উৎসবের আলো
আবাসনে আগমনী

সামনেই পুজো। কিন্তু সুপ্রিয়র মন খারাপ। এই নিয়ে পর পর দু’বছর দেশের বাইরে পুজো কাটাচ্ছে। বিধাননগরের আবাসনে হইহই করে কাটানো পুজোর দিনগুলি বড্ড মনে পড়ে যাচ্ছে। ফিরতে চাইলেও উপায় নেই। তাই ফেসবুকে চলছে স্মৃতি রোমন্থন। শুধু সুপ্রিয় নন, অনেকেই পুজোর সময়ে বিধাননগরে তাঁদের আবাসনে কাটাতে চান। সামিল হতে চান প্রস্তুতিতে।

যেমন, বিদ্যাসাগর আবাসন। এ বার পুজোর ৪১ বছর হবে। উদ্যোক্তাদের তরফে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বললেন,“উৎসবের দিনগুলি আবাসনের বাসিন্দারা এক সঙ্গে কাটাই। যাঁরা বিদেশে থাকেন তাঁরাও যোগাযোগ করেন।” এখানে চার দিক খোলা মণ্ডপে থাকবে সাবেক প্রতিমা। পঞ্চমীর দিন রাজ্যপালের এই আবাসনের পুজো উদ্বোধন করার কথা। সে দিনই স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তের স্তোত্রপাঠ করার কথা। তিন দিন পংক্তি ভোজ তো রয়েছেই।
বিধাননগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবাসনের পুজো হয় লাবণি এস্টেটে। ঘরোয়া পরিবেশে আবাসিকরা পুজোর দিনগুলি কাটান। বাড়তি পাওনা থিম পুজো। এ বার তাদের স্লোগান ‘যিনিই মাতা, তিনি ত্রাতা’। পরিকল্পনায় রয়েছেন আশিস নন্দী। শিব পুরুষ জাতির প্রতীক। তিনি মণ্ডপের দ্বার আগলাবেন। মণ্ডপের ভিতরে দুর্গার আঁচলে থাকবেন লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক এবং গণেশ। মনে হবে, দুর্গা সাধারণ মায়ের মতোই তাঁর সন্তানদের লালন-পালন করছেন। উদ্যোক্তাদের দাবি, এ বারও তাঁদের পুজো জনপ্রিয় হবে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বৈশাখী আবাসনের পুজোয় থিম নেই। আবাসনের সম্পাদক স্বপনকুমার দাস জানান, দক্ষিণ ভারতের একটি মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। প্রতিমার রং সোনালি। সব থেকে জোর দেওয়া হয় আবাসিকদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপর। এখন জোরকদমে চলছে মহড়া।
পংক্তি ভোজ আর আবাসনের বাসিন্দাদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দীর্ঘ আট বছর ধরে এ ভাবেই পুজোর দিনগুলিতে মেতে ওঠেন শরৎ আবাসনের বাসিন্দারা। সহকারী সম্পাদক সঞ্জীব বসু জানান, ঠাকুর দেখতে বেরোলেও সকলেই চেষ্টা করেন তাড়াতাড়ি ফিরে আড্ডায় বসে যেতে। অষ্টমী এবং নবমীতে বসে পংক্তি ভোজের আসর।
বেলুর মঠের আদলে মণ্ডপ তৈরি হবে করুণাময়ী ‘ই’ ব্লকে। এখানে ঘরোয়া পরিবেশে আবাসিকরা পুজো কাটান। তবে বাইরের অনেকেও পুজো দেখতে আসেন।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.