উৎসবের আলো
লাউ কেটে লন্ঠন

পাড়ার মোড়ে বিশ্বকাপজয়ের ব্যানারগুলি আর নেই। বিধানসভা নির্বাচনের পোস্টার এবং ব্যানারগুলিও বিশেষ চোখে পড়ে না। দমদম, নাগেরবাজা এলাকার ব্যানার, হোর্ডিং-এ এখন কোথাও রাজবাড়ি, কোথাও দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরির বিজ্ঞাপন।
যেমন, দমদমের ‘জ’পুর ব্যায়াম সমিতি’র মণ্ডপে আদিবাসী সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যাবে। দেখা যাবে গাছের উপরে ঘর। বাবুই ঘাস দিয়ে সে সব ঘরের অন্দরসজ্জা তৈরি হয়েছে। থাকবে লাউ কেটে তৈরি লন্ঠন। সঙ্গে রয়েছে আদিবাসীদের ব্যবহৃত টুকিটাকি জিনিসও।

অন্য দিকে, দমদমের ‘শেঠবাগান সর্বজনীন’-এ দক্ষিণ ভারতের এক বৌদ্ধ মন্দিরের অনুকরণে কাঠ ও হোগলা পাতা দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। যশোহর রোডের মলপল্লির এ বারের থিম বেদে সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা। উদ্যোক্তারা জানালেন, পুজো উপলক্ষে গরিব প্রতিবন্ধীদের নানা ভাবে সাহায্য করা হবে। দমদমের ‘অমলপল্লি সর্বজনীন’-এর মণ্ডপসজ্জায় ঘাস ব্যবহার করা হচ্ছে।
গত কয়েক বছর নাগেরবাজার এলাকার বেশ কিছু পুজো নজর কেড়েছে। যেমন, নাগেরবাজারের ‘বাপুজি কলোনি অধিবাসীবৃন্দ’-এর এ বারের মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে ফলের পেটি দিয়ে। পেটির কাঠ দিয়ে তৈরি হচ্ছে নানা নকশা।
পেটির কাঠে রামায়ণ, মহাভারতের বিভিন্ন ঘটনার ছবিও আঁকা হচ্ছে। কাছে ‘ভগবতী পার্ক সর্বজনীন’-এর এ বারের থিম রবীন্দ্রনাথের জন্মের সার্ধশতবর্ষ। নাগেরবাজারের ‘নব-রবিবাসর যুগীপাড়া’র এ বারের মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে বেসিনের পাইপ দিয়ে। উদ্যোক্তারা জানালেন, বেসিনে পাইপ টুকরো করে কেটে, রং করে ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘নাগেরবাজার সর্বজনীন’-এর পুজো সাবেক। শঙ্খ ও ঘণ্টা দিয়ে সাজানো হবে মণ্ডপ। সঙ্গে বাড়তি পাওনা নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নাগেরবাজারের ‘কাজীপাড়া যুবকবৃন্দ’-এর পুজো সাবেক।
দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বেশিরভাগ পুজোই সাবেক। তবে ‘অনামী সঙ্ঘ’-এর পুজোয় থাকছে থিমের ছোঁয়া। মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের একটি মন্দিরের আদলে। উদ্যোক্তারা জানালেন, মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে বেনারসী দিয়ে। ‘বীণা সঙ্ঘ’-এর পুজো সাবেক। ডাকের সাজের প্রতিমা। দমদম থানার ঠিক উল্টো দিকে ‘দমদম দুর্গোৎসব বারোয়ারিতলা’র পুজো এ বার ৭৮ বছরে পা দিল। এদের প্রতিমা সাবেক।

ছবি: সুদীপ ঘোষ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.