|
উৎসবের আলো |
প্রতিদ্বন্দ্বী আকাশ
এস্কিমোদের দেশ থেকে ছো-নাচ।
থাকছে টাইটানিকও।পানিহাটি ঘুরে
লিখছেন বিতান ভট্টাচার্য |
|
ক’দিন পরেই মহালয়া। কিন্তু উদ্যোক্তাদের মাথায় হাত। এমনিতেই নিচু এলাকা। তার উপরে বৃষ্টি। মণ্ডপে জল জমে গিয়েছে। মূর্তি গলে যাচ্ছে। ইট, কাঠ পেতে কোনওক্রমে কাজ চলছে। পানিহাটি অঞ্চলের বেশ কিছু পুজোর এখন এই অবস্থা। এ ভাবে চললে অনেক উদ্যোক্তাই থিম পুজো থেকে সরে আসতে চাইছেন।
বিটি রোডের ধারে ‘সোদপুর পিয়ারলেস নগর’-এর ১৯০০ পরিবার মিলে ১৭ বছর ধরে পুজো করছেন। পুজো কমিটির সম্পাদক চঞ্চল মিত্র বলেন, ‘‘থিম পুজো হয়। কিন্তু প্রতি বার বৃষ্টিতে কাজে সমস্যা হচ্ছে। খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর পরে বৃষ্টির কথা ভেবে থিম ভাবতে হবে।’’ এ বার থিম পল্লি বাংলা। খড়ের চালের দুর্গাদালান। পুকুরে হাঁস চরবে। থাকবে ধানের গোলা। মাটি ও প্লাস্টার অফ প্যারিস দিয়ে নানা মূর্তি তৈরি হচ্ছে। ‘পানিহাটি সঙ্ঘশ্রী ক্লাব’-এর পুজো মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে ঘটের আদলে। থাকছে লক্ষ্মী পেঁচার মূর্তি।
|
|
আগরপাড়া রসিকলাল শ্রীমানি রোডের পুজোর এ বারের থিম এস্কিমোদের দেশ। তুলো দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ ও নানা মূর্তি। সোদপুর বিটি রোডের উপরে ধানকল মোড়ে ‘শহিদ কলোনি সর্বজনীন’-এর উদ্যোগে বাঁশ, কাঠ, প্লাইউড দিয়ে তৈরি হচ্ছে টাইটানিক। নাটাগড় ঘোষপাড়ার ‘কালীতলা সর্বজনীন’-এর থিম মিশরীয় সভ্যতা। থিমের পুজোয় পানিহাটিতে নজর কাড়ে এইচবি টাউনের পুজোও। এ বার এখানে দেবী থাকবেন গুহায়। সেখানে দেবতারা দেবীকে অস্ত্রে সজ্জিত করছেন। মহিষাসুর বধের কাহিনিও পটচিত্রে দেখানো হবে।
|
|
আগরপাড়ার ‘কল্যাণপুর সর্বজনীন’-এর এ বার ৬৩ বছর। থিম পরিবেশ সচেতনতা। প্লাস্টিক ব্যবহার রোধে উদ্যোগী হয়েছেন উদ্যোক্তারা। আগরপাড়ার ‘৭-এর পল্লি সর্বজনীন’-এর এ বার হীরকজয়ন্তী। থিম ছো-নাচ। দুর্গার মুখ ছো-নাচের মুখোশের আদলে তৈরি হচ্ছে। তারাপুকুরের ‘আদি সর্বজনীন মিলন সঙ্ঘ’র থিম বৌদ্ধ গুম্ফা। এখানে নবমীর দিন পংক্তি ভোজের আয়োজন করা হয়। ‘মহাজাতিনগর সর্বজনীন’-এর মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে মন্দিরের আদলে। ‘আদর্শনগর সর্বজনীন’-এর পুজোয় দর্শকেরা পৌঁছে যাবেন অযোধ্যা পাহাড়ে। দেখতে পাবেন সাঁওতাল বিদ্রোহ ও আদিবাসী সংস্কৃতির নানা নিদর্শন। |
|
খড়দহের বেশির ভাগ পুজোই সাবেক। তবে কয়েকটি থিমের পুজোও হয়। এখানেও রয়েছে জল জমার সমস্যা। খড়দহের এক প্রান্তে ‘পাতুলিয়া সর্বজনীন’-এর এ বার হীরকজয়ন্তী। মন্দিরের আদলে মাদুর দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। ‘বিবেকনগর দুর্গোৎসব কমিটি’র পুজোয় রুমাল দিয়ে তৈরি পশু, পাখি, কীটপতঙ্গ মণ্ডপ জুড়ে থাকবে। ‘আদর্শ পল্লি’র পুজোয় মণ্ডপ সাজানো হবে বেত দিয়ে। ‘সূর্য সেন সর্বজনীন’ বানাচ্ছে মায়াপুরের ইসকনের মন্দির। থার্মোকল দিয়ে চৈতন্যের একাধিক মূর্তি তৈরি হচ্ছে। খড়দহ থানার পাশে ‘নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাব’-এর পুজোয় কুলো, ঝুড়ি, মাটির ঘট দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। |
|