নিজস্ব সংবাদদাতা • দাদপুর |
মেয়ে ও নাতিকে নিয়ে মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার পথে একটি তেলের ট্যাঙ্কারের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। গুরুতর জখম হন তাঁর মেয়ে ও নাতি। তেলের ট্যাঙ্কারটি বাইকটিকে ধাক্কা মারার পরে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিতে ধাক্কা মারে। জখম হন ট্যাঙ্কার-চালকও। শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির দাদপুরের আঁটির মোড়ের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শঙ্কর হাম্বি (৫৫)। বাড়ি সিঙ্গুরের খাসেরভেড়িতে। আহতদের চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্করবাবুর মেয়ে ঝুম্পা মালিক পোলবার বিহারীলাল পল্লির বাসিন্দা। এ দিন সকালে তিনি বাপেরবাড়ি যাবেন বলে দেড় বছরের ছেলে মনোরঞ্জনকে নিয়ে চুঁচুড়া-তারকেশ্বর রুটের একটি বাসে ওঠেন। দাদপুরের মহেশ্বরপুর মোড়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বাইক নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন শঙ্করবাবু।
তিনি মেয়ে-নাতিকে বাইকে তুলে ওই রাস্তা ধরেই ফিরছিলেন। আঁটির মোড়ের কাছে পিছন থেকে ট্যাঙ্কারটি ধাক্কা মারে। শঙ্করবাবু রাস্তার বাঁ দিক ঘেঁষে বাইক চালাচ্ছিলেন। ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় তিন জনেই সামনে ছিটকে পড়েন। ট্যাঙ্কারের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শঙ্করবাবুর। ট্যাঙ্কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা লরিকেও ধাক্কা মারে।
আহত ট্যাঙ্কার-চালক সঞ্জয় বসু চৌধুরী, ঝুম্পাদেবী ও তাঁর ছেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চোট গুরুতর হওয়ায় ঝুম্পাদেবীর ডান পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে। শিশুটিরও দু’পায়ে এবং মাথায় চোট রয়েছে। ট্যাঙ্কার-চালকেরও বাঁ পা গুরুতর জখম হয়েছে। তিনি কলকাতার বাসিন্দা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঝুম্পাদেবীর স্বামী মেঘনাদবাবু ওই হাসপাতালে আসেন। তিনি বলেন, ‘‘পুজোর জামাকাপড় কেনার জন্য ছেলেকে নিয়ে স্ত্রী বাপেরবাড়ি যাচ্ছিল। আমিই ওদের বাসে তুলে দিই। এমন ঘটনা ভাবতেই পারছি না।” পুলিশ জানায়, দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। |