|
|
|
|
চক্কর-কাণ্ডে যান্ত্রিক ত্রুটিই, রিপোর্ট পাঠাল বিমানবন্দর |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বুধবার কলকাতার আকাশে ঠিক কী ঘটেছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার রিপোর্ট মহাকরণে পাঠিয়ে দিলেন কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তদন্তের বক্তব্য, মূলত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই সে
দিন মুখ্যমন্ত্রীর বিমানকে অবতরণের আগে বেশ কিছুক্ষণ আকাশে চক্কর কাটতে হয়েছে।
বুধবার দুপুরে জেট এয়ারওয়েজের উড়ানে বাগডোগরা থেকে কলকাতা ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর তিনটে নাগাদ কলকাতার আকাশে এসে প্রায় আধ ঘণ্টা চক্কর কাটার পরে বিমানটি মাটিতে নামে। তেল ফুরিয়ে আসায় বাগডোগরা থেকে গুয়াহাটিগামী কিংফিশারের একটি বিমান কলকাতায় জরুরি অবতরণ করতে চেয়েছিল। তাকে আগে নামিয়ে আনা হয়।
এই বিলম্বের পিছনে ‘চক্রান্ত’ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সচিবালয় থেকে ফোনে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সবিস্তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তদন্তে নামেন। শুক্রবার কর্তৃপক্ষের আঞ্চলিক অধিকর্তা গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, “আজই মহাকরণে তদন্ত-রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। তদন্তে দেখা গিয়েছে, কলকাতায় নামার মুখে জেটের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। দেরি হয়েছে প্রধানত সেই জন্যই।” ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-ও তদন্তে নেমেছে। তাদের রিপোর্ট পাঠানো হবে দিল্লিতে। অন্য দিকে জেট বিমানসংস্থার বক্তব্য, যান্ত্রিক ত্রুটিই অবতরণে বিলম্বের একমাত্র কারণ নয়। সংস্থার দাবি, বুধবার দুপুরে সল্টলেকের দিকের আকাশে বজ্রগর্ভ মেঘ জমে বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই সে দিক থেকে নামতে আসা সমস্ত বিমানকে ঘুরে মধ্যমগ্রামের দিক থেকে নামতে বলেছিল এটিসি। এতে খানিকটা সময় চলে যায়। |
|
|
|
|
|