|
|
|
|
জ্ঞানেশ্বরী’র দিন পিছোল |
নেতাই মামলা ফের সোমবার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শুনানি হলেও শুক্রবারও চার্জগঠন হল না নেতাই-মামলায়। আগামী সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর এই নিয়ে নির্দেশ দেবেন মেদিনীপুরের বিশেষ দায়রা বিচারক মধুমতী মিত্র। শুক্রবার চার্জগঠনের জন্য শুনানির দিন ছিল। সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থ তপস্বী বিশেষ দায়রা বিচারকের এজলাসে তাঁর সওয়ালে বলেন, “লালগড়ের নেতাই গ্রামে সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ির সশস্ত্র শিবির এবং বীরকাঁড়ের সশস্ত্র শিবিরের লোকজনের গুলিতেই গত ৭ জানুয়ারি ৪ মহিলা-সহ ৯ জন নিরীহ গ্রামবাসী নিহত হন। আহত হন অন্তত ২৮ জন।” ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলেও উল্লেখ করেন তদন্ত-সংস্থার আইনজীবী। পরে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী চণ্ডীচরণ মহাপাত্র দাবি করেন, “মাওবাদী হামলা রুখতেই শিবির ছিল। সেখান থেকে গ্রামবাসীদের উপর আক্রমণ চালানো হয়নি।” দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবের শেষে বিচারক আগামী সোমবার নির্দেশ দেবেন বলে জানান। চার্জগঠনের পরেই শুরু হবে বিচারপর্ব।
সিবিআই গত ৪ এপ্রিল ১২ জন বন্দি এবং ৮ জন ‘ফেরার’ সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে চার্জশিট দেয়। ফেরারদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের বিনপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক অনুজ পাণ্ডে, ধরমপুর, বেলাটিকরি ও লালগড় লোকাল কমিটির তিন সম্পাদক ডালিম পাণ্ডে, চণ্ডী করণ ও জয়দেব গিরি, দলের সদস্য খলিলউদ্দিন, তপন দে, জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য ফুল্লরা মণ্ডল এবং রথীন দণ্ডপাট। ইতিমধ্যেই ফেরার অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া নিয়েছে সিবিআই। চণ্ডীবাবু হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন, তা-ও খারিজ হয়ে গিয়েছে।
এ দিনই আবার জ্ঞানেশ্বরী-মামলার দায়রা বিচারের এজলাস চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। মেদিনীপুরের জেলা-দায়রা বিচারক এ দিন না আসায় তাও পিছিয়ে গিয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর ফের জেলা-দায়রা বিচারকের এজলাসেই উঠবে মামলাটি। ২০১০-এর ২৭ মে ঝাড়গ্রামের সরডিহায় রেললাইনে নাশকতার ঘটনায় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের ১৪৮ জন যাত্রী মারা যান। আহত হন শতাধিক। সিবিআই এই মামলায় আগেই ২৩ জনের নামে চার্জশিট দিয়েছে। এই ২৩ জনের মধ্যে ১৯ জন জেলে বন্দি, এক জন জামিনে মুক্ত। জয়দেব মাহাতো, জয়ন্ত ভক্তা ও বচন মান্না নামে ৩ অভিযুক্ত এখনও ‘ফেরার’। এ দিন জেলবন্দি ও জামিনে মুক্ত মিলে ২০ জনই ছিলেন আদালতে। |
|
|
|
|
|