|
|
|
|
|
|
|
মনোরঞ্জন ২... |
|
জিতের কমিক মোচড় |
আর সিক্স প্যাক নয়, হাসির রাজা তিনি। এই দিকটাও তাঁর মধ্যে যে লুকিয়ে ছিল, সেটাই
এ ছবির আসল আবিষ্কার। কেরিয়ারে কি তবে অন্য মাত্রা যোগ হল? লিখছেন ইন্দ্রনীল রায় |
‘খতরোঁ কি খিলাড়ি’, ‘সপুত’, ‘অঙ্গারে’ এই সব ছবিতে অ্যাকশন হিরো হিসেবে কাজ করার পর হঠাৎ অক্ষয়কুমারের ভাবমূর্তি আমূল বদলে গেল ২০০০ সালে। ছবির নাম ছিল ‘হেরাফেরি’। সেখানে অক্ষয়কুমারের পুরোপুরি কমেডি রোল যা বদলে দিয়েছিল তাঁর পরের দশটা বছর। ‘হেরাফেরি’ প্রমাণ করে দিয়েছিল কমেডি নায়ক হিসেবে অক্ষয়কুমার কতটা শক্তিশালী আর উঁচুদরের।
কাট টু টলিউড। শেষ চারটি ছবি ‘ওয়ান্টেড’, ‘জোশ’, ‘ফাইটার’, ‘শত্রু’। রক্তাক্ত প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ, স্টান্ট, ধুমধাড়াক্কা মারামারিঅ্যাকশন আর তিনি সমার্থক হয়ে গিয়েছিলেন।
কিন্তু আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নায়ক জিতের নতুন ছবি ‘হ্যালো মেমসাহেব’ মুক্তি পাওয়ার পর রাতারাতি আমূল বদলে যেতে পারে তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ।
সিক্স প্যাক অ্যাব নিয়ে অ্যাকশন হিরোর যে ভাবমূর্তি এত দিন জিৎকে ঘিরে ছিল তার একেবারে বিপরীতে, এ ছবিতে তিনি ওড়িয়া ভৃত্যের চরিত্রে এমন দুর্দান্ত কমেডি অভিনয় করেছেন যে হলে দমফাটা হাসির বন্যা বইতে বাধ্য। অবাক লাগছে এই ভেবে যে জিৎ এত দিন ধরে কাজ করেছেন কিন্তু টালিগঞ্জের পরিচালকেরা তাঁর সূক্ষ্ম কমেডি তৈরি করার ক্ষমতাকে আবিষ্কার করলেন না কেন?
তা হলে এ বার প্রশ্ন একটাই --‘হ্যালো মেমসাহেব’ এর গপ্পোটা ঠিক কী?
সেটা জানতে হলে সিনেমাটা আপনাদের না দেখে উপায় নেই। তবে এটা বলাই যায় পুজোর মরসুমে সপরিবারে এই জমজমাট বাণিজ্যিক ছবি দেখে হাসতে হাসতে হল থেকে বেরোবেন।
এটা ঘটনা যে ‘ওয়ান্টেড’ থেকে ‘শত্রু’জিতের ‘কামব্যাক’-এর অনেক আগে তৈরি হয়েছিল ‘হ্যালো মেমসাহেব’। কিন্তু কিছু অনিবার্য কারণবশত গত তিন বছর বাক্সবন্দি হয়ে পড়ে ছিল সে ছবি।
এখন সব সমস্যার সমাধানের পর তরতাজা টাটকা মোড়কে এ ছবি মুক্তি
পেতে চলেছে। শুধু তাই নয়, বাণিজ্যিক ভাবে এ ছবির সফল হওয়ার সম্ভাবনা ষোলো আনা।
কেন এ কথা বলছি?
প্রথমত ‘হ্যালো মেমসাহেব’এর পরিচালক হলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়। ‘ইচ্ছে’ ছবিটি দুরন্ত সাফল্য পাবার পর ‘হ্যালো মেমসাহেব’ এই পরিচালক জুটির দ্বিতীয় ছবি হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে। টলিউডে যে সব পরিচালক গভীর সামাজিক গল্প নিয়ে ছবি করেন তাঁরা সাধারণত তথাকথিত মুচমুচে বাণিজ্যিক ছবি করেন না।
শিবু আর নন্দিতা সেই কাজটি করে ফেলেছেন। তাঁদের প্রভাবে টলিউডে এমন দিনও আসতে পারে যখন হয়তো দেখা যাবে যে রাজ চক্রবর্তীর মতো পরিচালক বানাচ্ছেন ‘অন্তহীন’ আর দেবকে নিয়ে ছবি করার কথা ভাবছেন বীরসা দাশগুপ্ত।
এ ছাড়াও আর একটা ব্যাপার হল এই পুজোয় অশোক ধানুকা ‘হ্যালো মেমসাহেব’ মুক্তি দিয়ে বাণিজ্যিক ছবির যুদ্ধক্ষেত্রে আবারও সরাসরি নামছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের বিরুদ্ধে। ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের ঘর থেকে এই পুজোয় মুক্তি পেতে চলেছে ‘ফাঁন্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’।
আর তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হল, গতবারের মতো এ বার পুজোয় জিৎ আর প্রসেনজিৎ আবারও দু’জনে মুখোমুখি হচ্ছেন। গত বছর ছিল এক দিকে ‘অটোগ্রাফ’এর প্রসেনজিৎ, অন্য দিকে ‘দুই পৃথিবী’র জিৎ ও দেব। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবার কথা ছিল তিন তারকার। কিন্তু হয়নি। প্রসেনজিৎ প্রথম রাউন্ডে জিতে গিয়েছিলেন মসৃণ ভাবে।
এ বছর দেব নেই। যুদ্ধে নামছেন একেবারে সরাসরি -- প্রসেনজিৎ ও জিৎ।
এ বার দেখারবিজয়ার দিন বিজয়ীর হাসি কে হাসে?
|
কী টানবে |
• শান্ত সৌম্য বস আর ওড়িয়া ভৃত্যের চরিত্রে জিতের চমৎকার অভিনয়।
দু’টি চরিত্রেই তিনি সমান ভাবে অভিনয় করেছেন। ওড়িয়া
স্টাইলে তাঁর বাংলা বলা উপভোগ্য লাগবে।
• প্রিয়ঙ্কা ত্রিবেদীর মন ভালো করা অভিনয়। টলিউড আরেকবার
বুঝবে প্রিয়ঙ্কার বিয়ে হয়ে যাওয়াতে ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি হয়েছে।
• তুখোড় সংলাপ। আর সেই সঙ্গে দুর্দান্ত অভিনয়
ব্রাত্য বসু, কাঞ্চন মল্লিক, আর অরিত্রের।
• এ ছবিতে দেখা যাবে রাহুল মহাজনের স্ত্রী ডিম্পি
মহাজনকে। তাঁর চরিত্রটি সংক্ষিপ্ত হলেও নজর টানবে।
• আর আছে কনীনিকার একটি আইটেম ডান্স। |
|
|
|
|
|
|