতবার্ষিকী কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে দেওয়া হয়নি বলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল এসএফআই। মনোনয়নপত্র দাখিলের দু’দিনেই টিএমসিপি-র সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায় বলে এসএফআইয়ের অভিযোগ। তা সত্ত্বেও মানিকপাড়া কলেজের ২০টি আসনের ১৩টিতে অবশ্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিল এসএফআই। আদালত বিষয়টির নিষ্পত্তির দায়িত্ব দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকেই। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অভিযোগকারীরা কী চাইছেন তা আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাদের লিখিত ভাবে জানাতে হবে কলেজ-নির্বাচনের ভারপ্রাপ্তকে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ করবেন। প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে মানিকপাড়া কলেজের ক্ষমতায় ছিল এসএফআই। |
|
|
|
|
|