|
|
|
|
|
|
|
উৎসবের আলো |
চুপ, মহড়া চলছে...
প্রতি বছরের মতো এ বছরেও বিধাননগর
মেতে উঠেছে নাচ, গান, নাটক, আবৃত্তির মহড়ায়।
উঁকি দিলেন সুপর্ণা মুখোপাধ্যায় |
|
বোধন থেকে বিসর্জন প্রতি দিনই নানা অনুষ্ঠানের ডালি সাজিয়ে বিধাননগরবাসী এখন অপেক্ষায়। জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। ব্লকের কমিউনিটি হল বা কারও বাড়িতে চলছে মহড়া।
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তনয়া দত্ত বলছে, “সন্ধেয় পড়াশোনা শেষ করেই এক ছুটে চলে যাই মহড়ায়। এটাই এখন সব থেকে আনন্দের সময়।” বি-কে ব্লক পুজো কমিটির সম্পাদক রাজর্ষি চন্দ বলেন, “অফিসের পরে মহড়ার সময়টুকুই যেন সমস্ত ক্লান্তির অবসান ঘটায়।”
|
|
কিন্তু একটানা মহড়া নয়। ফাঁকে ফাঁকে চলছে জোরদার আড্ডাও। তার ফাঁকেই পেটপুজো। গৃহবধূ রত্না রায় বললেন, “আকাশে যখন শরতের মেঘ উঁকি দেয় তখন থেকেই আমাদের উৎসব শুরু হয়ে যায় মহড়াকে ঘিরে। তখন আর বারোয়ারি নয়, মনে হয় যেন আমাদেরই বাড়ির পুজো। যেন একটা বনেদিয়ানা। সবাই হাতে হাত মিলিয়ে নেমে পড়েন।”
বিভিন্ন ব্লকে রয়েছে নানা অনুষ্ঠান। রবীন্দ্র জন্মসার্ধশতবর্ষে যেমন রয়েছে রবীন্দ্রসঙ্গীত, রবীন্দ্রনৃত্য তেমনই রয়েছে কিছু লৌকিক আঙ্গিকের ও পৌরাণিক বিষয়কে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানও। সুর, কথা আর তালের মেলবন্ধনে বিধাননগরের সন্ধ্যা এখন সত্যিই জমজমাট।
|
|
দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় বললেন, “আজ এই বিশ্বায়নের যুগে পৃথিবী যখন দ্রুত গতিতে ছুটছে, পৌঁছে যাচ্ছে আধুনিকতার চূড়ায়, সল্টলেকবাসী কিন্তু সে সবের মধ্যেও বাংলার সংস্কৃতিকে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টায়।” মনোজ মিত্রের কথায়, “এই মঞ্চ থেকেই গড়ে ওঠেন এক জন অভিনেতা, এক জন গায়ক বা নৃত্যশিল্পী। আর সল্টলেকের মানুষ নিষ্ঠার সঙ্গে গুছিয়ে কাজ করেন। কাজেই এই মঞ্চের গুরুত্ব যথেষ্ট।”
|
|
বিকে
ছোটদের নৃত্যনাট্য ‘শরতাঞ্জলি’, নৃত্যনাট্য ‘আমি’, দৃষ্টিহীনদের গান, নাটক ‘বাঞ্ছারামের বাগান’। |
সিকে-সিএল
আগমনী গান, রাভা-সাঁওতালি-ডান্ডিয়া নৃত্য, নাটক ‘কালো ব্যাগ’, নৃত্যনাট্য ‘কালমৃগয়া’, মহিলাদের নাটক ‘বিবাহ বিভ্রাট’। |
আইবি
নাচ-গান, ছোটদের নাটক ‘দেবতাদের মর্ত্যে আগমন’। |
এজি
মহিলাদের নৃত্যনাট্য ‘শ্যামা’, পুরুষদের নাটক ‘রামধাক্কা’। |
এফডি
শ্রুতিনাটক ‘ফ্যাক্টর এক্স’, শ্রুতিনাটক ‘ঘাটের কথা’ ও ‘শেষের রাত্রি’, নৃত্যনাট্য ‘শ্রীমতী’, মহিলাদের নাটক ‘কেনারাম বেচারাম’ এবং পুরুষদের নাটক ‘আমি’। |
ইই
ছোটদের নাটক ‘চমচম কুমার’, মহিলাদের নাটক ‘লীলমণি’, শ্রুতিনাটক ‘কলকাতার কপালকুণ্ডলা’, ‘পয়লা বোশেখ’। |
জিডি
রবীন্দ্রসঙ্গীত, ওড়িশি নৃত্য, নাটক ‘তুষারমালা ও সাতটি বামন ভাই’। |
ফাল্গুনী
শ্রুতিনাটক ‘বিসর্জন’ ও গীতি আলেখ্য ‘শারদ বন্দনা’। |
লাবণি
নাচে-গানে ছোটদের আগমনী, আয়ান আলি খানের সরোদ। |
|
ছবি: অর্কপ্রভ ঘোষ |
|
|
|
|
|