স্টিভ ডার্বির ভাগ্য এখন ইউ বি-র হাতে। যেহেতু মরসুমের শুরুতে কোচ নির্বাচনের ক্ষেত্রে টিম স্পনসর বিজয় মাল্যর কোম্পানির লোকজনদের বড় ভূমিকা ছিল তাই তাদের সঙ্গে কথা না বলে এগোতে চাইছেন না মোহনবাগান কর্তারা। বৃটিশ কোচের প্রতি স্পনসরের ‘সহানুভুতিশীলতা’ ভাবাচ্ছে তাদের। টিমের বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ক্লাব কর্তারা চিঠি পাঠিয়েছেন ইউ বি-কে। কিন্তু এখনও তার উত্তর আসেনি। ফলে কোচ বদলের ব্যাপারটা থমকে রয়েছে। শনিবারই ব্যারেটো-ওডাফাদের নিয়ে মাঠে নামছেন ডার্বি। আই লিগের প্রস্তুতির কথা ভেবে। ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র এ দিন রাতে ক্লাব তাঁবুতে বসে বলেছেন, “আমরা যা-ই করব ইউ বি-র সঙ্গে কথা বলেই করব। ওদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দেখা যাক কী হয়?”
ফেড কাপে চূড়ান্ত ব্যর্থ কোচকে সরানোর ব্যাপারে মোহনবাগান শিবিরে কোনও দ্বিমত নেই। ডার্বির জায়গায় দল বাঁচাতে ঘরের ছেলে সুব্রত ভট্টাচার্যকে আনার ব্যাপারেও বেশির ভাগ কর্তা একমত। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে ইউ বি-র লোকজনদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলে কর্তাদের মনে হয়েছে, তাঁরা ডার্বিকে এখনই সরানোর পক্ষপাতী নন। কর্তারা অবশ্য নাছোড়। তাঁদের ধারণা এই কোচের যা কোচিং স্টাইল এবং ম্যানম্যানেজমেন্ট তাতে তেরো কোটির দলের ট্রফি পাওয়া কঠিন। ইউ বি সবুজ সঙ্কেত না দেওয়ায় কোচের সঙ্গে মুখোমুখি বসেননি কোনও কর্তা। ফেড কাপে টিমের ব্যর্থতা নিয়ে অবশ্য এ দিন একটি রিপোর্ট ক্লাব কর্তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন ডার্বি। তাতে ব্যারেটো, ওডাফা, সংগ্রাম, শিল্টনদের সম্পর্কে আলাদা আলাদা মূল্যায়ন আছে। তাতে অবশ্য চিড়ে ভিজছে না। বিরক্ত ক্লাব সচিব বললেন, “ফেড কাপের খেলা দেখে আমাদের মনে হয়েছে খেলতে নামার আগে যথেষ্ট হোমওয়ার্ক করে দল নামেনি। রিপোর্ট উনি দিয়েছেন। সেটা গোপনীয়। বলতে চাই না। কিন্তু রিপোর্ট দিয়ে আমরা কী করব? যা করার কোচকেই তো করতে হবে। আমরা তো তার কোনও ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিনি।”
মোহনবাগান কর্তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন, ইউ বি-র সঙ্গে কথা বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোচ বদল করতে। তার পর শক্তিশালী দলের সঙ্গে কয়েকটি অনুশীলন ম্যাচ খেলে টিমকে তৈরি করে আই লিগে নামতে। কিন্তু পরিস্থিতি যা তাতে ইউ বি প্রধান বিজয় মাল্য সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলে মঙ্গলবারের আগে কোনও সিদ্ধান্ত হওয়া কঠিন। কারণ ইউ বি-র হয়ে যিনি মোহনবাগান দেখভাল করেন সেই অলোকেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন এএফসি-র আমন্ত্রণে জাপানে রয়েছেন। তিনি ফিরবেন মঙ্গলবার। তার পর হয়তো কোচ নিয়ে ইউ বি সভা ডাকবে। কিন্তু ডার্বিকে সরানোর সিদ্ধান্ত হলেও তিনি কি সহজে চলে যাবেন। তার সঙ্গে মোহনবাগানের চুক্তি দু’বছরের। কর্তারা ঠিক করেছেন, ইউ বি সবুজ সঙ্কেত দিলে ডার্বির সঙ্গে সোনালি করমর্দন করার চেষ্টা হবে। না হলে আইনি রাস্তা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে কর্তাদের। |