মাঠের মধ্যে চলছে পাসিং অনুশীলন। মাঠের বাইরে চোখে সংশয় নিয়ে বসে আছেন ডেম্পো-জয়ের দুই নায়ক।
ইস্টবেঙ্গল ফেড কাপ জিতলে এক জনের হ্যাটট্রিক হয়ে যাবে। অন্য জন জীবনে প্রথম বারের জন্য তুলবেন ট্রফিটা। প্রথম জন বঙ্গসন্তান মেহতাব হোসেন। পরের জন মরাঠি রাজু গায়কোয়াড়। কিন্তু দু’জনেরই সমস্যা এককুঁচকির চোট। হাঁটার সময়েও পা সামান্য টেনে চলছেন মেহতাব। রাজু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্ক্যান করিয়েছেন। ডাক্তার কোনও অসঙ্গতি নেই বললেও ব্যথা রয়েছে যথেষ্ট। শুক্রবার সকালে তাই বিশ্রাম। দু’জনই নিশ্চিত নন সোমবারের সেমিফাইনালে খেলতে পারবেন কি না। তবে খেলার জন্য মনকে তৈরি রাখছেন মেহতাব। বলছিলেন, “আমি যেমন করে হোক খেলার চেষ্টা করবই।” |
কোচ-সহ বাকি ফুটবলারদের চোখে সংশয় নয়, সম্ভ্রম। আসন্ন প্রতিপক্ষ প্রয়াগ ইউনাইটেড ফুটবলারদের যথেষ্ট প্রশংসা করে গেলেন কোচ ট্রেভর মর্গ্যান থেকে টিমের শেষ প্রহরীগোলকিপার সন্দীপ নন্দী পর্যন্ত। কোচ বললেন, “কোনও এক জন নয়, প্রয়াগের পুরো দলটাই ভাল খেলছে।” সন্দীপও মেনে নিলেন গোটা প্রয়াগ দলটির ভাল খেলার কথা। কিন্তু তাঁর কথায় উঠে এল কয়েকটি বিশেষ নামও। “ওদের লালকমল-ডেনসন মাঝমাঠ বেশ ভালই দখল রাখছে। এ ছাড়া সামনের তিন বিদেশিই ভয়ঙ্কর। ইয়াকুবু তো যখন-তখন ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। সেমিফাইনালে একটা ভাল খেলা হবে।” মেহতাব না থাকলে তাঁর বিকল্প পাওয়া মুস্কিল। এ কথা মেনেও সন্দীপ বললেন, “মেহতাবকে যতটা চিনি দেখে নেবেন, ও ঠিক সোমবার খেলবে।”
যাঁকে নিয়ে এত কথা সেই মেহতাব আবার বলছিলেন বিপক্ষের স্ট্রাইকার, এক সময়ের সতীর্থ ইয়াকুবুর কথা। ইয়াকুবুই যে ইস্টবেঙ্গলের সব থেকে বড় কাঁটা সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই তাঁর। ডেম্পো-ম্যাচের সেরা ফুটবলার বলছিলেন, “ইয়াকুবু আমার দেখা সেরা বিদেশি। পরের ম্যাচে ওকে নিয়েই আমাদের ভয় বেশি।”
এ দিকে কাশিয়া বাগান পার্কে কলকাতা পুলিশ ও কর্পোরেশন, ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সহযোগিতায় ‘কলকাতা গোলজ’ প্রজেক্টের উদ্বোধনে কোচ মর্গ্যান-সহ হাজির ছিলেন মেহতাব, সঞ্জু ও টোলগে। |